তিনি আলু বর্তমান জটিলতার অবসানে রপ্তানির পক্ষে মত প্রকাশ করেন।
চলতি অধিবেশনে এর আগেও কয়েক দিন আলুর দাম নিয়ে কথা বলার পর সোমবার নোটিসের পর নাতিদীর্ঘ বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী।
আলুর দাম কমে যাওয়ায় রাস্তায় আলু ফেলে প্রতিবাদ জানান উত্তরবঙ্গের চাষিরা। মন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও বাড়েনি আলুর দাম। আলু সংরক্ষণে নতুন করে কোনো উদ্যোগও নেয়নি সরকার।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত বছরের মে মাসে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামীর সমাবেশ এবং জানুয়ারিতে বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধের পর থেকে আলু পরিবহনে সমস্যা দেখা দেয়।
“ঢাকা, মেট্রোপলিটন শহরের হোটেল, ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় ভোক্তা পর্যায়ে আলুর ব্যবহার হ্রাস পায়। আলুর চপ, মাংসের সঙ্গে আলু, খাসির মাংসে আলু, বিরিয়ানীতে, বিয়ে বাড়িতে এবং লাবড়ায় আলুর ব্যবহার কমে যায়।”
ঢাকায় দুই কোটি লোক থাকে দাবি করে মতিয়া বলেন, “৫০ লাখ মানুষ যদি আলু না খায়, কী অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে?”
উত্তরাঞ্চলের কৃষকরা বেশি মুনাফার আশায় আগাম আলু চাষ করে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, তারা হরতাল-অবরোধে ঢাকায় আলু সরবরাহ করতে পারেনি।
মৌসুমের প্রথম দিকে ওঠা আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, এখনো পুরানো আলু স্টোরেজে রয়ে গেছে। সংরক্ষণের অভাবে বাজারে আলুর দাম কমে।
“মাথা ব্যথার ঔষধ মাথা কেটে ফেলা না। আমরা আলুর উৎপাদন কমাব না,” বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, পটাশ সারের ব্যবহারের ফলে আলুর উৎপাদন বেড়েছে। আমরা পটাশ সারের দাম ৭৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা করেছি। কৃষকরা এখন এই সার বেশি ব্যবহার করতে পারে।
হিমাগারে থাকা পুরনো আলু এবং মৌসুমের নতুন আলু কিভাবে সংরক্ষণ করা যায়, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আলু নিয়ে এই সমস্যা সরকার গভীরভাবে পর্বেক্ষণ করছে। আমরা তাদেরকে স্থানীয়ভাবে আলু সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছি।”
আওয়ামী লীগ সরকারই আলু রপ্তানির ব্যবস্থা করেছে উল্লেখ করে মতিয়া বলেন, শিল্পের সঙ্গে যদি এর সংযোগ ঘটাই তাহলে উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার ২০ হাজার মেট্রিক টন আলু রাশিয়াতে রপ্তানি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও তাইওয়ানেও আলু রপ্তানির ব্যবস্থা করা হবে।
আলু চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ইচ্ছা আছে কি না- নোটিসে সেই প্রশ্ন থাকলেও এনিয়ে কোনো কথা বলেননি মন্ত্রী।
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article742231.bdnews
No comments:
Post a Comment