Friday, July 25, 2014

জেনে নিন ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়ার টাকা কোথায় যায়

প্রতি বছর ঈদের সময় ঘরে ফেরা মানুষদের নানামুখী দুর্ভোগে পড়তে হয়৷ ট্রেন ও বাসে টিকিট না পাওয়ার সমস্যা তো আছেই৷ অনেক সময় টিকিট চলে যায় কালোবাজারিদের কাছে৷ যাদের ভাগ্যে এই টিকিট মেলে, তাদের গুনতে হয় অতিরিক্ত অর্থ।
যাত্রীদের কাছ থেকে এই বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে একটা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি' নামে একটি সংগঠন। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ঈদে সড়ক, রেল, নৌপথের যাত্রীদের কাছে থেকে ১০ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আর আদায় করা অতিরিক্ত অর্থের একটি বিশাল অংশ রাজনীতি ও প্রশাসনের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা লুটপাট করছে। যাত্রীদের স্বার্থ এখানে উপেক্ষিত হলেও সরকার কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না। সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংগঠনের সভাপতি শরিফ রফিকুজ্জামান, মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রুমি ও নির্বাহী সদস্য কাজী আমিনুল্লাহ মাহফুজ।
সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলনের পর আলাপকালে বলেন, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে ২৫ রমজান থেকে ঈদের পর দশ দিন পর্যন্ত সড়ক পথে ৬ হাজার কোটি টাকা, নৌপথে ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। আর রেলপথে অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে ট্রেনের আগাম টিকিট হাতিয়ে নিয়ে চিহ্নিত কালোবাজারিরা একই সময় প্রায় ৭৭৫ কোটি টাকারও বেশি লুট করছে৷ যাত্রীরা অসহায়ের মতো বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে যাচ্ছেন।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও বলেন, সারা দেশে যানজট ও সড়কের বেহাল দশার কারণে যাত্রীরা নৌপথের উপর এবার বেশী নির্ভরশীল৷ নৌপথে এবার ঈদে এক কোটিরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করবে। কিন্তু তার মধ্যে ৮০ শতাংশ যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া গুনে বাড়ি ফিরছে। এছাড়া রেলপথে প্রতিদিন ৭৬টি আন্তঃনগর, ৬২ টি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন, ৯৫টি লোকাল ট্রেনে প্রতিদিন গড়ে ২ লাখ যাত্রী বহন করা হয়। এর মধ্যে ৪৮ শতাংশ যাত্রী কালোবাজারির কাছ থেকে চড়া দামে টিকিট সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছে। সবার যোগসাজসে এই টিকিট কালোবাজারিদের কাছে যায়।
কীসের ভিত্তিতে তাদের এই হিসেব এমন প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ১৫ রমজানের পর থেকে তাদের সংগঠনের সদস্যরা মাঠে থাকেন৷ বাস টার্মিনাল, ট্রেন স্টেশন ও সদরঘাটে নৌ টার্মিনাল থেকে তাঁরা তথ্য সংগ্রহ করেন। প্রতিদিন পাওয়া কিছু কিছু তথ্য যোগ করার পর গড় করেই এই পরিসংখ্যান বের করা হয়েছে। এটা কিছুটা এদিক-সেদিক হতে পারে বলে স্বীকার করেন তিনি। কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের ভাড়া পরিবহন ভেদে ৮০০ থেকে ১৫০০, ১ হাজার থেকে ১৬০০, ১২০০ থেকে দুই হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। কয়েকটি পরিবহনের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা অনেক বেশি ভাড়া আদায় করছে।
এবার লঞ্চে সবচেয়ে বেশী নৈরাজ্য হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে ১,২০০ টাকার কেবিন নেয়া হচ্ছে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর ট্রেনের ৮০০ টাকার টিকিট নেয়া হচ্ছে দেড় হাজার টাকা। কালোবাজারিরা আরো বেশী নিচ্ছে৷ এ থেকে উত্তরণের কয়েকটি সুপারিশ করে তিনি বলেন, গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়ানো, মনিটরিং টিমে যাত্রীদের প্রতিনিধি রাখা, শাস্তির ব্যবস্থা, টিকিটের গায়ে দূরত্ব ও ভাড়ার অঙ্ক লিখে দিলে হয়রানি অনেকটা কমতে পারে৷ তিনি বলেন, গত বছরও তারা রিপোর্ট তৈরি করে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছিলেন। এবারও জমা দেয়া হবে। তবে গত বছর তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর মন্ত্রণালয় থেকে আলোচনার জন্য ডাকাই হয়নি। তিনি বলেন, আলোচনা করলে অনেক সমস্যারই সমাধান সম্ভব।
রাস্তার বেহাল দশার ব্যাপারে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, তড়িঘড়ি করে রাস্তা সংস্কারের যে উদ্যোগ নেয়া হয় তাতে কাজের কাজ কিছুই হয় না। শুধু অর্থের অপচয় হয়। রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়। তিনি বলেন, ৬ মাস আগে থেকে উদ্যোগ নিলে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। তিনি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেন, এই ঈদের পর থেকেই রাস্তার সংস্কার শুরু করা হলে আগামী কোরবানি ঈদে নির্বিঘ্নে যাত্রীরা দেশের বাড়িতে ঈদ করতে যেতে পারবেন।

Friday, April 25, 2014

স্টেডিয়ামে ভূত |(এক্সক্লুসিভ ভিডিও )

কথায় আছে ‘ভূতে অবিশ্বাস ভূতের ভয় দূর করে না’। কিন্তু স্টেডিয়ামে বসে ভূত দেখার দাবি করলে একটু খটকা তো লাগতেই পারে।
তবে এমনটিই দাবি করেছে বলিভিয়ার দর্শকরা। কোপা লিবার্তোদোরেসের একটি ম্যাচে হার্নান্দো সিলেস স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সময় ভূত দৌড়ে যেতে দেখেছেন তারা। স্টেডিয়ামের ক্যামেরার চোখেও বিষয়টি ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বলিভিয়ার রাজধানী লাপাজে এই ঘটনা ঘটে।

ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে দর্শক সারির পেছন দিয়ে কাউকে কোনো বাধা না দিয়ে তুমুল গতিতে কোনো এক অশরীরীকে দৌড়ে যেতে দেখা যায়। স্টেডিয়ামের বিপরীত পাশে বসা দর্শকের চোখ এড়ায়নি বিষয়টি। চোখ এড়ায়নি স্টেডিয়ামের ক্যামেরারও।

তবে দক্ষিণ আমেরিকায় এমন অপ্রত্যাশিত অশরীরীকে দেখা অস্বাভাবিক কিছু নয়। মাঝে মাঝে দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন স্টেডিয়ামে ভূতের মতো কিছু দেখা যায়। যার কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না। কখনো কখনো গোলপোস্টের ওপরে, কখনো জায়ান্ট স্ক্রিনের ওপরে, এমনকি কখনো ভূতকে দেখা গেছে বল ট্যাপ করতে।
স্টেডিয়ামে দৌড়ে যাওয়া ছায়াসদৃশ ওই মানবাকৃতির বস্তুটি সত্যিই কি ভূত, না অন্য কিছু- তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও দর্শকদের যে ভূতের ভয়ে ধরেছিল, তা বলা যায়।

Friday, April 18, 2014

মিষ্টি কুমড়া বদলে যায় ভয়ংকর প্রাণ ম্যাংগো জুসে

মিষ্টি কুমড়া বদলে যায় ভয়ংকর প্রাণ ম্যাংগো জুসে
দেশের খ্যাতনামা দাবিদার জুস ব্র্যান্ড ‘প্রাণ’। নামেই প্রাণ অথচ এটি এখন প্রাণঘাতি পানীয়। ফলের রসের নামে চলছে প্রতারণা। এ কোম্পানির কোনো ফলের জুসেই ফলের রসের ছিটেফোঁটাও নেই। রয়েছে কেবল কৃত্রিম সুগন্ধি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভয়ংকর তথ্য, মিষ্টি কুমড়ার সাথে ম্যাংগো ফ্লেভার দিয়ে তৈরি করা হয় এই ভয়ংকর জুস। খাদ্যমান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় এই ভেজালের প্রমাণও মিলেছে। এ জুস শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের অনাগত সন্তানদেরও স্বাস্থ্যঝুঁকি এমনকি মৃত্যুঝুঁকিতেও ফেলতে পারে।

খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোমল পানীয় ও জুসের নামে আমরা যা পান করছি তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। জুসে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ সোডিয়াম সাইক্লামেট, কাপড়ের রং, সাইট্রিক এসিড ও প্রিজারভেটিভ (সোডিয়াম বেনজোয়িক ও পটাশিয়াম)। অম্লতা বাড়াতে ফসফরিক এসিড এবং ঠান্ডা রাখতে ইথিলিন গ্লাইকল মেশানো হচ্ছে। আর জুসের নামে এসব পানীয় দীর্ঘদিন পানের ফলে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, দাঁতের ক্ষয়, কিডনির সমস্যাসহ নানা রোগ হতে পারে।
শিশু ও কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা জানান, এ ধরনের পানীয় মানবদেহের জন্য ভয়াবহ হয়ে দেখা দিচ্ছে। ১০ বছর আগেও দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা ছিল ৮০ লাখ। এখন এ সংখ্যা দুই কোটির বেশি এবং তাদের অর্ধেকই শিশু। এ ছাড়া দেশে বছরে অন্তত ৮৪ হাজার মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। কৃত্রিম সুগন্ধি মেশানো এসব পানীয় গর্ভবতী ও বৃদ্ধদের জন্যও ক্ষতিকর। তাদেরও কিডনি ও লিভার আক্রান্ত হতে পারে।

প্রাণ কোম্পানির আম, কমলা, লেবু, লিচু, স্ট্রবেরি, আপেল ও আনারসের জুসের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে সম্প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই পণ্যের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা-ও জানতে চাওয়া হয়। বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেন।

এ প্রসঙ্গে বিএসটিআইয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরিবর্তনকে জানান, কোমল পানীয় বা জুসে এমনভাবে ভেজাল মেশানো থাকে যে, রাসায়নিক পরীক্ষা ছাড়া বোঝার উপায় থাকে না। যেকোনো খাদ্য ও পানীয় বাজারজাত করার আগে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন লাগে। জুস উৎপাদনের শুরুতে ভালো মানের নমুনা দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে সার্টিফিকেট নেওয়া হয়। অতি মুনাফা করতে গিয়ে পরে ব্যবসায়ীরা নিম্ন মানের জুস তৈরি করেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, “ছয় মাস পরপর নমুনা পরীক্ষার নিয়ম আছে। কিন্তু নানা ব্যস্ততা এবং লোকবলের অভাব থাকায় বিএসটিআই তা করতে পারে না। তারপরও বিএসটিআই নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।”

প্রাণ জুস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ফ্রুট ড্রিংকস বাজারজাত করার জন্য যখন প্রাণ লাইসেন্স নেয়, তখন গুণগতমান ঠিক থাকলেও পরে তা আর থাকেনি। বিএসটিআইর পরীক্ষাগারে সম্প্রতি বিষয়টি ধরা পড়লে এসব পণ্যের সিএম লাইসেন্স বাতিল করা হয়। পাশাপাশি এসব ভেজাল পণ্য বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পণ্যের প্যাকেটে বিএসটিআই অনুমোদিত লোগো ব্যবহার করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা যে জুস ভারতে রপ্তানি করে সেগুলোর মানও কিছুটা। কিন্তু লোকাল মার্কেটের পণ্য মানহীন।”

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) একটি সূত্র জানায়, ২০১০ সালে তারা আট কোম্পানির ১২টি ব্র্যান্ডের জুস বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে। পরীক্ষায় ফলের রসের তেমন অস্তিত্ব মেলেনি। অথচ ওই ১২টি জুসের মধ্যে ১১টিতেই দেওয়া ছিল বিএসটিআইয়ের মান সার্টিফিকেট।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খাদ্যে ভেজাল রোধ করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব না হলেও মূল ভূমিকাটি সরকারকেই নিতে হবে। এর সঙ্গে প্রয়োজন সমন্বিত নাগরিক উদ্যোগ। পাশাপাশি ভেজালের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

Tuesday, April 15, 2014

দেখে নিন সেন্টমার্টিন দ্বীপ এর ভয়ংকর সেই মৃত্যুফাঁদ ( ভিডিও সহ সতর্কতামূলক পোস্ট)

বেশ কয়েকবছর আগে আমাদের কাছের এক বড় ভাইয়ার এক বন্ধু মারা যান সেন্টমার্টিন দ্বীপ এ পানিতে ডুবে। সব বন্ধু পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে আর চোখের সামনে মায়াবী সেন্টমার্টিন দ্বীপ এ নীল পানি গ্রাস করে নিচ্ছে কাছের বন্ধুকে !! ভাবতেই গা শিউরে উঠে।
এরপর যখন আমরা কয়েকটা বন্ধু মিলে সেন্টমার্টিন দ্বীপ এ যাই তখন কথাটা খুব মনে হচ্ছিল!! যাওয়ার পথেও অনেকের কাছেই শুনলাম এরকম হারিয়ে যাওয়ার কিছু সত্য গল্প। অবাক করা বিষয় হচ্ছে বর্ননায় সবার বলা জায়গাটা একটাই মনে হচ্ছিল। তাই ওখানে গিয়ে আমরাও খুজতে লাগলাম জায়গাটি।।
স্থানীর এক হোটেল কর্মকর্তার সাথে এসব নিয়ে কথা হচ্ছিল , কথা প্রসঙ্গে উনিও জায়গাটা দেখিয়ে দিয়েছিলেন, আর তানা হলে হয়ত আজ আর আমার এই পোস্ট টি লেখা হতনা হয়ত অন্যদের মত আমরাও হারিয়ে যেতাম সেখানে কারন জায়গাটা সেন্টমার্টিন নেমে প্রথম বীচে হাটা শুরু করলেই কয়েক মিনিট পরেই ওত পেতে থাকে অর্থাৎ অনেক কাছেই।
ওখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে হতে কিছু বুঝে উঠার আগেই হয়ত ভুলবশত আপনিও পা দিতে পারেন এই জায়গাটিতে!! কারন নীল পানির আচ্ছাদনে আলাদা করে বোঝার কোণ উপায় ই নেই।
আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের সেই ৩৪ জনের মধ্যে একজন রাফিউজ্জামান সিফাত। নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাসে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিজের বন্ধু হারানোর জন্য তিনি দায়ী করেছেন সেন্টমার্টিনের স্থানীয় প্রশাসন ও কোস্ট গার্ডের চরম দুর্বলতা কে। তার স্ট্যাটাসটি হুবহু এখানে দেয়া হল-
এরপরেও প্রায় প্রত্যেক বছর এই একি জায়গায় অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন আর এবার ২০১৪ তে এসে আহছান উল্লাহ ইউনিভার্সিটির এতগুলো ছাত্র অকালে প্রাণ হারালো !! খুব নাড়া দিয়ে উঠলো  আর ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করতেছে আমাদের নিষ্ঠুর বিবেক কে, এতটা নিশ্চিত জানা সত্তেও ওখানকার প্রশাসন কোণ ব্যবস্থা নেয়নি এই অভিশপ্ত জায়গা সম্পর্কে !!
যাহোক কথা না বাড়িয়ে আমি আপনাদের কে জায়গাটা একটূ ছবি দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাচ্ছি।।
যার গেছেন তারা নিশ্চই জানেন যে প্রথমে জাহাজে করে সবাইকে সেন্টমার্টিন ফেরীলাইনে নামিয়ে দেয়া হয়। আর সেখান থেকে পায়ে হেটে ব্রীজটা পার হয়ে এসে নামতে হয় সেন্টমার্টীন দ্বীপে।

এখানে নামলেই হাতের ডানদিকে যে বীচ টা দেখতে পাই প্রায় বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সবাই এই বীচ ধরে হাটি এবং ব্রীজের গোড়ার দিক থেকে পানিতে নামি আর কিনারা ঘেষে ডান দিকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি।।
পানিতে একবার নেমে পড়োলে আমরা আর কেউই কিন্তু বালিতে উঠে আসিনা সামনে এগুতে থাকি পানি ধরেই। ঠিক সোজা সামনের দিকে এগিয়ে গেলে এবার দ্বীপটা হাতের বা দিকে টার্ন নেয়। ঐ জায়গাকে বলা হয় “জিনজিরা উত্তরপাড়া” স্থানীয়রা বলেন উত্তর বীচ।।
দুইদিকের পানির স্রোত এবং ঐ ত্রিকোনাকৃতির মধ্যস্রোত এই জায়গাটিতে মিলিত হয়েছে এবং ত্রিমুখি স্রোতের কারনে পানির চাপ খুব বেশী ওখানটায় এবং চাপটা নিন্মমুখি।

স্থানটা দেখতে অনেকটা লম্ভাটে খালের মত, আর এই ত্রিমুখি স্রোতের কারনে অনেক জায়গাজুড়ে বড়সড়ো গর্ত তৈরী হয়েছে। জানিনা এবং কোন নির্দেশনা নেই বলেই আমরা সাতার কাটতে কাটতে এই টার্ন দিয়েই বা পাশের বীচের দিকে এগুতে থাকি, আর তখনি কিছু বুঝে উঠার আগেই সমুদ্রের অতলে হারিয়ে যায় অনেকেই

Frownএকিভাবে আমি এবং আমার বন্ধু জাকির ও রিয়াদ সাতার কেটে ওইদিকেই এগুচ্ছিলাম হঠাত ওখানে বীচে হাটাহাটি করা স্থানীয় দুইটা বাচ্ছা ছেলে আমাদের কে বললো ‘ভাইয়া ওইদিকে যাইয়েন না, গর্ত আছে’ আর হয়ত এভাবেই আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়েছেন !!
প্লিইজ সবার কাছে অনুরোধ রইলো এই স্থানটা সম্পর্কে আপনার কাছের সবাইকে সচেতন করে দিন। ছবিগুলো ফোনে নিয়ে নিন যখন যার সাথে কথা হবে দেখিয়ে দিন, যদি আর একটি প্রাণ ও বাঁচে আপনার এই ছোট্র কাজ থেকে তাহলে অনেক বেশী উপকৃত হবেন।। বুঝার সুবিধার্থে আমাদের ক্যামেরায় তোলা কিছু ছবি দিচ্ছিঃ

ফেরী লাইনের ব্রীজে দাঁড়িয়ে তোলা ছবি।।

ব্রীজ থেকে নেমে তোলা সেই একি জায়গার ছবি। জায়গাটার নাম উত্তর বীচ।
 
রিপ কারেন্ট বা উলটো স্রোত (ভিডিও)

Tuesday, March 11, 2014

ফেসবুকে এবার ফ্রি ফোনকলের সুবিধা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের নতুন এই সুবিধা শুধুমাত্র অ্যানড্রোয়েড ফোনগুলিতে পাওয়া যাবে।

সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এবার যোগ হলো ফ্রি ফোনকল করার সুবিধা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ফের এক নতুন পালক লাগল ফেসবুকের মুকুটে। ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার অপশনে যোগ হলো ফের এক নতুন প্রযুক্তির। 
এই প্রযুক্তির হাত ধরেই বাজারে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা। এখন থেকে ফেসবুকের সোশ্যাল ম্যাসেঞ্জার অ্যাপলিকেশন থেকে ফ্রিতে ফোন করা যাবে। 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজার চলতি সেই সমস্ত সংস্থা যেমন ভি-চ্যাট,ভিবর বা লাইনের মত সংস্থা যারা ফ্রি ফোন কলের সুবিধা দেয়, তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এবার নেমে পড়ল ফেসবুকও।
এতে বলা হয়েছে, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের সাহায্যে আগে থেকেই চ্যাট, ফোট চ্যাট বা ভিডিও চ্যাট করা যেত। এর জন্য যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার। এখন থেকে পাওয়া যাবে বিনা মূল্যে ফোনের সুবিধাও।
এবিপি আনন্দ বলছে, তবে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের নতুন এই সুবিধা শুধুমাত্র অ্যানড্রোয়েড ফোনগুলিতে পাওয়া যাবে। এছাড়া অ্যানড্রোয়েড ফোনে একটি রিসিভার ও কলারের একটা তালিকা দরকার, ফ্রি ফোন করার জন্য।

Saturday, March 1, 2014

যে কুকুরের মুখ মানুষের মত

বিদেশে কুকুরের বেশ কদর থাকলেও আমাদের দেশে কুকুর অনেকটাই অবহেলিত। বাংলাদেশে বয়স্ক মানুষগুলো শেষ বয়সে নাতি-পুতি নিয়ে সময় কাটালেও ইউরোপ-আমেরিকার বয়স্ক লোকজন জীবনের শেষ সময় কাটান তাদের প্রিয় পোষা কুকুরের সাথে। এখন যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করা হয়, কুকুর দেখতে কেমন? নির্ঘাত আপনার ভ্রু জোড়া কুঁচকে উঠবে এমন প্রশ্নে। মনে প্রথম যে উত্তর আসবে, তা হল- এটা কোনো প্রশ্ন হল! কুকুর দেখতে কুকুরের মতো!
কিন্তু আপনি কী জানেন, অন্তত একটা কুকুর আছে, যে দেখতে অনেকটাই মানুষের মতো! কী অবাক হচ্ছেন? অবাস্তব হলেও সত্যি, এই কুকুর জন্ম নিয়েছিল মানুষের মুখাকৃতি নিয়ে। তার উচ্চ ভাবপূর্ণ চোখ,অভিব্যক্তি এবং মাথার আকৃতি অনেকটাই মানুষের মত। কুকুরটির নাম হচ্ছে ‘টনিক’।
কুকুরের বর্তমান মালিক এন্ট্রি বলেন, ‘টনিক’কে ‘কেনটাকি কিল শেলটার’ থেকে নিয়ে আশা হয়। ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই কুকুর। ইন্টারনেটেও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে মানুষের মুখাকৃতির এই কুকুর। এন্ট্রি আরও বলেন, ‘টনিক’ এর থাকার জন্য ভালো একটা বাসার প্রয়োজন এবং তার অধিক শক্তির জন্য ভালো খাওয়া দাওয়া প্রয়োজন।
টনিক ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করে। বর্তমানে তার ওজন ১১ কেজি। টনিকের গায়ের রং হচ্ছে ঈষৎ বাদামী। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এন্ট্রি নিয়মিত টনিকের শরীর, হৃদপিণ্ড, জলাতঙ্ক রোগ ইত্যাদি পরীক্ষা নিরিক্ষা করান।
‘টনিক’ এর শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হলেও নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মধ্যে আছে। এন্ট্রি ‘টনিক’কে পেয়ে খুব খুশি। সানন্দেই কুকুরটির চিকিৎসার জন্য যেকোনো ধরণের পদ্ধতি অনুসরণ করতে রাজি সে।

Thursday, February 27, 2014

ধর্ষণ আটকাতে বিশেষ অন্তর্বাস তৈরি হল, টেনে খোলা খুবই কঠিন!

সারা পৃথিবী জুড়েই ধর্ষণের ঘটনা ক্রমবর্ধমান। এই পরিস্থিতিতে ধর্ষণ মোকাবিলায় এক বিশেষ ধরনের অন্তর্বাস তৈরি করল আমেরিকার একটি কোম্পানি।
তাদের দাবি, ওই বিশেষ অন্তর্বাস মহিলাদের ওপর যৌন আক্রমণ আটকাতে সক্ষম হবে। আর এর ফলে মহিলারা অনেক বেশি নিরাপদ বোধ করবেন নিজেদের।
এক ধরনের বিশেষ কাপড় দিয়ে এই পোশাক তৈরি করা হয়েছে, যার নাম ‘ধর্ষণ-রোধী অন্তর্বাস’। যে কাপড় দিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে তা সহজে ছেঁড়া বা খোলা যায় না।
এই অন্তর্বাস প্রস্তুতকারক সংস্থা এআই উইআর-এর দাবি, মহিলারা তাঁদের ওপর যৌন আক্রমণ ঠেকানোর ক্ষেত্রে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
এই শর্টস কাম অন্তর্বাসটি কোমরবন্ধনীর সঙ্গে এমনভাবে আটকে থাকে যা টেনে খোলা খুবই কঠিন কাজ। প্রয়োজন অনুসারে উরুর সঠিকস্থানে বেছে ব্যবহারকারীরা তা লক করে নিতে পারবেন।
উরু বা থাই-এর কাছে একবার লক লাগানো হয়ে গেলে অন্তর্বাসটিকে আর খোলা তো দুরের কথা সরানোও সম্ভব হবে না। কোমরের কাছেও থাকছে একই ধরনের লক করার ব্যবস্থা। নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই তা খোলা সম্ভব।

Tuesday, February 25, 2014

তৃতীয় স্ত্রী মিতার সঙ্গে এরশাদের সংসার?

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ তৃতীয় বিয়ে করেছেন। তার নতুন স্ত্রীর নাম মিতা।’ গত ২০০৯ সালের মাঝামাঝি এ রকম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকা।
নয়া দিগন্তের প্রতিবেদন পড়ে এরশাদ ‘ক্ষুব্ধ’ হয়ে উঠেন। এ প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য পত্রিকাটির বিরুদ্ধে তখন এরশাদের পক্ষে মামলাও করেন জাতীয় পার্টির এক নেতা।

নয়া দিগন্তের ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর ঢাকার বনানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ দাবি করেন, ‘নয়া দিগন্ত বানোয়াট গল্প ছাপিয়েছে আমার বিরুদ্ধে। আমার নতুন করে বিয়ের খবর মিথ্যে।’

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদের করা ‘দাবি’ পরদিন পত্রিকায় ছাপা হয়। তা দেখে এরশাদের সাবেক দ্বিতীয় স্ত্রী বিদিশা প্রতিক্রিয়া জানান। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছিলেন, ‘এরশাদ ঢাহা মিথ্যেবাজ। তিনি আমাকে বিয়ে করার পরও প্রথম কয়েক বছর এমন কথাই বলতেন যে, বিয়ে করেননি।’

এ নিয়ে তখন দেশিয় গণমাধ্যমে মুখরোচক নানা আলোচনা, সমালোচনা চলতে থাকে। নারীকামী এরশাদ দেশের রাজনীতিতে ডিগবাজির শ্রেষ্ঠ নায়কও। রাজনীতি নিয়ে তার ডিগবাজি চলতে থাকে। একের পর এক ডিগবাজির ঘটনার ভিড়ে গণমাধ্যমের কাছে চাপা পড়ে যায় তার তৃতীয় বিয়ের প্রসঙ্গটি। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকে তা ভুলেও যান।

গত ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টির অনেক নেতা আসেন এরশাদের ঢাকার বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাড়িতে। ওই বাড়িতে তারা একটিবারের জন্যও দেখেননি এরশাদের প্রথম স্ত্রী রওশনকে। এর থেকে দলের নেতাদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, রওশন নন, অন্য একজনকে নিয়ে এরশাদ এখন সংসার করছেন!


গত প্রায় পাঁচ দশক ধরে টিকে আছে এরশাদ, রওশনের দাম্পত্য জীবন। রওশন কখনোই স্বামীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস করেছেন, এমন কোনো নজির নেই। রাষ্ট্রপতি থাকাকালে এরশাদের পরকীয়া কাহিনী দেশ, বিদেশে জানাজানি হয়। এ নিয়ে রওশন কোনোদিন একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি স্বামীর বিরুদ্ধে। বিদিশাকে বিয়ে করা, অন্যান্য ভক্ত নারীদের সান্নিধ্য, তাদের সঙ্গে এরশাদের সেক্স কাহিনী, সব চোখ বুজে সহ্য করেছেন তিনি। সেই রওশন নেই এরশাদের সঙ্গে!
জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতা প্রিয় দেশ ডটনেটকে জানান, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এরশাদ। এরপর গত ১২ ডিসেম্বর রাতে তাকে ‘চিকিৎসার’ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়। এক মাস তিনি ‘হাসপাতালের বিছানা’য় থাকলেও তার পাশে রওশন ছিলেন না। একদিন মাত্র ঘণ্টাখানেকের জন্য তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রওশন।

জাতীয় পার্টির নেতারা জানতে পারেন, গত কয়েক বছর ধরে রওশন আলাদা থাকছেন। শেষ বয়সে এসে সতীনের সঙ্গে সংসার করার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি বলেই তিনি আলাদা আছেন। কয়েক নেতার দাবি, প্রেসিডেন্ট পার্কের বাড়িতে তারা মিতাকে দেখেছেন। তবু তাদের প্রশ্ন, এরশাদ কি এখন তৃতীয় স্ত্রী মিতার সঙ্গে সংসার করছেন?

Sunday, February 23, 2014

এসএসসির গণিতের প্রশ্ন ফাঁস!

এসএসসি পরীক্ষার গণিতের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সারা দেশে আজ ওই পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এর আগেই প্রশ্নটি ফাঁস করেছে একটি চক্র। বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে প্রশ্ন। ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গণিতের ওই ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। হাতে লেখা কপি ও মোবাইল ফোনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। তবে ঢাকা বোর্ড বলেছে, প্রশ্নফাঁসের কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। সূত্র জানিয়েছে, একটি চক্র গত কয়েকটি পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস করেছে একই কৌশলে।  সেখান থেকে হুবহু কমন পড়ারও নিশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে। গণিতের বিভিন্ন বোর্ডে বিভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সব বোর্ডেই প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। মানবজমিন-এর কাছেও ঢাকা বোর্ডের একটি প্রশ্ন এসেছে। তাতে যেসব প্রশ্ন  দেয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে অনুশীলনী ১.১ এর ৩(২) এবং ১০ (৪) নম্বর অঙ্ক। অনুশীলনী ১.২ এর ৭ নম্বর এবং উদাহরণ ১১ । অনুশীলনী ২ এর রুট ৫ এবং উদাহরণ ৭। অনুশীলনী ৩.১ এর ১০ এবং ১৩ নম্বর অঙ্ক। অনুশীলনী ৩.২ এর ১১ এবং ১০ নম্বর অঙ্ক। অনুশীলনী ৩.৭ এর ১১ এবং ১০ নম্বর অঙ্ক। অনুশীলনী ৩.৮ এর ১১ নম্বর অঙ্ক। অনুশীলনী ৪.১ এর ৯, ৮ এবং ১৫ নম্বর অঙ্ক। অনুশীলনী ৪.৩ এর ৭ (৪) নম্বর অঙ্ক। অনুশীলনী ৫.২ এর ১৬ এবং ১৯ নম্বর অঙ্ক। অনুশীলনী ৬.১ এর ৮ এবং ১৩ নম্বর অঙ্ক। অনুশীলনী ৬.৫ এর ১০ এবং উদাহরণ ১৬। সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে প্রশ্নটি সাজেশন আকারে ফাঁস করা হয়েছে। কয়েকটি কোচিং সেন্টার মূলত এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষাঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় প্রশ্ন ফাঁস। এর আগে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেডিসি) এবং প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ছিল। তদন্তে তা প্রমাণিতও হয়। এছাড়া প্রাথমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হুবহু ফাঁস হওয়ায় কয়েকটি জেলার পরীক্ষা বাতিল করা হয়। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, প্রশ্নফাঁসের কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। কোন চক্র এ ধরনের কাজ করে থাকলে তার ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর। সব জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেয়া আছে। ৯ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৭২৭ জন। এর মধ্যে সাত লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন ছাত্র এবং ছয় লাখ ৯৯ হাজার ৫২৫ জন ছাত্রী। গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা  বেড়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ৫৫৪ জন। গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ তিন হাজার ২০৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। আগামী ২২শে মার্চ পর্যন্ত তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে। আর ২৩ থেকে ২৭শে মার্চের মধ্যে  শেষ করতে হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

Saturday, February 22, 2014

মানব-কুমির!

গ্রিক উপকথায় স্যান্টর নামে এক দেবতার কথা পাওয়া যায়। এর শরীরের অর্ধেক মানুষ অর্ধেক ঘোড়া। সর্পমানবী মেডুসা, মানব-ছাগল ফাউন এমন অনেক চরিত্র গ্রিক উপকথায় আছে।
কিন্তু মিশর, তুরস্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত একটি সাধারণ উপকথার কথা হয়ত সবাই জানে না। এই অঞ্চলে কুমির-মানব বা মানব-কুমিরের গল্প প্রচলিত আছে।

১৯৯২ সালে তুরস্কের প্রত্নতত্ত্ববিদেরা ঘোষণা দেন, ইস্তাম্বুলের বিখ্যাত টপকাপি প্রাসাদের ভল্টে পাওয়া গেছে একটি অদ্ভূত প্রাচীন মিশরীয় মমি। একটি পুরনো সিন্দুকে এই মমিটি রক্ষিত ছিল। মমিটি খুলতেই বেরিয়ে আসে এক অদ্ভূত প্রাণী। এর উপরের অংশ এক কিশোর বালকের এবং নিচের অংশ কুমিরের। এই রহস্যের কিনারা এখনও হয়নি।

কিছু কিছু গবেষক দাবি করেন, কুমির ওই বালকটির অর্ধেক অংশ খেয়ে ফেলেছে। পরবর্তীতে তার বাবা-মা ছেলের স্মৃতি রক্ষার উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ কৌশলের আশ্রয় নেন। তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী, একটি কুমির মেরে নিচের অংশ বালকটির উপরের অংশের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়া হয়।

প্রাচীন মিশরে ছিল কুমির দেবতা। ধারণা করা হয়, সিবেকের প্রার্থনাকারীরা এমন একটি মূর্তি তৈরি করেছিল। ওই কুমির দেবতা ছিল নদী ও হ্রদের দেবতা। অথবা এমনও হতে পারে প্রদর্শনীতে টাকা উপার্জন করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে প্রতারণার ধান্দায়।

দানবের এমন বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রেও প্রচলিত আছে। এমন একটি হচ্ছে জ্যাক দ্য অ্যালিগেটর। এতে আছে নিচের অংশ কুমির এবং উপরের অংশ বানরের। ওয়াশিংটনের লং-বিচের ৪০৯ সাউথ প্যাসিফিক অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত মার্শেস ফ্রি মিউজিয়ামে এটি রক্ষিত আছে। একটি এনটিক স্টোর থেকে মার্শেস এটি ১৯৬৭ সালে ৭৫০ ডলারে কিনে নেন।

১৯৯৩ সালের ৯ নভেম্বর সাপ্তাহিক ওয়ার্ল্ড নিউজ সাময়িকীতে প্রথম পাতায় এর একটি ছবিসহ লেখা প্রকাশিত হয়। শিরোনাম দেয়া হয়, ‘ফ্লোরিডার একটি জলাশয়ে অর্ধেক মানুষ অর্ধেক কুমির আকৃতির প্রাণী পাওয়া গেছে’। পরবর্তী সংখ্যায় লেখা হয়, এই অদ্ভূত প্রাণীটি নাকি ছাড়া পেয়ে মিয়ামিতে এক ব্যক্তিকে মেরে ফেলেছে। শুধু তা-ই নয় বাচ্চাও নাকি প্রসব করেছে!

জ্যাক দ্য অ্যালিগেটর নিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রথা যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতিতে লক্ষ্য করা যায়। এই আকৃতির প্রাণীটির প্রতিকৃতি ওয়াশিংটন এবং অরেগনে অহরহ চোখে পড়ে।

Friday, February 21, 2014

আচ্ছা, সাকিব কি ছাত্রলীগ করেন?’(ভিডিও )

‘আচ্ছা, সাকিব কি ছাত্রলীগ করেন?’- মিনার রশীদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রশ্নটি করেছেন। তিনি তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, প্রশ্নটি মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল। কার কাছে জিজ্ঞেস করি, ভেবে পাচ্ছিলাম না। শেষমেষ ফেসবুকেই প্রশ্নটি রাখলাম।
কারন কিছুদিন আগে ছাত্রলীগের এক কর্মী গণতন্ত্রের জন্যে সংগ্রামরত আইনজীবীদের দিকে ফোকাস করে সেই একই জিনিস প্রদর্শন করেছিল। এক হাতে তার গর্বের সেই অঙ্গ এবং অন্য হাতে ছিল আমাদের গৌরবের পতাকা। পত্রিকায় স্পষ্ট ছবিটি আসলেও বলিষ্ঠ অঙ্গের গর্বিত সেই অধিকারীর কিছুই হয় নি।

তবে ঘটনাবহুল সেই ২৯শে ডিসেম্বরের আগে আওয়ামী নেতা মায়া হুমকি দিয়েছিলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত এই পতাকার কোন অবমাননা করলে দেখে নেয়া হবে।’
কাজেই একই কাজ বিএনপি জামায়াত করলে খবর হয়ে যেতো। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া কমপক্ষে এক মাস একই ছবি ইনিয়ে বিনিয়ে প্রদর্শন করতো। শাহবাগীরা গর্জে ওঠত। লাকীরা আকাশের দিকে তাকিয়ে শ্লোগান দিতেন। কাজেই ঐ প্রদর্শক কোনভাবে বেঁচে থাকলেও তার ঐ অঙ্গ কোনরূপ অপারেশন ব্যাতিতই উধাও হয়ে যেত।কাজেই ছাত্রলীগ করলে সাকিবের ভয়ের কিছু নেই। না করলে নিশ্চয় খবর আছে।


Wednesday, February 12, 2014

নাইজেরিয়ার রেস্টুরেন্টে মানুষের মাংসের খাবার বিক্রি!

নাইজেরিয়ার এক রেস্টুরেন্টে মানুষের মাংস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার বিক্রি করার দায়ে মালিকসহ ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া পুলিশ আনামবারা এলাকার ওই রেস্টুরেন্টে তল্লাসি চালিয়ে কমপক্ষে দুটি মানুষের মাথা খুঁজে পায়। বুধবার ডেইলি মিরর পত্রিকায় এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
 
পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, রক্তাক্ত মাথা দুটি একটি কাগজ দিয়ে মোড়ানো ছিল। পুলিশ বলছে, তেলে ভেজে আলাদা খাবার তৈরি করার জন্যই  মাথা দুটি রাখা হয়েছিল। এছাড়া খাবারের দোকানটি থেকে দুটি একে রাইফেল, আগ্নেয়াস্ত্র, কয়েক ডজন গোলা বারুদ এবং বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, রেস্টুরেন্টটিতে সবসময় রহস্যজনক মানুষদের আনাগোনা ছিল।
 
স্থানীয় এক যাজক খাবার খেতে ওই দোকানে ঢুকলে তাকে মানুষের মাংস দিয়ে তৈরি খাবার পরিবেশন করা হয় বলে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ওই দোকানটিতে অভিযান চালায়।
 
ওই যাজক স্থানীয় ‘ইওর জিউস নিউজ’ পত্রিকাকে বলেন,‘ খাওয়া-দাওয়ার পর ওরা আমাকে বিল দিল। বিল দেখে তো আমার মাথায় হাত! আমি তখন এক কর্মচারীকে এত বেশি বিল হওয়ার কারণ জানতে চাইলাম। জবাবে সে জানায়, আমাকে মানুষের মাংস দেয়া হয়েছে। তার কথা শুনে আমি তো তাজ্জব হয়ে গেলাম।’ এ কথা জানার পর তিনি সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে থানায় যান এবং ওই রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
 
তবে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ কীভাবে মানুষের মাংস যোগাড় করতেন এ বিষয়ে ‘ডেইলি মিরর’ কিছু জানায়নি।

Monday, February 10, 2014

আলু নিয়ে মতিয়ার ‘বয়ান’


আলুর দাম পড়ে যাওয়াকে সাময়িক মনে করলেও কিভাবে সমস্যা উত্তরণ করা হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছুই বলেননি কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
সোমবার সংসদে নূরল ইসলাম মিলন জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর মনোযোগ আকর্ষণের এক নোটিসে বলেন, ত্রুটিপূর্ণ বিপণন ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত সংরক্ষণাগার না থাকা এবং প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের অভাবে দেশের আলু চাষিরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
তিনি আলু বর্তমান জটিলতার অবসানে রপ্তানির পক্ষে মত প্রকাশ করেন।
চলতি অধিবেশনে এর আগেও কয়েক দিন আলুর দাম নিয়ে কথা বলার পর সোমবার নোটিসের পর নাতিদীর্ঘ বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী।
আলুর দাম কমে যাওয়ায় রাস্তায় আলু ফেলে প্রতিবাদ জানান উত্তরবঙ্গের চাষিরা। মন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও বাড়েনি আলুর দাম। আলু সংরক্ষণে নতুন করে কোনো উদ্যোগও নেয়নি সরকার।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত বছরের মে মাসে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামীর সমাবেশ এবং জানুয়ারিতে বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধের পর থেকে আলু পরিবহনে সমস্যা দেখা দেয়।
“ঢাকা, মেট্রোপলিটন শহরের হোটেল, ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় ভোক্তা পর্যায়ে আলুর ব্যবহার হ্রাস পায়। আলুর চপ, মাংসের সঙ্গে আলু, খাসির মাংসে আলু, বিরিয়ানীতে, বিয়ে বাড়িতে এবং লাবড়ায় আলুর ব্যবহার কমে যায়।”
ঢাকায় দুই কোটি লোক থাকে দাবি করে মতিয়া বলেন, “৫০ লাখ মানুষ যদি আলু না খায়, কী অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে?”
উত্তরাঞ্চলের কৃষকরা বেশি মুনাফার আশায় আগাম আলু চাষ করে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, তারা হরতাল-অবরোধে ঢাকায় আলু সরবরাহ করতে পারেনি।
মৌসুমের প্রথম দিকে ওঠা আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, এখনো পুরানো আলু স্টোরেজে রয়ে গেছে। সংরক্ষণের অভাবে বাজারে আলুর দাম কমে।
“মাথা ব্যথার ঔষধ মাথা কেটে ফেলা না। আমরা আলুর উৎপাদন কমাব না,” বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, পটাশ সারের ব্যবহারের ফলে আলুর উৎপাদন বেড়েছে। আমরা পটাশ সারের দাম ৭৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা করেছি। কৃষকরা এখন এই সার বেশি ব্যবহার করতে পারে।
হিমাগারে থাকা পুরনো আলু এবং মৌসুমের নতুন আলু কিভাবে সংরক্ষণ করা যায়, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আলু নিয়ে এই সমস্যা সরকার গভীরভাবে পর্বেক্ষণ করছে। আমরা তাদেরকে স্থানীয়ভাবে আলু সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছি।”
আওয়ামী লীগ সরকারই আলু রপ্তানির ব্যবস্থা করেছে উল্লেখ করে মতিয়া বলেন, শিল্পের সঙ্গে যদি এর সংযোগ ঘটাই তাহলে উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার ২০ হাজার মেট্রিক টন আলু রাশিয়াতে রপ্তানি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও তাইওয়ানেও আলু রপ্তানির ব্যবস্থা করা হবে।
আলু চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ইচ্ছা আছে কি না- নোটিসে সেই প্রশ্ন থাকলেও এনিয়ে কোনো কথা বলেননি মন্ত্রী।
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article742231.bdnews

তারুণ্য ধরে রাখে পেয়ারা

বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে মৌসুমি ফল পেয়ারা। জনপ্রিয় সবুজ এ ফলটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণেও অতুলনীয়। পেয়ারাতে অাঁশ, পানি, কার্বহাইড্রেট, পোট্রিন ভিটামিন 'এ', ভিটামিন 'কে', পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি খাদ্য উপাদান রয়েছে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ময়েশ্চার, যা তারুণ্য বজায় রাখে দীর্ঘদিন। এছাড়া পেয়ারায় ভিটামিন 'বি' ও প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ বিদ্যমান। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেয়ারা বেশ উপকারী। এতে ইনফেকশনরোধী উপাদান থাকায় হজমক্রিয়া শক্তিশালী করে। হার্টের রোগীদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ পথ্য। ওজন কমাতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং মুখের রুচি বাড়াতে জুড়ি নেই পেয়ারার। এটি ত্বক, চুল ও চোখের পুষ্টি জোগায়। ডায়াবেটিস, ক্যানসার, প্রস্টেট ক্যানসারের মতো রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে পেয়ারা। একটি পেয়ারায় রয়েছে চারটি কমলালেবুর সমান পুষ্টিগুণ। তাই সপ্তাহে অন্তত একটি করে হলেও পেয়ারা খাওয়া উচিত বলে পুষ্টিবিজ্ঞানীরা মতামত দিয়েছেন। সূত্র : ওয়েবসাইট

এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে 'এলিয়েন'

সদ্য শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এলিয়েন।  তার চেহারার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এলাকায় এই নামে পরিচিত হলেও তার আসল নাম আমির হামজা। আমির সদর উপজেলার দেহন রওশনপুর দাখিল মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্র। সে দেহন গ্রামের বিজিবি সদস্য শমসের আলীর ছেলে। কোনো বিষয়ে একবার ধারণা নিলে তা পরে সে হুবহু তুলে ধরতে পারে আমির। এটা তার বিশেষ গুণ।

এলাকাবাসী জানায়, আমির ছোট থেকেই খুব মেধাবী। তবে তার সঙ্গে এলাকার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করতে ভয় পেত। এ কারণে আমির সব সময় বাড়িতেই থাকত। তাকে সবাই এলিয়ন বলে চেনে।

আমিরের মা সাথে কথা বলে জানা যায়, আমির আমাদের পরিবারের লক্ষ্মী। আমরা পরিবারের কোনো সিদ্ধান্ত নিতে আমিরের সঙ্গে কথা বলি আগে। কারণ আমির সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত দিত।তিনি আরও জানান, ছোটবেলায় আমির অনেক অসুস্থ ছিল। এখনো সে অসুস্থ। তবে আমিরের পরিবারের অন্য সদস্যরা সুস্থ।

রওশনপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার আ. রাজ্জাক  জানান, আমির হামজা প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র হিসেবে বরাবরই প্রথম স্থান লাভ করেছে। পরে শারীরিক বিভিন্ন রোগের কারণে সে পিছিয়ে পড়ে। তার পরও সে কৃতিত্বের সঙ্গে দাখিল পরীক্ষা পাস করবে বলে জানান তিনি।

Sunday, February 9, 2014

দাঁতের রং নষ্ট হয়ে যাচ্ছে? লেবুতেই সমাধান

দাঁতের রং নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে ধূমপানসহ অনুরূপ বিভিন্ন কারণে অনেকের দাঁত হলুদ হয়ে যায়, যা সামাজিক জীবনে সমস্যা তৈরি করে এবং আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। কিন্তু আপনি জানেন কি, এ সমস্যা সমাধানে খুবই কার্যকর ও সহজ সমাধান লেবু। এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
অনেকেই দাঁতের এ সমস্যা সমাধানে সময় ও অর্থ ব্যয় করে ডেন্টিস্টের কাছে যেতে চান না। তাদের জন্যও এ ঘরোয়া সমাধান খুবই কাজে লাগতে পারে। তবে আপনার দাঁতে আগে থেকে অন্য কোনো সমস্যা থাকলে এ পদ্ধতি প্রয়োগের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
যেভাবে করবেন-
-একটি কাপে লেবুর রস নিয়ে সেখানে কিছুটা পানি মিশিয়ে দিন।
-দিনে দুইবার দাঁত ব্রাশ করার পর মুখ ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করুন।
-তারপর সেই লেবুর রস আপনার দাঁতে মাখিয়ে নিন এবং প্রয়োজনে হালকা করে ম্যাসেজ করে নিন প্রতিবার দাঁত ব্রাশ করার পর।
-ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

Friday, February 7, 2014

হিজাব পরায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে বের করে দিলেন শিক্ষক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সরকার ও রাজনীতি বিভাগে হিজাব পরায় কয়েকজন ছাত্রীকে গালমন্দ করে ক্লাস থেকে বের করে দিয়েছেন অধ্যাপক খুরশিদা বেগম। এদিকে এ ঘটনায় তোলপাড় হলে উল্টো ছাত্রীদেরকেই ক্ষমা চাইতে হয়েছে ওই অধ্যাপকের কাছে। সোমবার ক্লাস প্রেজেন্টেশন (উপস্থাপনা) করতে গেলে হিজাব পরা ছাত্রীদের নিয়ে তিনি কটূক্তি করেন এবং তাদেরকে ক্লাসরুম থেকে বের করে দেন। এরপর গতকাল আবার শিক্ষার্থীদেরকে তার কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন। নিজের দোষ ঢাকতে ওই অধ্যাপিকা ফোনে হত্যার হুমকির নাটক সাজিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অধ্যাপিকা খুরশিদা বেগমের ক্লাসে ছাত্রীরা ওড়না দিয়ে মাথা ঢেকে রাখলেও তাদের নিয়ে কটূক্তি করেন তিনি। তাদের তিনি মৌলবাদী, জামায়াত, জঙ্গি, কোটরের মুরগি, অসামাজিক ইত্যাদি বলে গালাগালি করতে থাকেন। সোমবার মাস্টার্সের (৩৮তম ব্যাচ) ৫০৫ নং কোর্স ‘রেস অ্যান্ড এথনিক পলিটিক্স’-এর ক্লাস নেয়ার সময় তিনি আবারও হিজাব পরা ছাত্রীদের নিয়ে কটূক্তি করেন। এর আগেও তিনি বিভিন্ন ব্যাচের বোরকা পরা ছাত্রী নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন বলে একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন। তবে সোমবার ওই শিক্ষিকা হিজাব সংক্রান্ত কটূক্তির পর ছাত্রছাত্রীদের রোষানলের মুখে পড়েন। এরপর তিনি ভিআইওপি কলের মাধ্যমে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানান। তিনি অভিযোগ করেন মোবাইলে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। হিজাব নিয়েও কথা বলতে নাকি নিষেধ করা হয়েছে। তবে খুরশিদা বেগমের এই অভিযোগকে সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক শিক্ষার্থী।
এদিকে অধ্যাপিকা খুরশিদার মোবাইল এখনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট জমা আছে বলে জানা গেছে। লাঞ্ছিত ছাত্রীদের সূত্রে জানা যায়, সোমবার হিজাব পরা ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে খুরশিদা বলেন, যারা হিজাব পরে তাদের মস্তিষ্ক অবরুদ্ধ, তারা অন্তঃসারশূন্য। যারা ক্লাসে হিজাব পরে আসবে তাদের প্রেজেন্টেশন (উপস্থাপনা) আমি নেবো না। যাদেরকে আমার ভাল লাগে না তাদেরকে আমি ক্লাসে কথাও বলতে দেবো না। এমনকি তাদেরকে শ্রেণীকক্ষের অন্য শিক্ষার্থীদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে বলেন তিনি। ওই ছাত্রীদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, যে মেয়েরা হিজাব পরে তারা ক্ষেত, প্যাকেটের মতো মোড়ানো, তাদের মধ্যে কোন আধুনিকতা নেই। এসব মেয়েদের ক্লাস নেবে তেঁতুল হুজুররা। আমি যাদের পড়াবো তাদেরকে সালোয়ার কামিজ অথবা শাড়ি পরে আসতে হবে। এটা আমার ক্লাস, এখানে শুধুই আমার কর্তৃত্ব। ওই শিক্ষক এ ধরনের মন্তব্য করলে হিজাব পরা ছাত্রীরা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমাদের পর্দা করার স্বাধীনতা আছে। তাই বলে আপনি আমাদেরকে অন্য পোশাক পরে আসতে বাধ্য করতে পারেন না। তাদের এই কথায় অধ্যাপক খুরশিদা বেগম আরও রাগান্বিত হয়ে সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীদের রুমে ডেকে নিয়ে আবারও হিজাবের সমালোচনা করেন। তিনি এসব ছাত্রীকে সালোয়ার কামিজ অথবা শাড়ি পরার জন্য পরামর্শ দেন। এ নিয়ে তোলপাড় হলে গতকাল বুধবার তিনি ওই শিক্ষার্থীদেরকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন বলে সূত্র জানায়। অধ্যাপক খুরশিদার এমন আচরণের বিষয়ে এক ছাত্রী বলেন, আমরা ধর্ম পালন না করলেও তার যেমন কিছু করার নেই তেমনি আমরা ধর্ম পালন করলেও তার কিছুই করার কথা নয়। কারণ ধর্ম যার যার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়। এ বিষয়ে অধ্যাপক খুরশিদা বেগমের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পরে কথা বলবো। ঘটনার বিষয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সভাপতি বশির আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অধ্যাপিকা খুরশিদার যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তা শিক্ষার্থীরা মিটিয়ে নিয়েছে। এরপর তৃতীয় ব্যক্তি ম্যাডামের ফোনে বিভিন্ন স্থান থেকে ফোন করে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে ক্ষুদে বার্তাও পাঠিয়েছে। অধ্যাপিকা খুরশিদাকে হত্যার হুমকির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কোন ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে বিভাগের সভাপতি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে এবং তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও তার হত্যার হুমকির নিন্দা জানিয়েছে বলে জানান তিনি।

টাঙ্গাইলে মাথা ও হাত-পা বিহীন লাশ উদ্ধার

টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়া থেকে মাথা ও হাত পা বিহীন এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ।

শনিবার সকালে স্থানীয় লোকজন রাস্তায় হাটতে বের হয়ে একটি রক্তাক্ত বস্তা পরে থাকতে দেখে। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে বস্তা খুলে মাথা ও হাত-পা বিহীন এক উলঙ্গ পুরুষের লাশ উদ্ধার করে।

লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশটির কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি ও মামলা হয়নি।