গ্রিক উপকথায় স্যান্টর নামে এক দেবতার কথা পাওয়া যায়। এর শরীরের অর্ধেক
মানুষ অর্ধেক ঘোড়া। সর্পমানবী মেডুসা, মানব-ছাগল ফাউন এমন অনেক চরিত্র
গ্রিক উপকথায় আছে।
কিন্তু মিশর, তুরস্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত একটি সাধারণ উপকথার কথা হয়ত সবাই জানে না। এই অঞ্চলে কুমির-মানব বা মানব-কুমিরের গল্প প্রচলিত আছে।
১৯৯২ সালে তুরস্কের প্রত্নতত্ত্ববিদেরা ঘোষণা দেন, ইস্তাম্বুলের বিখ্যাত টপকাপি প্রাসাদের ভল্টে পাওয়া গেছে একটি অদ্ভূত প্রাচীন মিশরীয় মমি। একটি পুরনো সিন্দুকে এই মমিটি রক্ষিত ছিল। মমিটি খুলতেই বেরিয়ে আসে এক অদ্ভূত প্রাণী। এর উপরের অংশ এক কিশোর বালকের এবং নিচের অংশ কুমিরের। এই রহস্যের কিনারা এখনও হয়নি।
কিছু কিছু গবেষক দাবি করেন, কুমির ওই বালকটির অর্ধেক অংশ খেয়ে ফেলেছে। পরবর্তীতে তার বাবা-মা ছেলের স্মৃতি রক্ষার উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ কৌশলের আশ্রয় নেন। তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী, একটি কুমির মেরে নিচের অংশ বালকটির উপরের অংশের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়া হয়।
প্রাচীন মিশরে ছিল কুমির দেবতা। ধারণা করা হয়, সিবেকের প্রার্থনাকারীরা এমন একটি মূর্তি তৈরি করেছিল। ওই কুমির দেবতা ছিল নদী ও হ্রদের দেবতা। অথবা এমনও হতে পারে প্রদর্শনীতে টাকা উপার্জন করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে প্রতারণার ধান্দায়।
দানবের এমন বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রেও প্রচলিত আছে। এমন একটি হচ্ছে জ্যাক দ্য অ্যালিগেটর। এতে আছে নিচের অংশ কুমির এবং উপরের অংশ বানরের। ওয়াশিংটনের লং-বিচের ৪০৯ সাউথ প্যাসিফিক অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত মার্শেস ফ্রি মিউজিয়ামে এটি রক্ষিত আছে। একটি এনটিক স্টোর থেকে মার্শেস এটি ১৯৬৭ সালে ৭৫০ ডলারে কিনে নেন।
১৯৯৩ সালের ৯ নভেম্বর সাপ্তাহিক ওয়ার্ল্ড নিউজ সাময়িকীতে প্রথম পাতায় এর একটি ছবিসহ লেখা প্রকাশিত হয়। শিরোনাম দেয়া হয়, ‘ফ্লোরিডার একটি জলাশয়ে অর্ধেক মানুষ অর্ধেক কুমির আকৃতির প্রাণী পাওয়া গেছে’। পরবর্তী সংখ্যায় লেখা হয়, এই অদ্ভূত প্রাণীটি নাকি ছাড়া পেয়ে মিয়ামিতে এক ব্যক্তিকে মেরে ফেলেছে। শুধু তা-ই নয় বাচ্চাও নাকি প্রসব করেছে!
জ্যাক দ্য অ্যালিগেটর নিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রথা যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতিতে লক্ষ্য করা যায়। এই আকৃতির প্রাণীটির প্রতিকৃতি ওয়াশিংটন এবং অরেগনে অহরহ চোখে পড়ে।
কিন্তু মিশর, তুরস্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত একটি সাধারণ উপকথার কথা হয়ত সবাই জানে না। এই অঞ্চলে কুমির-মানব বা মানব-কুমিরের গল্প প্রচলিত আছে।
১৯৯২ সালে তুরস্কের প্রত্নতত্ত্ববিদেরা ঘোষণা দেন, ইস্তাম্বুলের বিখ্যাত টপকাপি প্রাসাদের ভল্টে পাওয়া গেছে একটি অদ্ভূত প্রাচীন মিশরীয় মমি। একটি পুরনো সিন্দুকে এই মমিটি রক্ষিত ছিল। মমিটি খুলতেই বেরিয়ে আসে এক অদ্ভূত প্রাণী। এর উপরের অংশ এক কিশোর বালকের এবং নিচের অংশ কুমিরের। এই রহস্যের কিনারা এখনও হয়নি।
কিছু কিছু গবেষক দাবি করেন, কুমির ওই বালকটির অর্ধেক অংশ খেয়ে ফেলেছে। পরবর্তীতে তার বাবা-মা ছেলের স্মৃতি রক্ষার উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ কৌশলের আশ্রয় নেন। তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী, একটি কুমির মেরে নিচের অংশ বালকটির উপরের অংশের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়া হয়।
প্রাচীন মিশরে ছিল কুমির দেবতা। ধারণা করা হয়, সিবেকের প্রার্থনাকারীরা এমন একটি মূর্তি তৈরি করেছিল। ওই কুমির দেবতা ছিল নদী ও হ্রদের দেবতা। অথবা এমনও হতে পারে প্রদর্শনীতে টাকা উপার্জন করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে প্রতারণার ধান্দায়।
দানবের এমন বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রেও প্রচলিত আছে। এমন একটি হচ্ছে জ্যাক দ্য অ্যালিগেটর। এতে আছে নিচের অংশ কুমির এবং উপরের অংশ বানরের। ওয়াশিংটনের লং-বিচের ৪০৯ সাউথ প্যাসিফিক অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত মার্শেস ফ্রি মিউজিয়ামে এটি রক্ষিত আছে। একটি এনটিক স্টোর থেকে মার্শেস এটি ১৯৬৭ সালে ৭৫০ ডলারে কিনে নেন।
১৯৯৩ সালের ৯ নভেম্বর সাপ্তাহিক ওয়ার্ল্ড নিউজ সাময়িকীতে প্রথম পাতায় এর একটি ছবিসহ লেখা প্রকাশিত হয়। শিরোনাম দেয়া হয়, ‘ফ্লোরিডার একটি জলাশয়ে অর্ধেক মানুষ অর্ধেক কুমির আকৃতির প্রাণী পাওয়া গেছে’। পরবর্তী সংখ্যায় লেখা হয়, এই অদ্ভূত প্রাণীটি নাকি ছাড়া পেয়ে মিয়ামিতে এক ব্যক্তিকে মেরে ফেলেছে। শুধু তা-ই নয় বাচ্চাও নাকি প্রসব করেছে!
জ্যাক দ্য অ্যালিগেটর নিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রথা যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতিতে লক্ষ্য করা যায়। এই আকৃতির প্রাণীটির প্রতিকৃতি ওয়াশিংটন এবং অরেগনে অহরহ চোখে পড়ে।
No comments:
Post a Comment