এসএসসি পরীক্ষার গণিতের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া
গেছে। সারা দেশে আজ ওই পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এর আগেই প্রশ্নটি
ফাঁস করেছে একটি চক্র। বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে প্রশ্ন। ১০ থেকে ২০ হাজার
টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গণিতের ওই ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেতে হুমড়ি খেয়ে
পড়েন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। হাতে লেখা কপি ও মোবাইল ফোনে এক জায়গা থেকে
অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। তবে ঢাকা বোর্ড বলেছে, প্রশ্নফাঁসের কোন অভিযোগ
আমরা পাইনি। সূত্র জানিয়েছে, একটি চক্র গত কয়েকটি পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস
করেছে একই কৌশলে। সেখান থেকে হুবহু কমন পড়ারও নিশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে। গণিতের
বিভিন্ন বোর্ডে বিভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সব
বোর্ডেই প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। মানবজমিন-এর কাছেও ঢাকা বোর্ডের একটি প্রশ্ন
এসেছে। তাতে যেসব প্রশ্ন দেয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে অনুশীলনী ১.১ এর ৩(২)
এবং ১০ (৪) নম্বর অঙ্ক। অনুশীলনী ১.২ এর ৭ নম্বর এবং উদাহরণ ১১ । অনুশীলনী
২ এর রুট ৫ এবং উদাহরণ ৭। অনুশীলনী ৩.১ এর ১০ এবং ১৩ নম্বর অঙ্ক। অনুশীলনী
৩.২ এর ১১ এবং ১০ নম্বর অঙ্ক। অনুশীলনী ৩.৭ এর ১১ এবং ১০ নম্বর অঙ্ক।
অনুশীলনী ৩.৮ এর ১১ নম্বর অঙ্ক। অনুশীলনী ৪.১ এর ৯, ৮ এবং ১৫ নম্বর অঙ্ক।
অনুশীলনী ৪.৩ এর ৭ (৪) নম্বর অঙ্ক। অনুশীলনী ৫.২ এর ১৬ এবং ১৯ নম্বর অঙ্ক।
অনুশীলনী ৬.১ এর ৮ এবং ১৩ নম্বর অঙ্ক। অনুশীলনী ৬.৫ এর ১০ এবং উদাহরণ ১৬।
সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে প্রশ্নটি সাজেশন আকারে
ফাঁস করা হয়েছে। কয়েকটি কোচিং সেন্টার মূলত এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। বর্তমান
সরকারের আমলে শিক্ষাঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় প্রশ্ন ফাঁস। এর আগে জুনিয়র
স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা
(জেডিসি) এবং প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ছিল।
তদন্তে তা প্রমাণিতও হয়। এছাড়া প্রাথমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হুবহু ফাঁস হওয়ায় কয়েকটি জেলার পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন,
প্রশ্নফাঁসের কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। কোন চক্র এ ধরনের কাজ করে থাকলে তার
ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর। সব জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে
দিক-নির্দেশনা দেয়া আছে। ৯ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমান
পরীক্ষা। এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৭২৭ জন। এর মধ্যে
সাত লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন ছাত্র এবং ছয় লাখ ৯৯ হাজার ৫২৫ জন ছাত্রী। গত
বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ৫৫৪ জন। গত বছর
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ তিন হাজার ২০৩ জন শিক্ষার্থী অংশ
নিয়েছিল। আগামী ২২শে মার্চ পর্যন্ত তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে। আর ২৩
থেকে ২৭শে মার্চের মধ্যে শেষ করতে হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
No comments:
Post a Comment