বেড়িয়ে আসছে সরকার প্রনীত জি-টু-জি পদ্ধতিতে জনশক্তি রপ্তানির দুর্বল
দিকগুলো। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জটিলতায় সরকারিভাবে মালয়েশিয়া গিয়ে
বিড়ম্বনায় পড়ছেন শ্রমিকেরা। সম্প্রতি এ ধরণের জটিলতায় পড়ে ফেরত এসেছেন
একজন শ্রমিক। দেশে করা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোনও সমস্যা না থাকলেও,
মালয়েশিয়া যাওয়ারর পর স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে
তাকে। দেশে ফেরার পর সরকারও কোনরকম সহায়তা করছে না বলে অভিযোগ করেছেন এই
শ্রমিক। বিদেশে কাজ করে সংসারে স্বচ্ছলতা আনার স্বপ্ন ছিলো মানিকগঞ্জের
আবদুল কাদেরের। এ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ
পাওয়া ১৯৮ জনের মধ্যে একজন তিনি। সবাই বলেছিলো, তিনি ভাগ্যবান। কিন্তু তার
এই ..সৌভাগ্যের সময়কাল মাত্র আড়াই মাস। সরকারি ভাবে মালয়েশিয়া যেতে
নির্বাচিত সবাইকে করতে হয়েছে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা। কাদেরকেও তা
করা হয়েছিলো। হৃদরোগ, অ্যাজমা, ডায়বেটিকস সহ ২১টি রোগের পরীক্ষায়
চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পরই তিনি পান মালয়েশয়ার ভিসা। অথচ কাজে
যোগ দেয়ার পর ডায়বেটিকস রোগের কারণ দেখিয়ে মাত্র এক দিনের নোটিসে তাকে
করা হয় দেশচ্যুত। হতাশ হয়ে দেশে ফিরে বারডেম সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন কাদের। এর একটিতেও নেই উচ্চ ডায়বেটিকসের কোন
আলামত। ভুক্তভোগী আবদুল কাদেরের দাবি, চাকরি ফিরিয়ে দিতে না পারলে
ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হোক। বেসরকারি জনশক্তি রপ্তানিকারকদেরকে শুরু
থেকেই এ পদ্ধতিতে কর্মী নিয়োগের বাইরে রেখেছে সরকার। এমন ঘটনায় তাই
সরকারের সমালোচনা করতে ছাড় দিচ্ছেন না তারা। কাদেরের এই অসহায়ত্ব সরকার
প্রণীত জি-টু-জি পদ্ধতির প্রধান দূর্বলতা বলে দাবি বায়রা মহাসচিবের আলী
হায়দার চৌধুরী।
No comments:
Post a Comment