বেড়িয়ে আসছে সরকার প্রনীত জি-টু-জি পদ্ধতিতে জনশক্তি রপ্তানির দুর্বল
দিকগুলো। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জটিলতায় সরকারিভাবে মালয়েশিয়া গিয়ে
বিড়ম্বনায় পড়ছেন শ্রমিকেরা। সম্প্রতি এ ধরণের জটিলতায় পড়ে ফেরত এসেছেন
একজন শ্রমিক। দেশে করা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোনও সমস্যা না থাকলেও,
মালয়েশিয়া যাওয়ারর পর স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে
তাকে। দেশে ফেরার পর সরকারও কোনরকম সহায়তা করছে না বলে অভিযোগ করেছেন এই
শ্রমিক। বিদেশে কাজ করে সংসারে স্বচ্ছলতা আনার স্বপ্ন ছিলো মানিকগঞ্জের
আবদুল কাদেরের। এ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ
পাওয়া ১৯৮ জনের মধ্যে একজন তিনি। সবাই বলেছিলো, তিনি ভাগ্যবান। কিন্তু তার
এই ..সৌভাগ্যের সময়কাল মাত্র আড়াই মাস। সরকারি ভাবে মালয়েশিয়া যেতে
নির্বাচিত সবাইকে করতে হয়েছে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা। কাদেরকেও তা
করা হয়েছিলো। হৃদরোগ, অ্যাজমা, ডায়বেটিকস সহ ২১টি রোগের পরীক্ষায়
চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পরই তিনি পান মালয়েশয়ার ভিসা। অথচ কাজে
যোগ দেয়ার পর ডায়বেটিকস রোগের কারণ দেখিয়ে মাত্র এক দিনের নোটিসে তাকে
করা হয় দেশচ্যুত। হতাশ হয়ে দেশে ফিরে বারডেম সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন কাদের। এর একটিতেও নেই উচ্চ ডায়বেটিকসের কোন
আলামত। ভুক্তভোগী আবদুল কাদেরের দাবি, চাকরি ফিরিয়ে দিতে না পারলে
ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হোক। বেসরকারি জনশক্তি রপ্তানিকারকদেরকে শুরু
থেকেই এ পদ্ধতিতে কর্মী নিয়োগের বাইরে রেখেছে সরকার। এমন ঘটনায় তাই
সরকারের সমালোচনা করতে ছাড় দিচ্ছেন না তারা। কাদেরের এই অসহায়ত্ব সরকার
প্রণীত জি-টু-জি পদ্ধতির প্রধান দূর্বলতা বলে দাবি বায়রা মহাসচিবের আলী
হায়দার চৌধুরী।
Friday, August 16, 2013
টেলিটকের থ্রিজি প্যাকেজ: শুভঙ্করের ফাঁকি।
থ্রিজি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এগোতে পারছে না রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি টেলিটক। টেলিটকের প্যাকেজ পরিকল্পনায় শুভঙ্করের ফাঁকির কৌশলে অধিকাংশ গ্রাহককে থ্রিজি সেবা না দিয়ে এজ টু সার্ভিসের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
গ্রাহকরা একে প্রতারণা বলেই মনে করছেন। অন্যদিকে ঘন ঘন নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে দুর্ভোগে থ্রিজি গ্রাহকরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, নেটওয়ার্ক লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছেন তারা। বর্তমানে বাজারে একমাত্র থ্রিজি অপারেটর হলেও প্রায় আট মাস আগে চালু করা থ্রিজি প্রযুক্তি রাজধানীর বাইরে এখনও কার্যকরভাবে সম্প্রসারণ করতে পারেনি টেলিটক।
সূত্র জানায়, টেলিটক সিমকার্ড বিক্রির হার ভালো থাকলেও সংযোগ গ্রহণের কিছুদিন পরই সিম ব্যবহার খুব কমে যাচ্ছে কিংবা দিনের বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকছে। ফলে ব্যবহারকারীর দিক থেকে গ্রাহকসংখ্যায় কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি নেই।
কূটনীতিক শাহনাজ গাজীর বিবাহ বর্হির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তোলপাড়
কূটনীতিক শাহনাজ
গাজীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তোলপাড় সৃষ্টি
হয়েছে। এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার নেতিবাচক চারিত্রিক
কর্মকাণ্ড দেশের ইমেজকে ক্ষুণ্ন করবে বলেও মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের
দায়িত্বশীল একটি সূত্র।
পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় সূত্র ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চীনের কুংমিংয়ে
বাংলাদেশ মিশনের কনসাল জেনারেল শাহনাজ গাজীকে নিয়ে আগে থেকেই কূটনীতিক
মহলে বিতর্ক রয়েছে। গত ২০১০ সালে নিউইয়র্কের গ্রান্ড হায়াত হোটেলে
প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীণ ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মাহবুবুল হক শাকিলের সঙ্গে
অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই তার ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি
হয়েছে। কিন্তু তারপরও মাহবুবুল হক শাকিলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার সম্পর্ক
ভালভাবে নেয়নি অনেকে।
সূত্র জানায়, শাহনাজ
গাজীর ওপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তাই নাখোশ। তাদের অনেকে
অভিযোগ করে বলেন, নিউইয়র্কের ঘটনার পর শাহনাজ গাজীকে নিয়ে পত্রপত্রিকায়
অনেক লেখালেখি হয়েছে। এতে বাংলাদেশ সম্পর্কে বহির্বিশ্বে নেতিবাচক
ভাবমূর্তি সৃষ্টির সুযোগ দেখা দিলেন শাহনাজ গাজীকে রাখা হয়েছিল বহাল
তবিয়তে। সম্প্রতি আবারও তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল
হক শাকিলের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ছবি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে। এতে
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার সম পর্যায়ের ক্যাডার কর্মকর্তারা বিব্রতকর
পরিস্থিতিতে এড়াতে পারছেন না।
জানা গেছে, এর আগেও
বিএনপি সরকারের আমলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক পদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে
ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকায় লন্ডনে শাহনাজ গাজীর তার পদায়ন বাগিয়ে নিয়েছিলেন।
শুধু তাই নয় ওই সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. শমসের মুবিন
চৌধুরীর সঙ্গে শাহনাজের ‘চমৎকার’ ছিল।
এদিকে শাহনাজ গাজীকে
নিয়ে পত্র-পত্রিকায় খবর ছাপা হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।
শাহনাজ দাবি করেন তার ও শাকিলের ছবিগুলো ফটোশপের কারসাজি। তবে ইমেজ
ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞদের মনে করেন, ছবিগুলো ফটোশপের মাধ্যমে করা হয়নি।
এগুলো বাস্তবে তোলা ছবি।
তাছাড়া
নিউইয়র্ককাণ্ডের পরও তাদেরকে একসঙ্গে বেশ কয়েকবার গুলশানের সামদাদো
রেস্টুরেন্টেও দেখা গেছে। সেখানে তাদের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি তুলেছিলেন
রেস্টুরেন্টটির কর্মচারী আলবার্ড। তিনি ঢাকা টাইমসটোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, ‘
বিভিন্ন সময় আমি শাকিল স্যার ও শাহনাজ ম্যাডামের হাস্যজ্জ্বল দৃশ্যের ছবি
তুলে দিয়েছি। তারা একে অন্যের খুব ঘনিষ্ঠ বলেও জানতাম।’
এদিকে শাহনাজ গাজী
নিজেও এর আগে ছবিগুলো সম্পর্কে ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন,
‘ছবিগুলো কোথায়, কখন, কী অবস্থায় তুলেছি তাতো এখন বলতে পারব না।’
তবে মাহবুবুল হক
শাকিলের ঘনিষ্ট একটি সূত্র ঢাকা টাইমসটোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শাহনাজ
গাজীর সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন
জায়গায় গিয়েছেন। একসঙ্গে বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি তুলেছেন। এগুলোর কোনটাই
ফটোশপ বা অন্যকোনো ভাবে তৈরি করা নয়।
২০১০ সালের
সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা শাহনাজ গাজীকে মাহবুবুল হক শাকিল ধর্ষণের চেষ্টা
করেছিলেন বলে প্রচার করা হয়। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পরে নিউইয়র্ক থেকে দেশে ফিরে
আসেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারির পদটিও ছাড়তে হয়
তাকে। তবে শাহনাজ গাজী ছিলেন বহাল তবিয়তে। ওই ঘটনার পর তাকে
যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলসে বাংলাদেশ মিশনে ডেপুটি কনসাল জেনারেল হিসেবে
নিয়োগ দেয়া হয়। পরে এবছরের শুরুতে চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশের নতুন মিশন
খোলা হলে শাহনাজ গাজীকে কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। সরকারের
একাধিক সূত্র জানায়, ওই ঘটনায় শাকিলের কোনো দায় ছিল না এ ব্যাপারে
আশ্বস্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী তাকে ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি আরও উচ্চতর পদে
(বিশেষ সহকারী, মিডিয়া) নিয়োগ দেন।
পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক আসুদ আহমেদ ঢাকা টাইমস
টোয়েন্টিফোরকে বলেন, ‘শাহনাজ ম্যাডাম ও শাকিল সাহেব দুজনই সরকারের
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। নিঃসন্দেহে তারা অনেক বিবেকবান। তাদের নিয়ে যা
শোনযাচ্ছে তা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত। তাই এখনও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
পক্ষ থেকে অফিশিয়ালি বিষয়টিকে বিবেচনা করা হচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অধিকারের ময়নাতদন্ত
সাজেদুল হক: অধিকার সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী
হাসানুল হক ইনুরই ভাল জানবার কথা। যেহেতু তাদের দুই জনেরই আদর্শিক পথ
একসময় এক ছিল। অধিকারের কণ্ঠ আর জামায়াত-হেফাজতের কণ্ঠকে এক বলেই ঠাওর
করেছেন মাননীয় মন্ত্রী। যদিও শুক্রবারের মানবজমিনের অনলাইন সংস্করণে
মিজানুর রহমান নামে এক পাঠকের মন্তব্য কৌতূহলোদ্দীপক। তিনি লিখেছেন, আজকে
যারা আদিলুর রহমান খানের কণ্ঠে জামায়াত-হেফাজতের আওয়াজ পান কয়েকদিন পরে
তাদের কণ্ঠ আর আদিলুরের কণ্ঠ এক কণ্ঠে মিলে যেতে পারে। আদতে আদিলুরের কণ্ঠ
হলো মজলুমের কণ্ঠস্বর। আদতে অধিকারের কণ্ঠ কার পক্ষে সোচ্চার?
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে কি ভূমিকা ছিল অধিকারের? মানবাধিকার
সংগঠনটির যাত্রা শুরু অবশ্য এরও আগে ১৯৯৪ সালে। শুরু থেকেই নির্যাতন,
সীমান্ত হত্যা, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল
সংগঠনটি। ২০০৩ সালে অধিকারের বার্ষিক রিপোর্ট পর্যালোচনা করলেই
‘বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে’ সংস্থাটির কথিত ভূমিকা
স্পষ্ট হবে। তখন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে অনেকে বাহবা দিচ্ছিলেন। অথচ সেই সময়ও অধিকার তীব্র এবং তীক্ষ্ন বাসায় সমালোচনা করেছিল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের। ২০০৩ সালে অধিকারের বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই বছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মোট ৮১ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৪, ফেব্রুয়ারিতে ৩, মার্চে ৫, এপ্রিলে ৯, মে’তে ৪, জুনে ৭, জুলাইয়ে ৬, আগস্টে ৭, সেপ্টেম্বরে ১২, অক্টোবরে ৯ এবং ডিসেম্বরে ৭ জন। ৫৪ ধারায় অনেক গরিব এবং নিরপরাধ মানুষের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনার বর্ণনা দেয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এর আগে ২০০১ সালে যে নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসে সে নির্বাচনে সংঘটিত সহিংসতার বিবরণও প্রকাশ করে অধিকার। অধিকারের প্রতিবেদন অনুযায়ীই ওই নির্বাচনে সহিংসতায় ৫২ জন নিহত হন।
আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের ট্রাম্পকার্ডকালীন সময়েও অধিকারের ভূমিকা আমরা পরীক্ষা করবো। ২০০৪ সালের ৩০শে এপ্রিল সরকার পতনের ডেডলাইন ঘোষণা করেছিলেন আবদুল জলিল। সে সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন লুৎফুজ্জামান বাবর। অতিউৎসাহী আর ‘সফল’ ভূমিকা তৎকালীন সরকারে তার প্রভাবও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিল। তার নির্দেশে সেসময় বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় গণগ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে। অধিকারই সে সময় সাড়ে আট হাজার লোক গ্রেপ্তারের তথ্য প্রকাশ করেছিল। সরকারবিরোধী প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার ছিল সেই রিপোর্ট। অধিকারের ২০০৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী সে বছর র্যাবের ক্রসফায়ারে ৭৯ জন, পুলশের হাতে ১২৮ জন নিহত হয়। ওই বছর ৫ জন সাংবাদিক হত্যা আর ১১১ জন নির্যাতিত হওয়ার বিবরণও সে রিপোর্টে রয়েছে।
২০০১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত মানবাধিকার নিয়ে নিয়মিতই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে অধিকার। বিএনপির শাসনামল, ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং বর্তমান সরকারের আমলে এসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল বেগম খালেদার জিয়ার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। ২০০৭-০৮ সালে ক্ষমতায় ছিল সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আর ২০০৯ সালের শুরু থেকে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৩৯৪৮ জন। আর আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ১৪৩ জন। এর মধ্যে ২০০১ সালে ৬৫৬, ২০০২ সালে ৪২০, ২০০৩ সালে ৪৩৬, ২০০৪ সালে ৫২৬, ২০০৫ সালে ৩১০, ২০০৬ সালে ৩৭৪, ২০০৭ সালে ৭৯, ২০০৮ সালে ৫০, ২০০৯ সালে ২৫১, ২০১০ সালে ২২০, ২০১১ সালে ১৩৫, ২০১২ সালে ১৬৯ এবং ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩২২ জন নিহত হয়েছেন।
অধিকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন ২১৫১ জন। এর মধ্যে ২০০১ সালে ৪৪, ২০০২ সালে ৮৩, ২০০৩ সালে ৮১, ২০০৪ সালে ২৪০, ২০০৫ সালে ৩৯৬, ২০০৬ সালে ৩৫৫, ২০০৭ সালে ১৮৪, ২০০৮ সালে ১৪৯, ২০০৯ সালে ১৫৪, ২০১০ সালে ১২৭, ২০১১ সালে ৮৪, ২০১২ সালে ৭০ এবং ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত ১৮৪ জন নিহত হয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনে ২০০১ থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯৭ জন। এর মধ্যে ২০০১ সালে ৮, ২০০২ সালে ৫০, ২০০৩ সালে ২৫, ২০০৪ সালে ৪৬, ২০০৫ সালে ২৬, ২০০৬ সালে ২৭, ২০০৭ সালে ৩০, ২০০৮ সালে ১২, ২০০৯ সালে ২১, ২০১০ সালে ২২, ২০১১ সালে ১৭, ২০১২ সালে ৭ এবং ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত ৬ জন নিহত হয়েছেন।
অধিকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৩ বছরে মোট ২৫ জন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ২০০১ সালে ২, ২০০২ সালে ৩, ২০০৪ সালে ৫, ২০০৫ সালে ২, ২০০৬ সালে ১, ২০০৯ সালে ৩, ২০১০ সালে ৪, ২০১২ সালে ৫ জন নিহত হয়েছেন।
শেষ কথা: আদতে স্থান, কাল ভিন্ন হলেও মানবাধিকারের সংজ্ঞা অভিন্ন। যুদ্ধ অথবা শান্তি সবসময় একই ভাষায় কথা বলে মানবাধিকার। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভাষাও এক। আওয়ামী লীগ, বিএনপি আর তত্ত্বাবধায়ক সবসময়ই অধিকারের ভাষাও কি অভিন্ন নয়?
স্পষ্ট হবে। তখন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে অনেকে বাহবা দিচ্ছিলেন। অথচ সেই সময়ও অধিকার তীব্র এবং তীক্ষ্ন বাসায় সমালোচনা করেছিল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের। ২০০৩ সালে অধিকারের বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই বছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মোট ৮১ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৪, ফেব্রুয়ারিতে ৩, মার্চে ৫, এপ্রিলে ৯, মে’তে ৪, জুনে ৭, জুলাইয়ে ৬, আগস্টে ৭, সেপ্টেম্বরে ১২, অক্টোবরে ৯ এবং ডিসেম্বরে ৭ জন। ৫৪ ধারায় অনেক গরিব এবং নিরপরাধ মানুষের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনার বর্ণনা দেয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এর আগে ২০০১ সালে যে নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসে সে নির্বাচনে সংঘটিত সহিংসতার বিবরণও প্রকাশ করে অধিকার। অধিকারের প্রতিবেদন অনুযায়ীই ওই নির্বাচনে সহিংসতায় ৫২ জন নিহত হন।
আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের ট্রাম্পকার্ডকালীন সময়েও অধিকারের ভূমিকা আমরা পরীক্ষা করবো। ২০০৪ সালের ৩০শে এপ্রিল সরকার পতনের ডেডলাইন ঘোষণা করেছিলেন আবদুল জলিল। সে সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন লুৎফুজ্জামান বাবর। অতিউৎসাহী আর ‘সফল’ ভূমিকা তৎকালীন সরকারে তার প্রভাবও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিল। তার নির্দেশে সেসময় বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় গণগ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে। অধিকারই সে সময় সাড়ে আট হাজার লোক গ্রেপ্তারের তথ্য প্রকাশ করেছিল। সরকারবিরোধী প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার ছিল সেই রিপোর্ট। অধিকারের ২০০৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী সে বছর র্যাবের ক্রসফায়ারে ৭৯ জন, পুলশের হাতে ১২৮ জন নিহত হয়। ওই বছর ৫ জন সাংবাদিক হত্যা আর ১১১ জন নির্যাতিত হওয়ার বিবরণও সে রিপোর্টে রয়েছে।
২০০১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত মানবাধিকার নিয়ে নিয়মিতই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে অধিকার। বিএনপির শাসনামল, ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং বর্তমান সরকারের আমলে এসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল বেগম খালেদার জিয়ার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। ২০০৭-০৮ সালে ক্ষমতায় ছিল সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আর ২০০৯ সালের শুরু থেকে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৩৯৪৮ জন। আর আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ১৪৩ জন। এর মধ্যে ২০০১ সালে ৬৫৬, ২০০২ সালে ৪২০, ২০০৩ সালে ৪৩৬, ২০০৪ সালে ৫২৬, ২০০৫ সালে ৩১০, ২০০৬ সালে ৩৭৪, ২০০৭ সালে ৭৯, ২০০৮ সালে ৫০, ২০০৯ সালে ২৫১, ২০১০ সালে ২২০, ২০১১ সালে ১৩৫, ২০১২ সালে ১৬৯ এবং ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩২২ জন নিহত হয়েছেন।
অধিকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন ২১৫১ জন। এর মধ্যে ২০০১ সালে ৪৪, ২০০২ সালে ৮৩, ২০০৩ সালে ৮১, ২০০৪ সালে ২৪০, ২০০৫ সালে ৩৯৬, ২০০৬ সালে ৩৫৫, ২০০৭ সালে ১৮৪, ২০০৮ সালে ১৪৯, ২০০৯ সালে ১৫৪, ২০১০ সালে ১২৭, ২০১১ সালে ৮৪, ২০১২ সালে ৭০ এবং ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত ১৮৪ জন নিহত হয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনে ২০০১ থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯৭ জন। এর মধ্যে ২০০১ সালে ৮, ২০০২ সালে ৫০, ২০০৩ সালে ২৫, ২০০৪ সালে ৪৬, ২০০৫ সালে ২৬, ২০০৬ সালে ২৭, ২০০৭ সালে ৩০, ২০০৮ সালে ১২, ২০০৯ সালে ২১, ২০১০ সালে ২২, ২০১১ সালে ১৭, ২০১২ সালে ৭ এবং ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত ৬ জন নিহত হয়েছেন।
অধিকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৩ বছরে মোট ২৫ জন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ২০০১ সালে ২, ২০০২ সালে ৩, ২০০৪ সালে ৫, ২০০৫ সালে ২, ২০০৬ সালে ১, ২০০৯ সালে ৩, ২০১০ সালে ৪, ২০১২ সালে ৫ জন নিহত হয়েছেন।
শেষ কথা: আদতে স্থান, কাল ভিন্ন হলেও মানবাধিকারের সংজ্ঞা অভিন্ন। যুদ্ধ অথবা শান্তি সবসময় একই ভাষায় কথা বলে মানবাধিকার। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভাষাও এক। আওয়ামী লীগ, বিএনপি আর তত্ত্বাবধায়ক সবসময়ই অধিকারের ভাষাও কি অভিন্ন নয়?
হাসিনার শত্রুর প্রয়োজন নেই।
মাহফুজ আনাম সম্পাদক, ডেইলি স্টার: এ ধরনের মন্ত্রী, উপদেষ্টা থাকার পর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আসলেই কোন শত্রুর প্রয়োজন নেই।
প্রধানমন্ত্রী, সরকার এবং তার দলকে বিব্রত এবং ধ্বংস করার জন্য এরাই
যথেষ্ট। সমপ্রতি দু’টি ঘটনায় এটা প্রমাণ হয় যে, শেখ হাসিনা যাদের নিয়োগ
দিয়েছেন অথবা যেসব কর্মকর্তা তার চারপাশে রয়েছেন তারা সরকার পরিচালনায়
অক্ষম। চাতুর্যের সঙ্গে যা করা সম্ভব, তা তারা করেন দাম্ভিকতার সঙ্গে। যা
যুক্তির দ্বারা করা সম্ভব তা তারা করেন শক্তির দ্বারা। যা আইনি পথে করা
সম্ভব তা তারা করেন বেআইনিভাবে। প্রথমে বলা যায়, বিলবোর্ডের ব্যাপারটি।
কারণ যেভাবে এ কাজটি করা হয়েছে তাতে এর আসল উদ্দেশ্যই পণ্ড হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর পুত্র বাংলাদেশে এসে যখন ঘোষণা দিলেন যে, তিনি তার মায়ের
সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের মোকাবিলা করতে সহায়তা করবেন তখন থেকেই এ
প্রচারণার বিষয়টি শোনা যাচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী পুত্র যে হার্ভার্ড
কনসালটেন্টের কথা বলেছিলেন তিনি হয়তো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বা
অন্যান্য নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক প্রচারণার কথা উল্লেখ করেছিলেন। ওইসব
প্রচারণায় বিলবোর্ডসহ গণমাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অর্থ
খরচের বিষয়টিও নিশ্চিয়ই হয়তো আলোচনায় এসেছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন অনুমোদনের
পরই অদক্ষ, ভাড়া আদায়ের মানসিকতা এবং ক্ষমতা প্রদর্শনের বিষয়টির উদয় ঘটে আর
বিলবোর্ড কেলেঙ্কারির জন্ম হয়। দৃশ্যত যা ছিল একটি শুভ চিন্তা সেটা পরিণত
হয় জনসংযোগ বিপর্যয়ে। এর ভয়াবহ পরিণতি অবশ্য নির্বাচনের আগে বুঝা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রীর অফিস এবং তার দলে কি একজন লোকও ছিলেন না যিনি বিষয়টির
পদ্ধতিগত অবৈধতার বিষয় তুলে ধরতে পারতেন? এমন কেউ যদি সেখানে না থেকে থাকেন
তাহলে প্রধানমন্ত্রীর একেবারেই কাছে যে বুদ্ধিমত্তা আর নৈতিক দেউলিয়াত্ব
চলছে সেটা নিয়ে আসলেই তার গভীর উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। আর সেখানে যদি এমন
ধরনের লোক থেকে থাকেন যারা এ বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিবোধ করেছেন কিন্তু কিছু
বলার সাহস পাননি। তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে আরেক ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করতে
হবে। সেটি হলো কিভাবে তিনি দ্বিমত পোষণকারীদের বক্তব্য শোনার ব্যবস্থা
করবেন। নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করার ব্যর্থতা এবং দ্বিমত প্রকাশে ভয় পাওয়া- এ
দু’পক্ষই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার পথে হুমকি হিসেবে
কাজ করে। প্রকৃত সত্য হচ্ছে- প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সম্পর্কে যে সমালোচনাটি
সবচেয়ে বেশি হয় সেটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হয় তোষামোদকারীতে
পরিপূর্ণ অথবা সেখানে পেশাদার লোকজন থাকলেও তারা কেবল হুকুম তামিল করেন।
এদের অনেকেই ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের
প্রভাবকে কাজে লাগান।
অধিকারের রিপোর্ট সামলানো এবং এর সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানের গ্রেপ্তারের বিষয়টি অদক্ষতার একটি উদাহরণ। এর সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে, তা সরকার এবং বাংলাদেশকে সারা দুনিয়ার কাছে বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি করেছে। জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ একটি বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এবং বাংলাদেশ যার প্রাপ্য নয় তা পাচ্ছে। এটা আমাদের উপর আনা শেখ হাসিনা সরকারের উচিত হয়নি। ডেইলি স্টার ৫ই মে হেফাজতের সমাবেশ এবং রাতের ঘটনা কাভার করেছে। ওই ঘটনায় মৃত্যুর ব্যাপারে রিপোর্টের ক্ষেত্রে আমরা সতর্ক ছিলাম। ওই সময় এবং এখন পর্যন্ত অধিকার বর্ণিত নিহতের ৬১ সংখ্যার ব্যাপারে আমরা একমত নই। আমরা মনে করি, সরকারের অধিকার রয়েছে ‘অধিকার’ বর্ণিত সংখ্যার নিহতদের নাম এবং ঠিকানা জানার। তথ্য মন্ত্রণালয় ১০ই জুলাই তা জানতে চেয়ে অধিকারকে চিঠি দিয়েছিল। এক সপ্তাহ পর অধিকার যখন সরকারকে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন মন্ত্রণালয়ের উচিত ছিল এ নিয়ে আদালতে যাওয়া। আমাদের মতে, এটি একটি ভাল মামলা হতো এবং খুব সম্ভবত আদালত অধিকারকে তথ্য দেয়ার নির্দেশ দিতো।
অদক্ষতা এবং দাম্ভিকতা আবার ফিরে আসে যখন এক মাস অপেক্ষা করার পর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা রাত সাড়ে ৯টায় স্ত্রী এবং সন্তানসহ বাড়ি ফেরার পথে আদিলুর রহমান খানকে গ্রেপ্তার করে। সরকারের সামনে এ নিয়ে যেসব বিকল্প ছিল তার মধ্যে রয়েছে- ১. প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার জন্য দিনের বেলায় তাকে আনা যেতো ২. তাকে নোটিস দেয়া যেত যে, আইন রয়েছে এনজিও সরকারকে তথ্য দিতে বাধ্য ৩. প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য আদালতের নির্দেশনা চাওয়া যেতো ৪. মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করা যেতো ৫. সরকার বিশ্বস্ত কোন গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করতে পারতো যে সংস্থা অধিকারের বিভিন্ন প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করতে পারতো এবং সরকারের দাবিমতো তাদের প্রতিবেদনে ভুল তথ্য থাকলে তা প্রকাশ করতে পারতো। আদিলুরকে শুধু গ্রেপ্তারই করা হয়নি, এমনকি তাকে রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে। সৌভাগ্যবশত হাইকোর্ট তা বাতিল করেছে। আমরা সবাই জানি রিমান্ডে কি হয়?
শুক্রবারের ডেইলি স্টার থেকে অনূদিত
অধিকারের রিপোর্ট সামলানো এবং এর সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানের গ্রেপ্তারের বিষয়টি অদক্ষতার একটি উদাহরণ। এর সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে, তা সরকার এবং বাংলাদেশকে সারা দুনিয়ার কাছে বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি করেছে। জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ একটি বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এবং বাংলাদেশ যার প্রাপ্য নয় তা পাচ্ছে। এটা আমাদের উপর আনা শেখ হাসিনা সরকারের উচিত হয়নি। ডেইলি স্টার ৫ই মে হেফাজতের সমাবেশ এবং রাতের ঘটনা কাভার করেছে। ওই ঘটনায় মৃত্যুর ব্যাপারে রিপোর্টের ক্ষেত্রে আমরা সতর্ক ছিলাম। ওই সময় এবং এখন পর্যন্ত অধিকার বর্ণিত নিহতের ৬১ সংখ্যার ব্যাপারে আমরা একমত নই। আমরা মনে করি, সরকারের অধিকার রয়েছে ‘অধিকার’ বর্ণিত সংখ্যার নিহতদের নাম এবং ঠিকানা জানার। তথ্য মন্ত্রণালয় ১০ই জুলাই তা জানতে চেয়ে অধিকারকে চিঠি দিয়েছিল। এক সপ্তাহ পর অধিকার যখন সরকারকে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন মন্ত্রণালয়ের উচিত ছিল এ নিয়ে আদালতে যাওয়া। আমাদের মতে, এটি একটি ভাল মামলা হতো এবং খুব সম্ভবত আদালত অধিকারকে তথ্য দেয়ার নির্দেশ দিতো।
অদক্ষতা এবং দাম্ভিকতা আবার ফিরে আসে যখন এক মাস অপেক্ষা করার পর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা রাত সাড়ে ৯টায় স্ত্রী এবং সন্তানসহ বাড়ি ফেরার পথে আদিলুর রহমান খানকে গ্রেপ্তার করে। সরকারের সামনে এ নিয়ে যেসব বিকল্প ছিল তার মধ্যে রয়েছে- ১. প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার জন্য দিনের বেলায় তাকে আনা যেতো ২. তাকে নোটিস দেয়া যেত যে, আইন রয়েছে এনজিও সরকারকে তথ্য দিতে বাধ্য ৩. প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য আদালতের নির্দেশনা চাওয়া যেতো ৪. মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করা যেতো ৫. সরকার বিশ্বস্ত কোন গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করতে পারতো যে সংস্থা অধিকারের বিভিন্ন প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করতে পারতো এবং সরকারের দাবিমতো তাদের প্রতিবেদনে ভুল তথ্য থাকলে তা প্রকাশ করতে পারতো। আদিলুরকে শুধু গ্রেপ্তারই করা হয়নি, এমনকি তাকে রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে। সৌভাগ্যবশত হাইকোর্ট তা বাতিল করেছে। আমরা সবাই জানি রিমান্ডে কি হয়?
শুক্রবারের ডেইলি স্টার থেকে অনূদিত
‘আর কেউ হরতাল করলে, তাদের বাড়িতে ঢুকে হত্যা করতে হবে ’- আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি-জামায়াতের হরতালে দলীয় নেতাকর্মীদের তৎপরতা না
থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল লতিফ
সিদ্দিকী। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের
রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত হরতাল করে। আর রাস্তায় শুধু পুলিশ থাকে। আমাদের
নেতাকর্মীরা নেতার হুকুমের অপেক্ষায় বসে থাকে। আমি বলছি, এটিই আমার শেষ
বক্তৃতা। আর কেউ হরতাল করলে তাদের বাড়িতে ঢুকে হত্যা করতে হবে।’ তারা
হত্যার রাজনীতি করবে আর আমরা বসে বসে আঙুল চুষবো?
গতকাল বিকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হরতাল আহ্বানকারীদের অপশক্তি উল্লেখ করে লতিফ সিদ্দিকী দলীয় সভানেত্রীর উদ্দেশে বলেন, এসব অপশক্তিকে শক্ত হাতে দমন করতে না পারলে আমি বিদ্রোহ করবো। তিনি নিজের গায়ে লাল পাঞ্জাবি ও সাদা কোট দেখিয়ে বলেন, এই সাদা হলো শান্তির প্রতীক আর লাল হলো বিদ্রোহের প্রতীক। আমাদের দুটিই জানা আছে।
লতিফ সিদ্দিকী উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, নেতার হুকুম দিতে হবে। আপনারা তাহলে কি করেন। আজ থেকে শপথ নিন। শোক দিবসে শক্তির শপথ নিন।
সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন হবে উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, পাগল-ছাগল আর স্বাধীনতাবিরোধীদের দোসর, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি কি বলবে- তা আমাদের শুনতে হবে না। ১৫ই আগস্ট বিরোধীদলীয় নেতার জন্মদিন পালনের সমালোচনা করে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে উৎসাহিত করতেই এরা জন্মদিন পালন করে। দলীয় সভানেত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, অপশক্তিকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে। মানবতা ব্যবসায়ী ও ধর্মের ব্যবসায়ীদের দিকে তাকানো উচিত হবে না।
গতকাল বিকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হরতাল আহ্বানকারীদের অপশক্তি উল্লেখ করে লতিফ সিদ্দিকী দলীয় সভানেত্রীর উদ্দেশে বলেন, এসব অপশক্তিকে শক্ত হাতে দমন করতে না পারলে আমি বিদ্রোহ করবো। তিনি নিজের গায়ে লাল পাঞ্জাবি ও সাদা কোট দেখিয়ে বলেন, এই সাদা হলো শান্তির প্রতীক আর লাল হলো বিদ্রোহের প্রতীক। আমাদের দুটিই জানা আছে।
লতিফ সিদ্দিকী উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, নেতার হুকুম দিতে হবে। আপনারা তাহলে কি করেন। আজ থেকে শপথ নিন। শোক দিবসে শক্তির শপথ নিন।
সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন হবে উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, পাগল-ছাগল আর স্বাধীনতাবিরোধীদের দোসর, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি কি বলবে- তা আমাদের শুনতে হবে না। ১৫ই আগস্ট বিরোধীদলীয় নেতার জন্মদিন পালনের সমালোচনা করে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে উৎসাহিত করতেই এরা জন্মদিন পালন করে। দলীয় সভানেত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, অপশক্তিকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে। মানবতা ব্যবসায়ী ও ধর্মের ব্যবসায়ীদের দিকে তাকানো উচিত হবে না।
Tuesday, August 13, 2013
লেজে গোবরে বিলবোর্ড চমক।
ইনকিলাব রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রীর বেশ কাছের মানুষ, সরকারদলীয় একজন সংসদ
সদস্য বেশ হতাশা নিয়েই বললেন, গত প্রায় পাঁচটি বছর সরকার কে চালালো আমরা
নিজেরাই বুঝলাম না। নেত্রী একাই তো সব করলেন। রাষ্ট্র, সরকার ও দলের জুতা
সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ সবই কেন তাকেই করতে হলো? সিনিয়র নেতা, মন্ত্রিসভা,
দায়িত্বশীল এমপি, আমলা কেউই যেন কিছু পূর্ণরূপে করার ক্ষমতা বা দক্ষতা
রাখেন না। কেবল প্রধানমন্ত্রীর অফিসই সবকিছুর নিয়ন্তা আর সব সিদ্ধান্ত
এককভাবে প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হয়েছে। সাফল্য ও ব্যর্থতা সবই তার। কিন্তু
একটি সংগঠন বা সরকারে তো আরো লোকজন আছে। সুখ দুঃখের ভাগ তো তাদেরও নেয়া
চাই। সাফল্য ও ব্যর্থতার দায়ভাগ তো তাদের ঘাড়েও চাপবে। রাজধানী জুড়ে
রাতারাতি বিলবোর্ড চমক। মাত্র দশ দিনের মাথায় এসব প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে
খুলে ফেলা হচ্ছে। এত সমালোচনা ও নিন্দার মুখোমুখি কেন হলাম আমরা? কে বা
কারা বিলবোর্ড লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার বলে তারা জানেনা, পার্টির
লোকেরা বলে আমরাও জানিনা। তা হলে কে জানে? এসব কি ভূতে লাগিয়েছে? বিলবোর্ড
ভাড়া নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কিংবা দলীয় দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে নির্ভুল
তথ্য, রুচিশীল ডিজাইন, ছবি ও কালার নিশ্চিত করে এই প্রচারণার ব্যবস্থা
নিলে, এত সমালোচনার মুখেও আমাদের পড়তে হতো না। কোটি কোটি টাকা খরচ করে
টানানো বিলবোর্ড সাতদিনের মাথায় নামাতেও হতো না। যদি সাতদিনের জন্যও এসব
ভাড়া নেয়া হয়ে থাকে তাহলে রমজানের শেষ সাতদিনের জন্য কেন নেয়া হলো না। যখন
লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢাকায় আসা-যাওয়া ও চলাচল করেছে। ঈদের ছুটিতে যখন রাজধানীতে
লোকজনই ছিল না তখন জনমানবহীন ঢাকায় কেন উন্নয়নের ফিরিস্তি টানিয়ে রাখা
হলো? দেশে-বিদেশে সমালোচনা ও দেশবাসীর মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জশ দিয়ে
সংশ্লিষ্টরা নীরব। শেষপর্যন্ত এ বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীকেই দেখতে হলো।
গত ৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর শত শত বিলবোর্ডে বাণিজ্যিকভাবে টানানো বিজ্ঞাপন চিত্রগুলোর উপর ডিজিটাল স্ক্রিন সেঁটে দেয়া হয়। আলাদিনের চেরাগের দৈত্য এ কাজ করেছে বলে অনেকে মন্তব্য করেন। বিএনপির সিনিয়র নেতা এমকে আনোয়ার বলেছেন, ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব বিলবোর্ডের জন্য সরকারকে জবাব দিতে হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, সরকার সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ ঘটিয়েছে, অনেক অর্ধসত্য তথ্য প্রচার করেও মানুষকে ধোঁকা দিতে চেয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি পারলে সরকারের ব্যর্থতাগুলোও বিলবোর্ডে প্রচার করুক। তারা সরকারের সাফল্য দেখতে পায় না বলে তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার জন্যই এই বিলবোর্ড। দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, শুধু রাজধানীতে নয়, গ্রামে গঞ্জেও ডিজিটাল বিলবোর্ড লাগানো হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তিনি ঢাকায় বিলবোর্ড লাগানোর ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, এসব সরকার লাগায়নি। সরকার লাগালে বিলবোর্ডে কর্তৃপক্ষ, দফতর বা বিভাগের উল্লেখ থাকত। ডিসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে তাদের অজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। এদিকে প্রথম আলোর ৪টি, ইউনিলিভারের ২০০ ছাড়াও রাজধানীতে ডিসিসি অনুমোদিত ৪ হাজার বিলবোর্ডের অনেকাংশই আকস্মিকভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিলবোর্ড ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজধানীতে বিলবোর্ড ব্যবসায় তাদের মাধ্যমে অন্তত ২ হাজার ৪শ’ কোটি টাকার লেনদেন হয়। একমাস যদি সরকার এসব বিলবোর্ড দখল করে রাখে তাহলে ২০ কোটি টাকা গচ্ছা যাবে তাদের। সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী কোনরূপ যোগাযোগ, ভাড়া বা চুক্তি ছাড়াই অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের বিলবোর্ড দখল করে নেয়ার ফলে বিলবোর্ড ব্যবসায়ী ১২০টি প্রতিষ্ঠানের অনেকেই শ্রমিক-কর্মচারীদের ঈদের বেতন বোনাস দিতে পারেনি। অনেক কোম্পানি তাদের সাথে কৃত চুক্তিও বাতিল করে দিতে চাইছে। সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ, এমনকি সরকারের অংশীদার বহু লোকও এ ব্যবসায় জড়িত। বিলবোর্ড চমকের আগপাছ চিন্তা না করে, কোনরূপ পরামর্শ না করে, যে কোন কর্ণার থেকে এমন একটি অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত যে সরকারের জন্য এতটা মারাত্মক ক্ষতিকর সাব্যস্ত হবে, তা সংশ্লিষ্টরা ভাবতেও পারেননি। বর্তমানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেই এ বিষয়ে মুখ খুলতে এবং সমাধান দিতে হচ্ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর বি. চৌধুরী বলেছেন, বিলবোর্ড দখল করে অর্ধসত্য ও কৌশলী প্রচারের জন্য সরকারের ক্ষমা চাওয়া উচিত। অপর সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, বিলবোর্ড প্রচারণা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে। নেজামে ইসলাম নেতা মুফতী ইজহারুল ইসলাম বলেন, এ সরকারের অধীনে নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু ও অবাধ হবে তার নমুনা বিলবোর্ড দখল থেকেই বোঝা যায়। যারা নীতি-নৈতিকতার ধার না ধরে গায়ের জোরে বিলবোর্ড দখল নিয়ে সত্য-অর্ধসত্য প্রচারণা চালায়। আবার সরকার, পার্টি বা কর্তৃপক্ষ কেউই এই অপকর্মের দায় নেয়ার সাহস পায় না। এমন দলের হাতে দেশ, জনগণ, গণতন্ত্র ও রাজনীতি কতটুকু নিরাপদ এটাই প্রশ্ন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেকমন্ত্রী বলেন, ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ এখন ভুল পথে চলছে। অভিজ্ঞ রাজনীতিক ও পরীক্ষিত নেতাদের মূল্য দেয়া হচ্ছে না। নেত্রী নিজেও তার বিবেচনা সঠিকভাবে কাজে লাগাচ্ছেন বলে মনে হয় না। আমার কেন জানি মনে হয়, হাইব্রিড নেতা, বামপন্থ’ী নব্য আওয়ামী লীগার ও কচিকাঁচার পরামর্শেই তিনি ইদানীং অনেকগুলো ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ধারণা করি বিলবোর্ডের সিদ্ধান্তও কোন কচিকাঁচার। রংপুরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পুত্র জয়ই তাকে ডিজিটাল পদ্ধতি শিখিয়েছে, সম্ভবত জয়ের পরামর্শেই এই বিলবোর্ড চমক। দল, সংগঠন, সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে এত বড় একটা অন্যায় এবং বেঠিক সিদ্ধান্তের দিকে যদি কচিকাঁচারা ঠেলে দিয়ে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের কপালে দুঃখ আছে। কতটুকু কোণঠাসা হলে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হয়, আমরা সাতদিনের জন্য এসব বিলবোর্ড ভাড়া নিয়েছিলাম। এখন এসব অপসারণ করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বিলবোর্ডে প্রচারিত ভুল, অর্ধসত্য, অতিরঞ্জিত ও শুভংকরের ফাঁকিমূলক তথ্যের বিষয়ে ও ব্যাখ্যায় প্রতিবাদ বা পাল্টা বক্তব্য আসতে শুরু করেছে। অনেক সাফল্য এমনও দেখানো হয়েছে যা এ সরকারের আমলের নয়। কিছু প্রকল্প শুরু হতেও অন্তত ৫ বছর বাকি, সেসবও সাফল্যরূপে প্রচারিত হয়েছে। কিছু প্রকল্প মাত্র ফিতা কেটে উদ্বোধন করা হবে, এগুলোও সাফল্য। ৫০ ভাগ কাজও দীর্ঘ ৫ বছরে সমাপ্ত হয়নি, এমন প্রকল্পকেও বিলবোর্ডে সাফল্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। বহু প্রকল্প এমন আছে যেসব কাগজেপত্রে বাস্তবায়িত হলেও সংশ্লিষ্টরা এর সুফল এখনো হাতে পাননি। কিছু প্রকল্পে হিসাবের গড় পড়তা অংক দেখিয়ে শুভংকরের ফাঁকি দেয়া হয়েছে। যেগুলো নিয়ে ক্রমেই মিডিয়া সরগরম হয়ে উঠছিল। অপরিপক্ব চিন্তার বিলবোর্ড চমক যে সত্যিই বুমেরাং হয়ে যাবে কিংবা সস্তা প্রচারের এ নীতিবিবর্জিত উদ্যোগের যে এমন লেজে গোবরে অবস্থা হবে তা কিন্তু সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তরা আগে বুঝেননি। এমন বেসামাল কাজ করা হবে, দল মহাজোট বা সরকারের শরিকরা তা স্বপ্নেও ভাবেনি। এ নিয়ে দলের হিতাকাক্সক্ষী নেতাকর্মীরা বেশ বিরক্ত ও উদ্বিগ্ন।
গত ৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর শত শত বিলবোর্ডে বাণিজ্যিকভাবে টানানো বিজ্ঞাপন চিত্রগুলোর উপর ডিজিটাল স্ক্রিন সেঁটে দেয়া হয়। আলাদিনের চেরাগের দৈত্য এ কাজ করেছে বলে অনেকে মন্তব্য করেন। বিএনপির সিনিয়র নেতা এমকে আনোয়ার বলেছেন, ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব বিলবোর্ডের জন্য সরকারকে জবাব দিতে হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, সরকার সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ ঘটিয়েছে, অনেক অর্ধসত্য তথ্য প্রচার করেও মানুষকে ধোঁকা দিতে চেয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি পারলে সরকারের ব্যর্থতাগুলোও বিলবোর্ডে প্রচার করুক। তারা সরকারের সাফল্য দেখতে পায় না বলে তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার জন্যই এই বিলবোর্ড। দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, শুধু রাজধানীতে নয়, গ্রামে গঞ্জেও ডিজিটাল বিলবোর্ড লাগানো হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তিনি ঢাকায় বিলবোর্ড লাগানোর ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, এসব সরকার লাগায়নি। সরকার লাগালে বিলবোর্ডে কর্তৃপক্ষ, দফতর বা বিভাগের উল্লেখ থাকত। ডিসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে তাদের অজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। এদিকে প্রথম আলোর ৪টি, ইউনিলিভারের ২০০ ছাড়াও রাজধানীতে ডিসিসি অনুমোদিত ৪ হাজার বিলবোর্ডের অনেকাংশই আকস্মিকভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিলবোর্ড ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজধানীতে বিলবোর্ড ব্যবসায় তাদের মাধ্যমে অন্তত ২ হাজার ৪শ’ কোটি টাকার লেনদেন হয়। একমাস যদি সরকার এসব বিলবোর্ড দখল করে রাখে তাহলে ২০ কোটি টাকা গচ্ছা যাবে তাদের। সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী কোনরূপ যোগাযোগ, ভাড়া বা চুক্তি ছাড়াই অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের বিলবোর্ড দখল করে নেয়ার ফলে বিলবোর্ড ব্যবসায়ী ১২০টি প্রতিষ্ঠানের অনেকেই শ্রমিক-কর্মচারীদের ঈদের বেতন বোনাস দিতে পারেনি। অনেক কোম্পানি তাদের সাথে কৃত চুক্তিও বাতিল করে দিতে চাইছে। সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ, এমনকি সরকারের অংশীদার বহু লোকও এ ব্যবসায় জড়িত। বিলবোর্ড চমকের আগপাছ চিন্তা না করে, কোনরূপ পরামর্শ না করে, যে কোন কর্ণার থেকে এমন একটি অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত যে সরকারের জন্য এতটা মারাত্মক ক্ষতিকর সাব্যস্ত হবে, তা সংশ্লিষ্টরা ভাবতেও পারেননি। বর্তমানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেই এ বিষয়ে মুখ খুলতে এবং সমাধান দিতে হচ্ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর বি. চৌধুরী বলেছেন, বিলবোর্ড দখল করে অর্ধসত্য ও কৌশলী প্রচারের জন্য সরকারের ক্ষমা চাওয়া উচিত। অপর সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, বিলবোর্ড প্রচারণা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে। নেজামে ইসলাম নেতা মুফতী ইজহারুল ইসলাম বলেন, এ সরকারের অধীনে নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু ও অবাধ হবে তার নমুনা বিলবোর্ড দখল থেকেই বোঝা যায়। যারা নীতি-নৈতিকতার ধার না ধরে গায়ের জোরে বিলবোর্ড দখল নিয়ে সত্য-অর্ধসত্য প্রচারণা চালায়। আবার সরকার, পার্টি বা কর্তৃপক্ষ কেউই এই অপকর্মের দায় নেয়ার সাহস পায় না। এমন দলের হাতে দেশ, জনগণ, গণতন্ত্র ও রাজনীতি কতটুকু নিরাপদ এটাই প্রশ্ন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেকমন্ত্রী বলেন, ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ এখন ভুল পথে চলছে। অভিজ্ঞ রাজনীতিক ও পরীক্ষিত নেতাদের মূল্য দেয়া হচ্ছে না। নেত্রী নিজেও তার বিবেচনা সঠিকভাবে কাজে লাগাচ্ছেন বলে মনে হয় না। আমার কেন জানি মনে হয়, হাইব্রিড নেতা, বামপন্থ’ী নব্য আওয়ামী লীগার ও কচিকাঁচার পরামর্শেই তিনি ইদানীং অনেকগুলো ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ধারণা করি বিলবোর্ডের সিদ্ধান্তও কোন কচিকাঁচার। রংপুরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পুত্র জয়ই তাকে ডিজিটাল পদ্ধতি শিখিয়েছে, সম্ভবত জয়ের পরামর্শেই এই বিলবোর্ড চমক। দল, সংগঠন, সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে এত বড় একটা অন্যায় এবং বেঠিক সিদ্ধান্তের দিকে যদি কচিকাঁচারা ঠেলে দিয়ে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের কপালে দুঃখ আছে। কতটুকু কোণঠাসা হলে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হয়, আমরা সাতদিনের জন্য এসব বিলবোর্ড ভাড়া নিয়েছিলাম। এখন এসব অপসারণ করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বিলবোর্ডে প্রচারিত ভুল, অর্ধসত্য, অতিরঞ্জিত ও শুভংকরের ফাঁকিমূলক তথ্যের বিষয়ে ও ব্যাখ্যায় প্রতিবাদ বা পাল্টা বক্তব্য আসতে শুরু করেছে। অনেক সাফল্য এমনও দেখানো হয়েছে যা এ সরকারের আমলের নয়। কিছু প্রকল্প শুরু হতেও অন্তত ৫ বছর বাকি, সেসবও সাফল্যরূপে প্রচারিত হয়েছে। কিছু প্রকল্প মাত্র ফিতা কেটে উদ্বোধন করা হবে, এগুলোও সাফল্য। ৫০ ভাগ কাজও দীর্ঘ ৫ বছরে সমাপ্ত হয়নি, এমন প্রকল্পকেও বিলবোর্ডে সাফল্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। বহু প্রকল্প এমন আছে যেসব কাগজেপত্রে বাস্তবায়িত হলেও সংশ্লিষ্টরা এর সুফল এখনো হাতে পাননি। কিছু প্রকল্পে হিসাবের গড় পড়তা অংক দেখিয়ে শুভংকরের ফাঁকি দেয়া হয়েছে। যেগুলো নিয়ে ক্রমেই মিডিয়া সরগরম হয়ে উঠছিল। অপরিপক্ব চিন্তার বিলবোর্ড চমক যে সত্যিই বুমেরাং হয়ে যাবে কিংবা সস্তা প্রচারের এ নীতিবিবর্জিত উদ্যোগের যে এমন লেজে গোবরে অবস্থা হবে তা কিন্তু সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তরা আগে বুঝেননি। এমন বেসামাল কাজ করা হবে, দল মহাজোট বা সরকারের শরিকরা তা স্বপ্নেও ভাবেনি। এ নিয়ে দলের হিতাকাক্সক্ষী নেতাকর্মীরা বেশ বিরক্ত ও উদ্বিগ্ন।
হেফাজতের মহাসমাবেশে অভিযানে অংশ নেয়া অনেক কর্মকর্তা আতংকে।
শাপলা চত্বরে হেফাজতের মহাসমাবেশে অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশ-র্যাবের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ অনুযায়ী অভিযানে অংশ নিয়েছি। এখানে আমাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা বা অনিচ্ছার কোন সুযোগ ছিল না। তবে সরকার পরিবর্তনের পর নতুন করে তদন্ত বা অন্য কোন কারণে বিষয়টি আবার সামনে চলে আসতে পারে। এ জন্য তারা বেশ চিন্তিত বলে ওই কর্মকর্তারা মন্তব্য করেন।
ওই কর্মকর্তারা আরো বলেন যে, শুধু পেশাদারিত্ব নয়, এর বাইরে আরো কিছু বিষয় মাথায় রেখেই বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে অভিযানে অংশ নেয়ার জন্য বাছাই করা হয়েছিল।
পুলিশ প্রধান হাসান মাহমুদ খন্দকার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ৫ মে রাতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের মহাসমাবেশে অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশ-র্যাবের কর্মকর্তাদের আতংকিত হওয়ার কোন অবকাশ নেই। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর সংবিধান অনুযায়ী যে অর্পিত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ওই রাতে তারা ওই অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। এটি দেশের জনসাধারণের কল্যাণের জন্যই করা হয়েছে। হেফাজতের মহাসমাবেশে অভিযানের সময় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে যে সব কথা বলা হচ্ছে সেগুলো সত্য নয়।
আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার আরো বলেন, এ ধরনের বড় অভিযানের আগে যে ধরনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে তা করা হয়েছে। মিডিয়ার অনেক কর্মী অভিযানের সময় পুলিশের সাথে ছিলেন। অভিযানের কোন অংশই গোপন ছিল না। অভিযানের আগে বা পরে যাদের মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে কোন গোপনীয়তাও রক্ষা করা হয়নি। এটি নিয়ে কোন প্রকার বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার সুযোগ নেই। সরকার দেশের সর্বস্তরের জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সবসময় আন্তরিক, আগামীতেও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তবে এ ঘটনার পর বিএনপির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে মতিঝিল থেকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের তুলে দিতে ‘গণহত্যা’ চালানো হয়েছে দাবি করে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করা হয়েছিল। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, হেফাজতের সাংবিধানিক অধিকার ৫ মে শাপলা চত্বরে পাইকারি হত্যাকা- চালিয়ে বহু মানুষকে আহত করেছে সরকার। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ৫ মে রাতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের বিরুদ্ধে নেয়া অভিযান নিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশ করেন আদিলুর। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, ওই ঘটনার আগে-পরে একজন পুলিশ সদস্যসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। কিন্তু ‘অধিকার’ নামক একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে পুলিশ বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার জন্য তাদের ওয়েবসাইটে ওই ঘটনায় ৬১ জন নিহতের তালিকা তৈরি করে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় কাল্পনিক তথ্য প্রকাশ করে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সরকারকে হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতার পরামর্শ।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ হয়ে সরকারকে পরাজিত করার ছক
এঁটেছে হেফাজতে ইসলাম। এজন্য নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় সিটি করপোরেশন
নির্বাচনের চেয়েও বড় ধরনের ভূমিকা পালন করবে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে
কেন্দ্র করে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের
সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় লিয়াজোঁ কমিটি করে পর্যায়ক্রমে বিভাগ, জেলা, উপজেলা,
থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সমপ্রসারিত করবে। এ কারণে রাজনৈতিক স্বার্থে
হেফাজতের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা জরুরি। হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে
সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বৈঠক বা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে
এ সমঝোতা করা যেতে পারে। বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক
স্বার্থে এ ব্যাপারে সমঝোতায় উপনীত হওয়া জরুরি বলে প্রতীয়মান হয়। ঈদের
পরপরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা পড়া দেশের শীর্ষ এক গোয়েন্দা সংস্থার
প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পাঠিয়েছে
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রতিবেদনে হেফাজতে ইসলামের আগাম কর্মসূচিসহ তা
ঠেকানোর নানা সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্টে হেফাজতের কর্মসূচি
সম্পর্কে বলা হয়েছে, ইসলামী মাহফিল, ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল এবং অন্যান্য
ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৌশলে তারা আগামী নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রচারণা
করার পদক্ষেপ নিতে পারে। এ ছাড়া রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা নিবন্ধিত না হওয়ায়
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে না থেকেও নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে ১৮ দলীয় জোটের
প্রার্থীদের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। আগামীতে তারা বড় ধরনের রাজনৈতিক
দল এবং নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে নিবন্ধন নেয়ার পরিকল্পনা করছে। এ জন্য
সাংগঠনিক ও নির্বাচনী কাজের জন্য বেশি করে জাকাত, ফিতরা, কোরবানির পশুর
চামড়া বিক্রির অর্থ এবং অন্যান্য উৎস থেকে বেশি করে তহবিল সংগ্রহ করার
উদ্যোগ নিয়েছে। এতে মন্তব্য বা সুপারিশ কলামে বলা হয়েছে, সামপ্রতিক সিটি
করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফলকে বিশ্লেষণ করে হেফাজতের ভূমিকায় সরকারদলীয়
প্রার্থীদের পরাজয়ের বিষয়টি গভীরভাবে অনুধাবন করা প্রয়োজন। দেশের চলমান
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরকারের অতি কৌশলে হেফাজতকে নিষ্ক্রিয় বা নিয়ন্ত্রণে
আনার পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। হেফাজতে ইসলাম যাতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে
সক্রিয় হতে না পারে এ জন্য কওমি মাদরাসাভিত্তিক গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো
যেতে পারে। হেফাজতের আমীরের ভিডিও ফুটেজ সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
হেফাজতের আমীরের সামপ্রতিক নারীবিদ্বেষী বক্তব্যের ভিডিও চিত্র প্রিন্ট ও
ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার বা প্রচারণা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে বিশেষ
করে নারীসমাজকে হেফাজতের বিরুদ্ধে সোচ্চার করার পদক্ষেপ নেয়া যায়।
প্রতিবেদনে হেফাজতের ঈদ-পরবর্তী সম্ভাব্য কর্মসূচি সম্পর্কে বলা হয়েছে, গত
২৪শে জুন হাটহাজারী কওমি মাদরাসায় সংগঠনের আমীরের নেতৃত্বে অনুষ্ঠেয় বৈঠকের
সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে রমজানে তারা থানা ও ইউনিয়ন
পর্যায়ে কমিটি গঠন করে থানা ও জেলা অনুযায়ী ইফতার পার্টি, মিলাদ মাহফিলের
মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনাসহ গণসংযোগ করেছে। তারা সরকারকে
নাস্তিকদের সঙ্গে তুলনা করে জনমত কমিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে পরাজিত করার
জন্য ব্যাপক অপপ্রচার চালাচ্ছে। একই সঙ্গে ইসলামী জোটভুক্ত দলগুলোকে
ঐক্যবদ্ধ করে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করে দাবি আদায়ে সোচ্চার হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলাম দলীয় কার্যক্রম বেগবান রাখতে বিশিষ্ট
আলেম-ওলামাদের গণসংবর্ধনা দেয়ার ব্যবস্থা করছে। ইতিমধ্যে হেফাজতের সাধারণ
সম্পাদক জুনায়েদ আল বাবুনগরীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে আগাম খবর
জানিয়ে বলা হয়েছে, ঈদের এক মাস পর হাটহাজারীতে জাতীয় ওলামা সম্মেলন আয়োজন
করবে হেফাজত। ওই সম্মেলনে হেফাজতের ওপর জুলুম, নির্যাতন, মামলা, শাপলা
চত্বরে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচির ঘোষণা আসতে
পারে। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, হেফাজতে ইসলাম প্রায় এক কোটি লোকের সমাগম
ঘটিয়ে ঢাকায় বিরাট আকারের মহাসমাবেশ কর্মসূচি পালন করে সরকারকে চাপে রাখার
পরিকল্পনা নিতে পারে। এ ছাড়া পলাতক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা
করা এবং আটক নেতাকর্মীদের আর্থিক ও আইনগত সহায়তা দিচ্ছেন তারা। গোয়েন্দা
রিপোর্টের শুরুতে বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলাম মূলত জামায়াত-শিবির এবং
বিএনপি’র ইন্ধন ও সহায়তায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করাসহ সরকার
পতনের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেও সরকারের কৌশলী ও সময় উপযোগী
পদক্ষেপের কারণে তাতে সফলতা পায়নি। সমপ্রতি জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা
হওয়ার প্রতিবাদ, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো এবং বিএনপি’র তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু
প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ৫ই মে’র হতাহতের ঘটনাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে
হেফাজতে ইসলামকে উসকে দেয়া হচ্ছে। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র বা আন্দোলন
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঈদ-পরবর্তী সময়ে হেফাজতকে মাঠে নামিয়ে সরকারকে
বেদায়দায় ফেলার কলাকৌশল তৈরি ও তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে। এ জন্য
হেফাজতের ঈদ-পরবর্তী সম্ভাব্য কর্মসূচির বর্ণনা করা হয়।
ইন্টারনেট বিল কমাতে আন্দোলনে নামছেন মুস্তাফা জব্বার
ইন্টারনেটের বিল কমানোর দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা
দিয়েছেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি, প্রযুক্তিবিদ মুস্তাফা জব্বার।
ইন্টারনেট পাওয়া একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃতি চান
তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রতি মাসে এক এমবিপিএস (মেগাবিট প্রতি সেকেন্ডে) গতির ব্যান্ডউইথের ব্যবহারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য পাচশ’ টাকার বেশি হতে পারে না। ইন্টারনেটের চার্জ নির্ধারণের সময় ডাটার পরিমাণ কোনো শর্ত হতে পারে না। সরকার ব্যান্ডউইথের হিসাবেই ইন্টারনেট বিক্রয় করছে, ইন্টারনেট সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সেই হিসাবেই ক্রয় করে।’
শীঘ্রই দাবির বিষয়গুলো জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান মুস্তাফা জব্বার।
আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে শুল্ক ও ভ্যাটমুক্ত কম্পিউটারের আন্দোলন করেছিলাম, জয়ী হয়েছিলাম। এবার ইন্টারনেটের বিল কমানোর দাবিতে আন্দোলন করবো। তবে আমি মনে করি না এরজন্য রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙচুর
করতে
হবে। সরকারের নীতি নির্ধারকদের বিষয়টি বোঝানো দরকার।’
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নেতৃত্বে আন্দোলন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা দেশে মানুষের মধ্যে সচেতনতা প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০টি সংগঠন আন্দোলনে সম্পৃত্ত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই সপ্তাহে ছুটি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা রয়েছে। সামনের সপ্তাহে সবাইকে নিয়ে বড় একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা হবে।’
সম্প্রতি ফেসবুকে ইন্টারনেট বিল কমানোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিলে ব্যাপক সাড়া পান মুস্তাফা জব্বার। ফেসবুকে তিনি ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। এরমধ্যে ২০১৪ সালের মধ্যে প্রতি বাড়ি থ্রিজি নেটওয়ার্ক আওতায় আনা, শিক্ষার্থীদের জন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা, প্রত্যেক পৌর এলাকায় কমপক্ষে একটি ওয়াইফাই জোন তৈরি অন্যতম।
তিনি বলেন, ‘প্রতি মাসে এক এমবিপিএস (মেগাবিট প্রতি সেকেন্ডে) গতির ব্যান্ডউইথের ব্যবহারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য পাচশ’ টাকার বেশি হতে পারে না। ইন্টারনেটের চার্জ নির্ধারণের সময় ডাটার পরিমাণ কোনো শর্ত হতে পারে না। সরকার ব্যান্ডউইথের হিসাবেই ইন্টারনেট বিক্রয় করছে, ইন্টারনেট সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সেই হিসাবেই ক্রয় করে।’
শীঘ্রই দাবির বিষয়গুলো জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান মুস্তাফা জব্বার।
আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে শুল্ক ও ভ্যাটমুক্ত কম্পিউটারের আন্দোলন করেছিলাম, জয়ী হয়েছিলাম। এবার ইন্টারনেটের বিল কমানোর দাবিতে আন্দোলন করবো। তবে আমি মনে করি না এরজন্য রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙচুর
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নেতৃত্বে আন্দোলন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা দেশে মানুষের মধ্যে সচেতনতা প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০টি সংগঠন আন্দোলনে সম্পৃত্ত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই সপ্তাহে ছুটি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা রয়েছে। সামনের সপ্তাহে সবাইকে নিয়ে বড় একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা হবে।’
সম্প্রতি ফেসবুকে ইন্টারনেট বিল কমানোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিলে ব্যাপক সাড়া পান মুস্তাফা জব্বার। ফেসবুকে তিনি ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। এরমধ্যে ২০১৪ সালের মধ্যে প্রতি বাড়ি থ্রিজি নেটওয়ার্ক আওতায় আনা, শিক্ষার্থীদের জন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা, প্রত্যেক পৌর এলাকায় কমপক্ষে একটি ওয়াইফাই জোন তৈরি অন্যতম।
মসজিদ থেকে শিবির সন্দেহে ২৩ জন তাবলীগের সদস্য আটক।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় একটি মসজিদ থেকে মঙ্গলবার সকালে
হরতাল চলাকালে ২৩জনকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে গোপন বৈঠক ও জামায়াত-শিবির সন্দেহের অভিযোগ এনেছে পুলিশ। আর আটককৃতরা দাবী করেছেন, তারা তাবলীগ করতে এখানে এসেছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, কাঁচপুর এলাকায় সেনপাড়া জামে মসজিদ থেকে
সকাল ১১টায় হরতাল চলাকালে ২৩জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজন জামায়াত ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের লোকজন।
তবে কয়েকজন নিজেদের স্থানীয় এলাকার ও আওয়ামী লীগের লোকজন বলেও দাবী করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোনারগাঁও থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, হরতাল চলাকালে নাশকতার বিষয়ে আলোচনার সময়ে ২৩জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে দ্বীন ইসলাম জামায়াতে ইসলামীর প্রচার বিভাগের সক্রিয় সদস্য। সে বিভিন্ন স্থানে পোস্টার সাটানো সহ জামায়াতের প্রচারণা চলাতো। আটককৃত অন্যরা হলো আবু বকর সিদ্দিক, হাফেজ নজির আহমেদ, আতাউর রহমান, কামরুল ইসলাম, মাহাবুব, নবীর, নাজমুল, সাইদুল, মনির, ইমরান প্রমুখ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
এদিকে আটককৃতদের কয়েকজন থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে দাবী করেছে, তারা
তাবলীগ জামায়াতের সদস্য। সকালে প্রকাশ্যে তারা মসজিদের ভেতরে বয়ানের সময়ে পুলিশ
অহেতুক হানা দিয়ে হয়রানির জন্য থানায় নিয়ে আসে। আটককৃতরা প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, ‘এভাবে মসজিদের ভেতরে নাশকতার মিটিং সম্ভব না। নাশকতার মিটিং হয় গোপনে।’
হরতাল চলাকালে ২৩জনকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে গোপন বৈঠক ও জামায়াত-শিবির সন্দেহের অভিযোগ এনেছে পুলিশ। আর আটককৃতরা দাবী করেছেন, তারা তাবলীগ করতে এখানে এসেছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, কাঁচপুর এলাকায় সেনপাড়া জামে মসজিদ থেকে
সকাল ১১টায় হরতাল চলাকালে ২৩জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজন জামায়াত ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের লোকজন।
তবে কয়েকজন নিজেদের স্থানীয় এলাকার ও আওয়ামী লীগের লোকজন বলেও দাবী করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোনারগাঁও থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, হরতাল চলাকালে নাশকতার বিষয়ে আলোচনার সময়ে ২৩জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে দ্বীন ইসলাম জামায়াতে ইসলামীর প্রচার বিভাগের সক্রিয় সদস্য। সে বিভিন্ন স্থানে পোস্টার সাটানো সহ জামায়াতের প্রচারণা চলাতো। আটককৃত অন্যরা হলো আবু বকর সিদ্দিক, হাফেজ নজির আহমেদ, আতাউর রহমান, কামরুল ইসলাম, মাহাবুব, নবীর, নাজমুল, সাইদুল, মনির, ইমরান প্রমুখ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
এদিকে আটককৃতদের কয়েকজন থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে দাবী করেছে, তারা
তাবলীগ জামায়াতের সদস্য। সকালে প্রকাশ্যে তারা মসজিদের ভেতরে বয়ানের সময়ে পুলিশ
অহেতুক হানা দিয়ে হয়রানির জন্য থানায় নিয়ে আসে। আটককৃতরা প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, ‘এভাবে মসজিদের ভেতরে নাশকতার মিটিং সম্ভব না। নাশকতার মিটিং হয় গোপনে।’
Tuesday, August 6, 2013
আগামী নির্বাচনে তুরুপের তাস হেফাজত: যুগশঙ্খ
ছেলে উচ্চবর্নের মেয়ে বিয়ে করায় মাকে নগ্ন করে ঘোরানো হল রাস্তায়
ভারতের মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বিরাজ চ্যাবনের নিজ জেলায়ই এক
নারীকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানো হয়েছে। সোমবারের এ ঘটনার আগে ৪৫ বছর
বয়সী ওই নারীকে একদল মানুষ প্রহার করে। এসব ঘটনার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়েছে। কিন্তু তাকে যারা এভাবে অবমাননা করেছে তারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার
বাইরে।
ওই ঘটনা সোমবার ঘটে মুখ্যমন্ত্রীর নিজ জেলা সাতারার মালগাঁও গ্রামে। দলিত শ্রেণীর ওই নারী এখন বিচার চাইছেন সবার কাছে। কিন্তু তিনি দলিত শ্রেণীর বলে তার অভিযোগ নিবন্ধিত করতে বিলম্ব করা হয়। অভিযোগ আছে, ওই ঘটনায় জড়িতরা মুখ্যমন্ত্রীর খুব কাছের বলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে বিলম্ব করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপও নেয়া হচ্ছে না। গত ১৮ই ডিসেম্বর উচ্চবংশীয় এক যুবতীকে নিয়ে পালিয়ে যায় নির্যাতিত ওই মহিলার ছেলে। এরপর ওই যুবতীর অভিভাবকরা তাদের মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ দাখিল করে। একই সঙ্গে তারা ওই নারীকে তাদের মেয়ে বের করে দিতে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে।
ওই সময় তিনি জানিয়ে দেন তার ছেলে ও ওই মেয়ে পালিয়ে কোথায় গেছে তা তিনি জানেন না। স্থানীয় সূত্রমতে, নিখোঁজ যুবতীর পরিবার সোমবার একটি স্থানে ডেকে নেয় দলিত শ্রেণীর ওই নারীকে। এরপর তাকে প্রশ্নবাণে তারা জর্জরিত করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা তাকে ধমকাতে থাকে, প্রহার করতে থাকে, এমনকি তাকে নগ্ন করে গ্রাম ঘুরতে বাধ্য করে। এ ঘটনায় ওই মহিলা মারাত্মক আহত হন। তাকে পরের দিন একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দলিত মহাসংঘ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাচিন্দ্র সাকাতে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নিজের জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ চোখ বন্ধ করে আছে। তারা রাজনৈতিক কারণে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ওই ঘটনা সোমবার ঘটে মুখ্যমন্ত্রীর নিজ জেলা সাতারার মালগাঁও গ্রামে। দলিত শ্রেণীর ওই নারী এখন বিচার চাইছেন সবার কাছে। কিন্তু তিনি দলিত শ্রেণীর বলে তার অভিযোগ নিবন্ধিত করতে বিলম্ব করা হয়। অভিযোগ আছে, ওই ঘটনায় জড়িতরা মুখ্যমন্ত্রীর খুব কাছের বলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে বিলম্ব করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপও নেয়া হচ্ছে না। গত ১৮ই ডিসেম্বর উচ্চবংশীয় এক যুবতীকে নিয়ে পালিয়ে যায় নির্যাতিত ওই মহিলার ছেলে। এরপর ওই যুবতীর অভিভাবকরা তাদের মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ দাখিল করে। একই সঙ্গে তারা ওই নারীকে তাদের মেয়ে বের করে দিতে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে।
ওই সময় তিনি জানিয়ে দেন তার ছেলে ও ওই মেয়ে পালিয়ে কোথায় গেছে তা তিনি জানেন না। স্থানীয় সূত্রমতে, নিখোঁজ যুবতীর পরিবার সোমবার একটি স্থানে ডেকে নেয় দলিত শ্রেণীর ওই নারীকে। এরপর তাকে প্রশ্নবাণে তারা জর্জরিত করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা তাকে ধমকাতে থাকে, প্রহার করতে থাকে, এমনকি তাকে নগ্ন করে গ্রাম ঘুরতে বাধ্য করে। এ ঘটনায় ওই মহিলা মারাত্মক আহত হন। তাকে পরের দিন একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দলিত মহাসংঘ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাচিন্দ্র সাকাতে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নিজের জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ চোখ বন্ধ করে আছে। তারা রাজনৈতিক কারণে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বিতর্কিত ইমাম ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের ইমামতিতে শোলাকিয়ায় ঈদ নামাজ পড়তে নারাজ মুসুল্লিরা
রতি বছরের মতো এবারও উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। আর এই ঈদ নামাযের ইমামতি
করতে প্রস্তুত ‘বিতর্কিত’ আলেম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
তবে কিশোরগঞ্জের একাধিক সংগঠন ও সচেতন মুসল্লিরা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে নাস্তিক, শাহবাগী ও আওয়ামী মদদপুষ্ট ইমাম হিসেবে উল্লেখ করে তার পেছনে নামাজ পড়তে নারাজ বলে জানিয়েছে।
জানা যায়, ওয়াকফ্ দলিল অনুযায়ী মাঠের ইমাম নিয়োগের ব্যাপারে মোতাওয়াল্লির ভূমিকা স্বৃীকৃত থাকলেও মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগের পর থেকে এ নিয়ে নানা মহলে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্ক থাকলেও ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে কিশোরগঞ্জে। ইতিমধ্যেই ইমামতি থেকে তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে সাধারণ ছাত্র ও মুসল্লিদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন, মিছিল ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
এসব কর্মসূচি থেকে তাকে কিশোরগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি আগামী ঈদ জামাতে তাকে প্রতিরোধেরও ঘোষণা দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে কিশোরগঞ্জের একাধিক সংগঠন ও সচেতন মুসল্লির সঙ্গে কথা বললে তারা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে নাস্তিক, শাহবাগী ও আওয়ামী মদদপুষ্ট ইমাম হিসেবে উল্লেখ করে জানান- কিশোরগঞ্জসহ দেশবাসী তার পেছনে নামাজ পড়তে নারাজ। অবিলম্বে তাকে প্রত্যাহার করা হোক।
এ ব্যাপারে হয়বতনগর জমিদার বাড়ির বর্তমান উত্তরাধিকারী ও শোলাকিয়া ঈদগাহের মোতাওয়াল্লি দেওয়ান মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ্ দাদ্ খান বলেন, আমাদের নিয়োগ করা ইমাম মাওলানা আবুল খায়ের মো. সাইফুল্লাহকে বাদ দিয়ে তথাকথিত শাহবাগী আলেম ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে প্রশাসন কর্তৃক নিয়োগ দেয়ায় এ মাঠের মুসল্লিরা অসন্তুষ্ট। তাকে আর কেউ ইমাম হিসেবে এই মাঠে দেখতে চায় না।
তবে এই কিছুর মধ্যেও ঈদ জামাতের জন্য শোলাকিয়ায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ঈদের জামাত শুরু হবে সকাল ১০টায়। ঈদ জামাতে অংশ নিতে জেলা প্রশাসন ও ঈদগাহ্ পরিচালনার কমিটির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় প্রধান বিচারপতি ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমান।
তবে কিশোরগঞ্জের একাধিক সংগঠন ও সচেতন মুসল্লিরা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে নাস্তিক, শাহবাগী ও আওয়ামী মদদপুষ্ট ইমাম হিসেবে উল্লেখ করে তার পেছনে নামাজ পড়তে নারাজ বলে জানিয়েছে।
জানা যায়, ওয়াকফ্ দলিল অনুযায়ী মাঠের ইমাম নিয়োগের ব্যাপারে মোতাওয়াল্লির ভূমিকা স্বৃীকৃত থাকলেও মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগের পর থেকে এ নিয়ে নানা মহলে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্ক থাকলেও ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে কিশোরগঞ্জে। ইতিমধ্যেই ইমামতি থেকে তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে সাধারণ ছাত্র ও মুসল্লিদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন, মিছিল ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
এসব কর্মসূচি থেকে তাকে কিশোরগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি আগামী ঈদ জামাতে তাকে প্রতিরোধেরও ঘোষণা দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে কিশোরগঞ্জের একাধিক সংগঠন ও সচেতন মুসল্লির সঙ্গে কথা বললে তারা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে নাস্তিক, শাহবাগী ও আওয়ামী মদদপুষ্ট ইমাম হিসেবে উল্লেখ করে জানান- কিশোরগঞ্জসহ দেশবাসী তার পেছনে নামাজ পড়তে নারাজ। অবিলম্বে তাকে প্রত্যাহার করা হোক।
এ ব্যাপারে হয়বতনগর জমিদার বাড়ির বর্তমান উত্তরাধিকারী ও শোলাকিয়া ঈদগাহের মোতাওয়াল্লি দেওয়ান মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ্ দাদ্ খান বলেন, আমাদের নিয়োগ করা ইমাম মাওলানা আবুল খায়ের মো. সাইফুল্লাহকে বাদ দিয়ে তথাকথিত শাহবাগী আলেম ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে প্রশাসন কর্তৃক নিয়োগ দেয়ায় এ মাঠের মুসল্লিরা অসন্তুষ্ট। তাকে আর কেউ ইমাম হিসেবে এই মাঠে দেখতে চায় না।
তবে এই কিছুর মধ্যেও ঈদ জামাতের জন্য শোলাকিয়ায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ঈদের জামাত শুরু হবে সকাল ১০টায়। ঈদ জামাতে অংশ নিতে জেলা প্রশাসন ও ঈদগাহ্ পরিচালনার কমিটির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় প্রধান বিচারপতি ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমান।
'১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল ভারত'
ভারত
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ আক্রমণ করতে চেয়েছিল। পছন্দের সরকার বসানোর জন্যই
ভারত এই পরিকল্পনা করেছিল বলে নিউইয়র্কের ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসের সম্পাদক বি
জে খসরুর লেখা নতুন বইয়ে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র
সচিব যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, বাংলাদেশের হস্তক্ষেপের কোন
ইচ্ছা ভারতের নেই। গতকাল সোমবার পাকিস্তান অবজাভার পত্রিকায় হামিদ শাহীনের
লেখা এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জনাব খসরুর লেখা 'দ্য বাংলাদেশ মিলিটারি ক্যু
এন্ড দ্য সিআইএ লিংক' বইটি শিগগিগর প্রকাশ হবে।
বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালে কয়েকটি রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের পর জেনারেল জিয়াউর রহমান কার্যত শাসক হিসেবে আবির্ভুত হওয়ার পর তিনি ভারতের আসন্ন আক্রমণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অবিহত করেছিলেন। জনাব খসরুর নতুন বইয়ে বলা হয়, তখন নয়াদিল্লি তার পছন্দের সরকার বসাতে চেয়েছিল বাংলাদেশে। ভারতের আক্রমণের আশঙ্কা তখন এত বেশি ছিল যে, জেনারেল জিয়াউর রহমান বেতার ভাষণে জাতিকে হামলা মেকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
জনাব খসরুর বইয়ে বলা হয়, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার সময় ঢাকায় মানুষের মনোভাব যেমন ছিল তখন (১৯৭৫) মনোভাব ছিল পুররোপুরি উল্টো। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বিরোধী ও ধর্মনিরপেক্ষ মনোভাব ছিল। ১৯৭৫ সালের ঘটনাবলীর পর পুরোপুরি পাকিস্তানপন্থী, ইসলামপন্থী, আমেরিকাপন্থী ও পশ্চিমাপন্থী মনোভাব তৈরি হয়।
ভারতের আক্রমণ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আদায়ের জন্য জেনারেল জিয়াউর রহমান ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব নজরুল ইসলামকে পাঠিয়েছিলেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে। নজরুল ইসলামকে বলা হয়েছিল, চীন ও পাকিস্তানে ভারতের সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে বাংলাদেশের মনোভাব যুক্তরাষ্ট্র যন অন্যদের অবহিত করে যাতে করে মুসলিম দেশের সমর্থন পাওয়া যায়। নজরুল ইসলামও ঢাকায় মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আরভিং জি. চেসল'র সঙ্গে দেখা করে এই কথাই জানিয়েছিলেন।
একই সময়ে ভারতের কলকাতায় যুক্তরাষ্ট্রের কানসাল জেনারেল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব অশোক গুপ্ত ও ইস্টার্ন কমান্ডের উপপ্রধান জে এফ আর জ্যাকবের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা করেন। অশোক গুপ্ত বলেছিলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি তখন উদ্বেগজনক। তখনো লড়াই চলছিল। ঢাকায় ভারত বিরোধী স্লোগান শোনা যাচ্ছিল।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এ এম সায়েমের মুখ্য সচিব মাহবুবুল আলম চাষী ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিস ই. বুস্টারকে টেলিফোন করে যে কোন বহিঃআক্রমণের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চেয়েছিলেন। রাষ্ট্রদূত বুস্টার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে তা জানিয়েছিলেন। জবাবে বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়ার কথা জানিয়ে দিতে ১৯৭৫ সালের ৮ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসকে নির্দেশনা দিয়েছিল। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্তায় উল্লেখ করা হয়, তারা স্বাধীন বাংলাদেশকে সমর্থন করে এবং আগের সকারগুলোর মতোই ঘনিষ্ঠ ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে। বাংলাদেশের উদ্বেগে তারাও সহানুভুতিশীল।
৮ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াই বি চ্যাবন অথবা পররাষ্ট্র সচিব কেওয়াল সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের উচ্চ পর্যায়ের মনোভাব জানতে এবং বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা জানাতে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, বাংলাদেশের কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপের কোন ইচ্ছা ভারতের নেই। বাংলাদেশের সরকার কীভাবে চলবে তা বাংলাদেশের বিষয়। কিন্তু বাংলাদেশের কোন নীতি ভারতের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করলে বা স্বার্থহানিকর হলে ভারত উদ্বিগ্ন হবেই।
ভারতের আক্রমণের আশঙ্কায় ২৩ নভেম্বর রাতে জিয়াউর রহমান দ্বিতীয় বার আতঙ্কিত হয়েছিলেন। সেদিন রাত সাড়ে ১২টায় তিনি বেতার অফিসে গিয়েছিলেন 'চরম দুঃসময়ে' জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাতে।
বাংলাদেশের সামরিক শাসক এই আশঙ্কাকে এতই গুরুত্ব দিয়েছিলেন যে, ভারতের আক্রমণ প্রতিরোধে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলীর সমর্থন পেতে গোপনে পাকিস্তানে দূত পাঠানো হয়েছিল।
‘কাজ করব, ফায়দা নেব না তা কী করে
এক
রাতে ঢাকা বিলবোর্ডের রাজধানী বনে যাওয়া রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছে।
প্রথমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা এ বিষয়ে কিছু জানেন না বললেও এখন
মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
সোমবার
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বিলবোর্ড
সাঁটানোর বিষয়ে বলেছেন, ‘বিএনপির অপপ্রচার ঠেকানোর কৌশলের অংশ হিসেবেই
বিলবোর্ডে সরকারের উন্নয়ন প্রচার করা হয়েছে।’
সোমবার
দুপুরে রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু
সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় হানিফ বলেন, ‘আপনাদের (বিএনপির)
অপপ্রচারে জাতি কিছুটা বিভ্রান্তি হয়েছে। তা থেকে কেটে উঠার জন্যই এ
প্রচারণা।’
আর
বিকেলে তো এ বিষয়ে রীতিমত বোমা ফাটিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী
জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে রাজধানীতে এসব বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে।
শ্যামলীতে
ইফতার পূর্ব এক সমাবেশ শেষে সাংবাদিকরা নানকের কাছে এই প্রচারণা সরকারের,
না দল আওয়ামী লীগের তা জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, ‘এই প্রচারণা সরকারের,
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের।’
নানক
আরো বলেন, ‘আমি এবং আমার মন্ত্রণালয় জনগণের উন্নয়নে কাজ করল, তাহলে তো
অবশ্যই আমি তার ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করব। ফায়দা নেব না তা কী করে হয়।
বরং ফায়দা নেওয়াটাই স্বাভাবিক।’
মোহাম্মদপুর
থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক খানের সভাপতিত্বে মূল অনুষ্ঠানে আরো
বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ বজলুর রহমান, হাবিবুর রহমান মিজান
প্রমুখ।
এর আগে অবশ্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বিলবোর্ড টানানোর বিষয়ে কিছু জানেন না বলে আরটিএনএন- কে বলেন।
আওয়ামী
লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন আরটিএনএন- কে বলেন, ‘আওয়ামী
লীগের প্রচার তো আওয়ামী লীগই করবে। দলের প্রচারের জন্য প্রচার সেল সব
ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু এই বিলবোর্ড কে টানিয়েছে সেটা না দেখে কিছু বলা
যাবে না।’
তবে তিনি বলেন, এটি আওয়ামী লীগ করলে সেখানে প্রচার সেলের নাম অবশ্যই থাকতো।
হঠাৎ
করে সরকারের উন্নয়নের বিলবোর্ডে ছেয়ে যাওয়ায় নগরবাসীর মধ্যে মিশ্র
প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে সরকারের এই কাজের সমালোচনা করেছেন।
আবার অনেকে প্রচারণাকে বিদেশের উদাহরণ টেনে ইতিবাচক বলেছেন।
গত
শুক্রবার এক রাতেই চেহারা পাল্টে য়ায় রাজধানী ঢাকার। যেদিক চোখ যায়,
সেদিকে শুধু ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের উন্নয়নের সাড়ে চার বছর। সরকারের
উন্নয়নের এসব প্রচারণায় ব্যবহার করা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন মোড় ও সড়ক
দ্বীপের বিলবোর্ড।
শিক্ষা,
স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, অর্থনীতি, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতওয়ারি সরকারের
সাড়ে চার বছরের উন্নয়ন চিত্র এসব বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও পোস্টারের মাধ্যমে
তুলে ধরে আরো উন্নয়নে সরকারের ধারাবাহিকতার কথা বলা হয়েছে। সঙ্গে আছে
পবিত্র ঈদুর ফিতরের আগাম শুভেচ্ছার পোস্টারও।
তবে
কারা এই বিলবোর্ড, পোস্টার টানিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। বিলবোর্ড বা পোস্টারেও
তার কোনো আলামত পাওয়ার উপায় নেই। অনেক এলাকায় বিলবোর্ডের আগের
বিজ্ঞাপনের ওপর সেঁটে দেয়া হয়েছে সরকারের উন্নয়নের বিজ্ঞাপন।
এছাড়া
অলিগলিতে লাগানো হয়েছে গত ৫ মে হেফাজতে ইসলামীর ঢাকা অবরোধের সংঘর্ষের
চিত্র সম্বলিত পোস্টার। ‘সচেতন সমাজের’ সৌজন্যে হেফাজতিদের তাণ্ডব’
শিরোনামের এই পোস্টারে হেফাজতের বিরুদ্ধে শ’ শ’ কোরআন পোড়ানোর অভিযোগ করা
হয়েছে।
সরকারি
উন্নয়নের প্রচার সম্বলিত এসব বিলবোর্ড আর ‘সচেতনতামূলক’ পোস্টার বদলে
যাওয়া রাজধানী এখন রাজনৈতিক বিতর্কের অন্যতম ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।
বিলবোর্ড
রাজনীতি নিয়ে সরকারি দল এবং বিরোধী দল পরস্পরকে কথার বাণ ছুঁড়ছেন। কেউ
কাউকে ছেড়ে কথা বলছেন না। মুখ খুলেছেন দুদলের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও।
পক্ষে-বিপক্ষে তারা নানান যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন।
সরকারি
দলের নেতাদের দাবি, বিরোধী দলের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সরকারের নেয়া এই
উদ্যোগকে সঠিক বলে মন্তব্য করেছেন। এর মধ্যদিয়ে বিরোধী দলের অপপ্রচারে
বিভ্রান্তির শিকার জনগণ সরকারের উন্নয়নের সঠিক চিত্র পাবে।
এদিকে,
বিলবোর্ড প্রচারণার পেছনে অর্থ যোগানসহ এর উদ্দেশ্য নিয়ে সরকারের তীব্র
সমালোচনা করছেন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতারা। বিলবোর্ড প্রচারণা দিয়ে
শেষ রক্ষা হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।
অন্যদিকে,
ইজারা ও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন এসব বিলবোর্ডের মালিকপক্ষ ও বিজ্ঞাপনদাতারা
দারুণ ক্ষুব্ধ। অবহিত করা ছাড়াই কোথাও বিজ্ঞাপনের ওপর বিজ্ঞাপন সেঁটে
দেয়া কিংবা ভাড়া হওয়া বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন দেয়া বিপাকে পড়েছেন দুপক্ষই।
তবে ভয়ে মুখ খুলছেন না তাদের কেউই।
প্রথমে
সরকারি উন্নয়নের প্রচারণার বেনামি বিলবোর্ড থেকে জনমনে প্রশ্ন উঠে এই
প্রচারণার অর্থায়ন সরকার নাকি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ করেছে। এ নিয়ে
প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলের নেতারাও।
শেষ
পর্যন্ত সোমবার এক অনুষ্ঠান শেষে বিলবোর্ড প্রচারণার অর্থায়নের বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী
জাহাঙ্গীর কবির নানক।
সাংবাদিকদের
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এসব বিলবোর্ড প্রচারণা স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের।
আমাদের সেসব মন্ত্রণালয় উন্নয়ন করেছে, আমরা এর ফায়দা নেব না কেন? আমরা
আমাদের উন্নয়নের চিত্র ঢাকাবাসী এবং পর্যায়ক্রমে দেশবাসীর কাছে তুলো
ধরব।’
এদিকে,
সরকারি দলের বিলবোর্ড প্রচারণায় জনগণ বিভ্রান্ত হবে না দাবি করে বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘উন্নয়নের ফিরিস্তি
তুলে ধরে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। তারা সরকারের প্রতি অনাস্থা
জানিয়ে দিয়েছে।’
আজ
আরেক অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেন, সরকার জনগণকে
বিভ্রান্ত করতে নতুন নতুন কৌশল ও কথা বলছে। তাদের উন্নয়নের কথায় জনগণ
বিভ্রান্ত হবে না, গত সাড়ে চার বছরে জনগণের কোনো উন্নয়ন হয়নি।
স্থায়ী
কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া আজ পৃথক এক অনুষ্ঠানে
বলেছেন, মিথ্যা প্রচারণার চালিয়ে কাজ হবে না। স্বৈরশাসক আইয়ুব খানও এমন
প্রচারণা চালিয়েছিলেন। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের মুখে তাকে বিদায় নিতে
হয়েছে।
Sunday, August 4, 2013
উন্নত বক্ষ যখন খুনের হাতিয়ার !
উন্নত বক্ষের এক তরুনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সে তার বক্ষ যুগল ব্যবহার করে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করতে চেয়েছে তার ছেলে বন্ধুকে ।
৩৩ বছর বয়স্ক জার্মান তরুনী ফ্রানজিস্কা হ্যানসেনের বিরুদ্ধে উন্নত বক্ষ কে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে আদালতে। অভিযোগে বলা হয় , যৌনক্রিয়ার সময় খেলার ছলে বুকের মধ্যে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয় ।
যদিও ফ্রানজিস্কা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন , যৌন ক্রিয়ার সময় এটা একটা খেলা মাত্র , হত্যা করার কোন পরিকল্পনা তার ছিল না । খবর ডেইলি মেলের।
তবে মেয়ে বন্ধুর একথা মানতে নারাজ ৩০ বছরের টিম , টিমের ভাষ্যমতে, আমরা তখন মজা করছিলাম। আমি তার উন্নত বক্ষের প্রশংসা করি। হঠাত করে সে তার বক্ষ ব্যবহার করে আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এভাবে আর কয়েক সেকেন্ড থাকলে আমি নিশ্চিত মারা যেতাম। আমার সফল ক্যারিয়ার নিয়ে সে বেশ কিছুদিন থেকেই হতাশ ছিল। আমাকে সহ্য করতে পারছিল না। হয়ত এ থেকেই আমাকে খুন করার প্রবৃত্তি জাগে।
টিম কোনপ্রকারে তার বক্ষ থেকে মুক্ত হয়ে উলঙ্গ অবস্হার ঘর থেকে বেরিয়ে এসে পালিয়ে বাঁচে।
আদালতে টিম বরাবরই বলে আসছে ফ্রানজিস্কা তাকে খুন করার জন্য এমনটি করেছে। কারন পরবর্তীতে টিম যখন ফোনে তার মেয়ে বন্ধুটিকে জিজ্ঞাসা করে কেন সে তাকে খুন করতে চেয়েছিল , ফ্রানজিস্কা নাকি বলেছিল , সে তার মৃত্যুটিকে আনন্দঘন করতে চেয়েছিল।
৩৩ বছর বয়স্ক জার্মান তরুনী ফ্রানজিস্কা হ্যানসেনের বিরুদ্ধে উন্নত বক্ষ কে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে আদালতে। অভিযোগে বলা হয় , যৌনক্রিয়ার সময় খেলার ছলে বুকের মধ্যে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয় ।
যদিও ফ্রানজিস্কা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন , যৌন ক্রিয়ার সময় এটা একটা খেলা মাত্র , হত্যা করার কোন পরিকল্পনা তার ছিল না । খবর ডেইলি মেলের।
তবে মেয়ে বন্ধুর একথা মানতে নারাজ ৩০ বছরের টিম , টিমের ভাষ্যমতে, আমরা তখন মজা করছিলাম। আমি তার উন্নত বক্ষের প্রশংসা করি। হঠাত করে সে তার বক্ষ ব্যবহার করে আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এভাবে আর কয়েক সেকেন্ড থাকলে আমি নিশ্চিত মারা যেতাম। আমার সফল ক্যারিয়ার নিয়ে সে বেশ কিছুদিন থেকেই হতাশ ছিল। আমাকে সহ্য করতে পারছিল না। হয়ত এ থেকেই আমাকে খুন করার প্রবৃত্তি জাগে।
টিম কোনপ্রকারে তার বক্ষ থেকে মুক্ত হয়ে উলঙ্গ অবস্হার ঘর থেকে বেরিয়ে এসে পালিয়ে বাঁচে।
আদালতে টিম বরাবরই বলে আসছে ফ্রানজিস্কা তাকে খুন করার জন্য এমনটি করেছে। কারন পরবর্তীতে টিম যখন ফোনে তার মেয়ে বন্ধুটিকে জিজ্ঞাসা করে কেন সে তাকে খুন করতে চেয়েছিল , ফ্রানজিস্কা নাকি বলেছিল , সে তার মৃত্যুটিকে আনন্দঘন করতে চেয়েছিল।
ঈদ না করেই ঢাকা ত্যাগ করলেন সজীব ওয়াজেদ জয়!
ঈদ না করেই অনেকটা হটাৎ করেই সপরিবারে ঢাকা ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
রোববার রাতে জয়, তাঁর স্ত্রী ক্রিস্টিন ওভারমায়ার ও একমাত্র মেয়ে সোফিয়া ওয়াজেদকে নিয়ে কাতারওয়েজের একটি ফ্লাইটে আমেরিকার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে। প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ সাইফুজ্জামান শিখর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে আওয়ামী লীগের অন্য কোনো সূত্র থেকে এই খবরের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঈদের পর আবারও আগামী ২০ আগস্ট তিনি দেশে ফিরে আসতে পারেন জয়। সে সময় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রস্তুতি সমন্বয়ের চূড়ান্ত কাজে অংশ নেবেন তিনি। এমানটাই জানিয়েছে ষূত্রটি।
উল্লেখ্য সজীব ওয়াজেদ জয় গত ১৬ জুলাই সপরিবারে দেশে আসেন। সেই সময় বিভিন্ন গনমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় তিনি এবার দেশেই ঈদ করতে দেশে এসেছেন। এছাড়া তার এবার বেশ লম্বা সময়ের জন্য দেশে থকে আওয়ামী লীগের নির্বাচন ভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রমেও অংশ নেবার কথা। সেই ধারাবাহিকতায় এই দফায় তিনি আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রস্তুতি সমন্বয়ের অংশ হিসেবে বেশকিছু কর্মসূচিতে অংশ নেন। গত বুধবার রংপুরের পীরগঞ্জে নিজ বাড়িতে গিয়ে সেখানে প্রথমবারের মত রাজনৈতিক জনসভায় বক্তব্যও রাখেন। এসব কর্মসূচিতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও নৌকার পক্ষে জনগণের ভোটও চেয়েছেন তিনি।
রোববার রাতে জয়, তাঁর স্ত্রী ক্রিস্টিন ওভারমায়ার ও একমাত্র মেয়ে সোফিয়া ওয়াজেদকে নিয়ে কাতারওয়েজের একটি ফ্লাইটে আমেরিকার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে। প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ সাইফুজ্জামান শিখর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে আওয়ামী লীগের অন্য কোনো সূত্র থেকে এই খবরের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঈদের পর আবারও আগামী ২০ আগস্ট তিনি দেশে ফিরে আসতে পারেন জয়। সে সময় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রস্তুতি সমন্বয়ের চূড়ান্ত কাজে অংশ নেবেন তিনি। এমানটাই জানিয়েছে ষূত্রটি।
উল্লেখ্য সজীব ওয়াজেদ জয় গত ১৬ জুলাই সপরিবারে দেশে আসেন। সেই সময় বিভিন্ন গনমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় তিনি এবার দেশেই ঈদ করতে দেশে এসেছেন। এছাড়া তার এবার বেশ লম্বা সময়ের জন্য দেশে থকে আওয়ামী লীগের নির্বাচন ভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রমেও অংশ নেবার কথা। সেই ধারাবাহিকতায় এই দফায় তিনি আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রস্তুতি সমন্বয়ের অংশ হিসেবে বেশকিছু কর্মসূচিতে অংশ নেন। গত বুধবার রংপুরের পীরগঞ্জে নিজ বাড়িতে গিয়ে সেখানে প্রথমবারের মত রাজনৈতিক জনসভায় বক্তব্যও রাখেন। এসব কর্মসূচিতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও নৌকার পক্ষে জনগণের ভোটও চেয়েছেন তিনি।
দুই ঘণ্টা লোডশেডিং দিতে বলে রেখেছি: প্রধানমন্ত্রী।
দেশের মানুষ যেন লোডশেডিংয়ের কথা ভুলে না যায় এ জন্য দিনে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগকে বলে রেখেছি দিনে অন্তত দুই ঘণ্টা লোডশেডিং দিতে। যাতে মানুষ লোডশেডিং যে ছিল এটা ভুলে না যায়।’
রবিবার রাজধানীর কুড়িল-বিশ্বরোড উড়ালসেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বালু নদীর ওপর নির্মিত সেতু উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কোনো এলাকায় কিছু কিছু লোক দুষ্টামি করে নামাজের সময়, ইফতার সেহরির সময় লোডশেডিং দেয়। এরকম কিছু হলে সাথে সাথে আমাদের খবর দেবেন। ওই সময় যে দায়িত্বে থাকবে তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার সময় আমরা যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন রেখে গিয়েছিলাম ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে তারও কম পেয়েছি। আমরা বলেছিলাম বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করব। আমরা করেছি।’ এসময় তিনি খাম্বা লিমিটেডসহ বিরোধীদলের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন।
ঈদ শুভেচ্ছায় দাগি অপরাধীরা।
বাড্ডার শাহাদাৎ হোসেনের সৌজন্যে প্রচার করা হয়েছে। ঢাকা-১৭ (গুলশান-ক্যান্টনমেন্ট) আসনের সর্বস্তরের জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে হাজার হাজার পোস্টার ছেপে লাগিয়েছেন গুলশান থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল উদ্দিন। পোস্টারে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ছোট করে ছাপলেও নিজের নাম বেশ বড় করেই ছেপেছেন। একই সঙ্গে জাতীয় শোক দিবস সামনে রেখে গুলশান আওয়ামী লীগ-যুবলীগের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম হৃদয় একটি পোস্টার ছেপেছেন। জাতীয় শোক দিবস সামনে রেখে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ কর্তৃক প্রচারিত পোস্টারের হুবহু নকল। সেখানে সৌজন্যে তার নাম ব্যবহার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জাতীয় শোক দিবসে আমরা শোকাহত, মর্মাহত। ঢাকা-১১ আসনের সর্বস্তরের জনগণকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার ও ফেস্টুন দিয়েছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব। ওই পোস্টারের সৌজন্যে রয়েছেন তেজগাঁও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদল সাধারণ সস্পাদক জালাল উদ্দিন মোল্লা। বাড্ডা ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাহীন। পেশায় একজন ডিশ ব্যবসায়ী। এ পর্যন্ত শতাধিক পোস্টার ছাপিয়ে তা প্রচার করেছেন এলাকায়। পোস্টারে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমের ছবিও ব্যবহার করেছেন। মিরপুর-
একাধিক খুলনায় হত্যা মামলার আসামি চরমপন্থি দলের সদস্য শেখ সাঈদুর রহমান ওরফে টেংকি শাওন বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ ফজলুল হক মনির ছবি সংবলিত প্যানা বোর্ড দিয়েছে খুলনার অলিগলিতে। সাঈদুর রহমান ওরফে শাওন হত্যা করে লাশ ট্যাংকিতে লুকিয়ে রাখায় পর তার নাম ট্যাংকি শাওন হিসেবে পরিচিতি পায়। ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সংগ্রামী যুব নেতা পরিচয়ে প্যানা বোর্ড দিয়েছে ট্যাংকি শাওন। স্কুলছাত্র হত্যার তালিকাভুক্ত আসামি এ শাওন।
আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শহিদ ইকবাল বিথার হত্যা মামলার পরিকল্পনাকারী ও অর্থ যোগানদাতা মেজবাহ হোসেন বুরুজ। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে একটি অনুষ্ঠানে ফুলের তোড়া দেন। শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সঙ্গে ওই ফুলের তোড়া সংবলিত ছবি দিয়ে প্যানা বোর্ড করে তা খুলনায় ঈদ শুভেচ্ছায় প্রচার করেছেন বুরুজ। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার আন্তঃজেলা ডাকাত দলের শীর্ষ নেতার ভাই একাধিক মামলার আসামি দাউদ খালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বিতর্কিত শহিদুল ইসলামও বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত পোস্টার বের করে ঈদ শুভেচ্ছা দিয়েছে। একই এলাকার ঢাকার জমির দালাল ইউপি বিএনপির সভাপতি ইউসুফ তালুকদার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রহুল আমীন দুলালের ছবি ব্যবহার করে ব্যানারের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা দিয়েছে।
শুধু চঞ্চল, ট্যাংকি শাওন কিংবা বুরুজরা নয় সারা দেশে রয়েছে এ রকম শ’ শ’ চঞ্চল, ট্যাংকি শাওন। তারা নিজেদের আখের গোছানোর ধান্ধায় ব্যবহার করছে জাতীয় নেতাদের নাম ও ছবি। তবে এদের বাইরে অনেকেই দলকে ভালবেসে পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি করছেন। তবে এ সংখ্যা খুবই কম। আর এ প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরপর আছেন বিএনপির জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী। বাংলাদেশে জাতীয় নেতাদের নিয়ে ব্যানার-পোস্টারের এমন রমরমা হলেও চলতি বছরের শুরুর দিকে ভারতের সমাজবাদী পার্টি সিদ্ধান্ত নেয় হাইকমান্ডের অনুমোদন ছাড়া কেউ পার্টিপ্রধানের ছবি কিংবা পার্টির লোগো ব্যবহার করে কোন পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট বা কোন প্রকার প্রচারপত্র বিলি করতে পারবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম কে আনোয়ার বলেন, দলের অনুমোদন ছাড়া পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট বা কোন প্রকার প্রচারপত্র বিলি করা অনৈতিক। তবে এতে দলের খুব একটা ক্ষতি হয় না। তিনি মনে করেন, যেসব জায়গায় দলের মধ্যে গ্রুপিং থাকে সেসব জায়গায় এ ধরনের পোস্টার প্রচার বেশি হয়। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ আলম লেলিন বলেন, যাদের এসব পোস্টার বা ব্যানার দেয়ার অনুমোদন আছে তারাও করে আর যাদের অনুমোদন নেই অর্থাৎ বিতর্কিত তারাও করে। ডিজিটাল যুগে পোস্টার বা ব্যানারে ছবি দিতে পাঁচ থেকে দশ মিনিট সময় লাগে। তিনি বলেন, আমরা এসব বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি।
টেন্ডার নিয়ে খুনের প্রধান আসামি জামিনে ছাত্রলীগের নেতা সাইফুল আলম লিমন মুক্ত ।
রেলের দরপত্র নিয়ে সংঘর্ষে শিশুসহ দুজন নিহতের মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গ্রেপ্তারের দেড় মাস পর রোববার বিকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসম্পাদক লিমন। তার সঙ্গে জামিনে ছাড়া পান আরো তিন আসামি। তারা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর টিপু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জমির উদ্দিন ও ছাত্রলীগকর্মী শরিফ আহমেদ। চট্টগ্রামের ডেপুটি জেলার নুর মোহাম্মদ সোহেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উচ্চ আদালত থেকে নেয়া চারজনের জামিন আদেশ রোববার চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত থেকে কারাগারে এসে পৌঁছায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিকালে তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
গত ২৪ জুন দুপুরে নগরীর সিআরবি এলাকায় পূর্ব রেলের একটি দরপত্র জমা দেয়া নিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে সাত বছরের এক শিশুসহ দুজন নিহত হয়।
সংঘর্ষে এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন লিমন, অন্যপক্ষে নেতৃত্ব দেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বহিষ্কৃত সদস্য হেলাল আকবর চৌধুরী।
এই ঘটনার পর পুলিশ বাদি হয়ে লিমনসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। আসামির তালিকায় ১ নম্বরে লিমনের নাম।
ওই মামলায় লিমনসহ ৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পর লিমনকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা সাইফুল আলম লিমন (গত ২৫ জুনের ছবি)
মাসে ১০০ কোটি টাকা দেয়ার শর্তে জেসমিনের জামিন।
প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা দেয়ার শর্তে জামিন পেয়েছেন সোনালী ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারিতে জড়িত হল-মার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম।
ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জহুরুল হক সোমবার শর্তসাপেক্ষে জামিনের এই আদেশ দেন বলে আসামির আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।অনিয়মের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় জেসমিনও আসামি।
দুদকের মামলায় জেসমিনের স্বামী, হল-মার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে রয়েছেন জেসমিনের বোনের স্বামী তুষার আহমেদও।
জেসমিন এর আগে বিচারিক আদালত থেকে আরেকবার জামিন পেলেও উচ্চ আদালত তাতে অসম্মতি জানায়। ফলে তার কারামুক্তি ঘটেনি।
কোম্পানির লেনদেনে কোনো ভূমিকা ছিল না দাবি করে জেসমিন হাই কোর্টে জামিনের আবেদনে বলেছিলেন,কোম্পানির লেনদেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের একক স্বাক্ষরে হতো বলে অনিয়মের দায় তার ওপর বর্তায় না।
জামিনের আবেদনে জেসমিন বলেন, তিনি ঋণগ্রহিতা ১১ কোম্পানির চেয়ারম্যান হলেও রমনা থানায় দায়ের করা ১১ মামলার ১০টির এজাহারেই তাকে আসামি করা হয়নি।
হল-মার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে কোম্পানির ব্যাংক হিসাবগুলো স্বামী তানভীরের একক স্বাক্ষরে পরিচালিত হত বলে জানান তিনি।
জেসমিনের আইনজীবী বলেন, আবেদনকারী কেবল দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তিনি কোম্পানির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। যে কোনো বিচারে তিনি একজন গৃহিণী।
অনিয়মের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার অভিযোগ ওঠার পর গত বছরের ১৮ অক্টোবর মানিকগঞ্জ থেকে জেসমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগে গ্রেপ্তার হন তার স্বামী তানভীর। তাদের বিরুদ্ধে দুদক ১১টি মামলা করে।
ঋণের অর্থ ফেরত দিতে রাজি হওয়ায় এবং ছেলের এসএসসি পরীক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে জেসমিনকে ৫০ হাজার টাকার মুচলেকায় দেড় মাসের জামিন দিয়েছিল বিচারিক আদালত।
এরপর দুদকের এক আবেদনে জেসমিন ইসলামের জামিন কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাই কোর্ট। পাশাপাশি তার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
Friday, August 2, 2013
কুষ্টিয়ায় দেড় শতাধিক ছাত্রী ধর্ষণের হোতা পান্না মাস্টার ঢাকায় গ্রেপ্তার (ভিডিও)
অন্তত
দেড় শতাধিক ছাত্রীকে নিজের বিকৃত যৌন লালসার শিকার বানানো হেলাল উদ্দিন
পান্না মাস্টারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাজধানী ঢাকার
মোহাম্মদপুরের একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে গোয়েন্দা
বিভাগ ডিবি।
সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে মানুষ রূপী এক কুলাঙ্গার শিক্ষক পান্নার যৌন কেলেঙ্কারি। পা্ন্না ছাত্রীদের সঙ্গে অবৈধ যৌন সম্পর্ক গড়েই ক্ষ্যান্ত হতেন না, এসবের ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দিতেন।
ইংরেজি দৈনিক ‘নিউ এজ’ গ্রেপ্তার সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তাদের অনলাইনে প্রকাশ করেছে, যেটি শনিবারের মুদ্রণ সংখ্যা আসবে।
এতে
বলা হয়েছে, সহকারী কমিশনার (এসি) রায়হানের নেতৃত্বে ঢাকা ডিবির একটি দল
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহাম্মদপুরের চিনু মিয়া রোডের ভাড়া বাসা থেকে
পান্না মাস্টারকে গ্রেপ্তার করে।
হেলাল
উদ্দিন পান্না কুষ্টিয়া বাড়াদি গ্রামের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের
সহকারী শিক্ষক। কুষ্টিয়া শহরের আড়পাড়ার নিজ বাসায় প্রাইভেট টিউশনিতে
আসা স্কুল-কলেজের এসব ছাত্রীদের তিনি চার সহযোগী নিয়ে ধর্ষণ করেন।
হেলাল
উদ্দিন পান্নার বিকৃত যৌন কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় প্রতিবাদ
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে সাব-ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম অভিযুক্ত শিক্ষকের
অবস্থান সনাক্ত করেন।
পান্না
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল,
কুষ্টিয়া যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম, যশোর স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী
প্রকৌশলী দুলাল হোসেন ও গাংনী স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী
শরিফুল ইসলাম সজলকে নিয়ে তার বাসায় এই অপকর্ম করতেন।
শুধু
তাই নয়, তারা ছাত্রীদের সঙ্গে তাদের এসব মিলন দৃশ্য গোপন ক্যামেরায় ধারণ
করতের, যা সম্প্রতি ভিডিও ক্লিপস আকারে এলাকার যুবকদের হাতে হাতে ছড়িয়ে
পড়েছে।
এ
ঘটনার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে গত ৭ জুলাই শতাধিক
এলাকাবাসী ও ছাত্ররা ডিসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা
কুষ্টিয়া-রাজশাহী মহাসড়কের বারখাদা-ত্রিমোহুনীতে অবস্থান নিয়ে সড়ক
অবরোধ করে।
এরপর
কুষ্টিয়া সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর এম. মনিরুল ইসলাম ৭ জুলাই পর্নোগ্রাফি
নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অধীনে পান্নাসহ ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের
করেন। এছাড়া পুলিশ পান্নার ল্যাপটপ জব্দ করেছে, যাতে এসব ভিডিও ক্লিপস
ছিল।
এর
আগে পান্না মাস্টারকে গ্রেপ্তারে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক অভিযান
চালায় র্যা ব ও পুলিশ। তবে বারবারই তা ব্যর্থ হয়। অবশেষে ঢাকা থেকে তাকে
গ্রেপ্তার করা হলো।সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে মানুষ রূপী এক কুলাঙ্গার শিক্ষক পান্নার যৌন কেলেঙ্কারি। পা্ন্না ছাত্রীদের সঙ্গে অবৈধ যৌন সম্পর্ক গড়েই ক্ষ্যান্ত হতেন না, এসবের ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দিতেন।
এভাবে
একজন দুজন নয়, অন্তত দেড় শতাধিক ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়েছেন
শিক্ষক পান্না মাস্টার। ঘটনাটি ঘটে কুষ্টিয়ার বাড়াদি গ্রামের আদর্শ
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক পান্না মাস্টার বাসায়
টিউশনির নাম করে দেড় শতাধিক ছাত্রীকে তার লালসার শিকার বানিয়েছেন।
আর
শিক্ষকের লালসার শিকার এসব ছাত্রীদের বেশিরভাগই অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণি
পড়ুয়া কোমলমতী। এরা পরবর্তী জীবনে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেও শিক্ষক
পান্নার হাত থেকে রেহাই পায়নি। ঘটনার ধারণকৃত চিত্র ও ছবি ফাঁস করে
দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন তাদের ভোগ করে এসেছেন পান্না।
শুধু
ধর্ষণ করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি শিক্ষক পান্না। অন্তরঙ্গ মিলনদৃশ্য ধারণ করে
ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে নানা ফন্দি-ফিকিরে হাতিয়ে নিয়েছে অর্থও।
সম্প্রতি তার এই বিকৃত যৌন কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে যায়। এলাকার যুবকদের
মোবাইলে তা ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর
শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মহল এই শিক্ষক নামের কুলাঙ্গারের
বিচার দাবি করেন। তারা অবিলম্বে এই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড দাবি
করেন। আর এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে তার সহযোগীদেরও বিচার দাবি করেন।
বেসরকারি
টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে পান্না মাস্টারের যৌন
কেলেঙ্কারি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাড়াদি আদর্শ বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক
পান্না মাস্টার অভিভাবকের পরিবর্তে বনে গেছেন প্লে-বয়ে। পান্না মাস্টারের
যৌন জিজ্ঞাসার শিকার প্রায় দেড়শ’ ছাত্রী, যাদের অধিকাংশ অষ্টম, নবম এবং
দশম শ্রেণি পড়ুয়া।
প্রতিবেদনে
আরো বলা হয়, ‘এ ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারত। কিন্তু নিজের ছাত্রীদের সঙ্গে
মিলনের দৃশ্য পান্না মাস্টার ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করেছেন দিনের পর দিন;
মাসের পর মাস; বছরের পর বছর।’
অষ্টম
শ্রেণি থেকে পান্নার যৌন লালসার শিকার এক ছাত্রী। সে বর্তমানে অনার্স
দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছে। তারপরও পান্নাকে নিয়মিত সময় দিতে হয় তাবে।
ওই
ছাত্রী জানায়, ‘পরিকল্পনা করে তিনি (পান্না মাস্টার) এগুলো করতেন। আর এখন
ছবি-ভিডিওর প্রকাশের ভয়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে একাজ করতে হচ্ছে। আমি সত্যিকার
অর্থে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। খুবই খারাপ লাগছে। এ নিয়ে আর কিছু বলতে চাই
না।’
পান্না
মাস্টারের সঙ্গে নগ্নদৃশ্যের ছবি অন্যের মোবাইলে দেখার পর ইতোমধ্যে ১১টি
মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আর এতেই এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়ে
পড়ে। এরপর থেকে পান্না পলাতক।
এরপর
প্রসাশনের টনক নড়ে। পান্না মাস্টারকে গ্রেপ্তারে শহরের বিভিন্ন জায়গায়
অভিযান চালানো হয়। অবশেষে শুক্রবার এসে তা সফলতার মুখ দেখলো।
Subscribe to:
Posts (Atom)