Tuesday, October 22, 2013

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল থ্রিজি -সাহারা খাতুন (ফেসবুকে সাহারা খাতুন ঝড়)

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল থ্রিজি। তা আজ বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের আগেই ভিশন-২১ স্বপ্নের বাস্তবায়ন হবে। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে বাংলালিংকের বাণিজ্যিকভাবে থ্রিজি চালু হওয়া উপলক্ষে বিশেষ উদযাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন। তিনি কেক কেটে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনেকদিন ধরে ওনি কোন সংবাদ শিরোনামে নেই !
তা কি হয় ? তাই তিনি ফিরে এলেন স্বরূপে !! তিনি আর কেউ নন , হ্যাকারকে হকার মনে করা আমাদের ডিজিটাল সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন !১৯৭৯ সালে জাপানে প্রথম পরীক্ষামূলক চালু করা হয়১৯৯১ সালে ফিনল্যান্ডে চালু করা হয় ।তারও অনেক পরে ২০০১ সালে বিশ্বের কয়েকটি উন্নত দেশে সিস্টেম চালু হয় ।

Wednesday, October 16, 2013

ভয়ংকর বিকাশ চক্র !

ব্র্যাক ব্যাংক এর বিকাশ মোবাইল ব্যাকিং এর প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারক চক্র দেশের বিভিন্ন এলাকার নিরিহ ধর্মপ্রান লোকজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রতিদিনেই এমন প্রতারনার ঘটনা ঘটলেও প্রতারনার অন্যতম হোতা অসাধু এজেন্ট ও যাদের ইন্ধনে এই প্রতারনার ব্যবসা সেসব মোবাইল অপারেটর এর কম্পানির অসাধু কর্মকর্তারা ধরা না পড়ায় এই প্রতারনা ব্যবসা এখন রমররা।

জানা যায়, জ্বীনের বাদশা এলাকা হিসাবে খ্যাত এসব এলাকার প্রতরক চক্র জ্বীনের বাদশাহ বা ভন্ডপীর দরবেশরা দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রবাসী, ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর স্ত্রী, কণ্যাসহ সহজ সরল সাধারন লোকজনের মোবাইল নম্বার সুকৌশলে সংগ্রহ করে।মাঝরাতে অদ্ভুদ কন্ঠে অথবা কন্ঠ বিকৃতি করে বিভিন্ন ঐতিহাসিক পবিত্র মাজার শরিফ ও পবিত্র মসজিদ এর মোয়াজ্জীন এখন ঘুমাচ্ছে এই সুযগে তার মোবাইল থেকে কথা বলছি এমন মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে কথিত জ্বীনের বাদশাহ অথবা ভন্ড পীর দরবেশরা মিথ্যা পরিচয় দিয়ে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের কিছু মর্মবানী শুনিয়ে তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলে তোর বাড়ীতে এত ডেস্কি স্বর্ন মুদ্রা আছে অথবা সোনার পুতুল আছে এই ধন সম্পদ নিতে হলে আমরা এত জন জ্বীনের দল অথবা আউলিয়া গাউস কুতুব দরবেশ আছি আমাদের পাগরী, টুপি গুলো পরাতন হয়েছে কিনতে হবে অথবা ছিন্নি দিতে হবে তাই যদি ১লাখ ১ টাকা এত নাম্বারে বিকাশ করিস তাহলে আমরা এসব কিনতে পারবো অথবা আমাদের পছন্দ মত ছিন্নি দিয়ে নিবো এবং খুশি হয়ে তোদেরকে সম্পদ গুলো উঠিয়ে দিবো, বল বাবা আলহামদুলিল্লাহ।

এতে অনেক নিরিহ লোকজন লোভে পড়ে জমানো টাকা, ধার দেনা বা ভিটে মাটি বিক্রি করলে প্রতারক চক্র বিকাশের অসাধু এজেন্টদের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। প্রতারক চক্র প্রতারনায় বিশ্বাস ধরানোর জন্য ব্যাবহার করে ভূয়া আইডি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করা সীম, ভূয়া আইডি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করা বিকাশ একাউন্ট নাম্বার, ভূয়া তৈরী স্বর্ন মূদ্রা, নকল মূর্তি, লাল শালু কাপড়, অনেক সময় প্রতারক চক্র ব্যাতিক্রম অনেক কিছুই ব্যাবহার করে থাকে।অপরদিকে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে জ্বীনের বাদশাহ এই প্রতারক চক্র এখন ছেলে মেয়েদের অপহরন করে বিকাশে মুক্তিপনের টাকা নিচ্ছে।

প্রতিদিনই ঘটছে অহরহ এসব প্রতারনার ঘটনা।কারন হাতের কাছে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা অসাধু বিকাশ এজেন্টরা প্রতারনা কৃত টাকার একটা এক্সট্রা বড় অংশ পায় বলে তাদের টাকা নেয়ার আগ্রহ ব্যাপক। অসাধু বিকাশ এজেন্টরা প্রতারকদের ব্যাপক ভাবে সহোযোগীতা করায় প্রতারকরাও থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে।প্রতারনার অন্যতম হোতা অসাধু এজেন্ট ও যাদের ইন্ধনে এই প্রতারনার ব্যবসা সেসব মোবাইল অপারেটর এর কম্পানির অসাধু লোভী কর্মকর্তারা এই প্রতারনায় সক্রিয় অংশ গ্রহন করেও ধরা না পড়ায় এই প্রতারনা ব্যবসা এখন রমররা। প্রতারকরা পুলিশের চোখের সামনে এসব প্রতারনার ঘটনা ঘটালেও গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে যে পুলিশের চেয়ে প্রতারকরাই বেশী সক্রিয়।

Sunday, October 13, 2013

সেঞ্চুরীর পর সোহাগ গাজীর হেট্রিক উপহার

স্পোষ্টর্স ডেস্ক: সেঞ্চুরীর পর সোহাগ গাজী হেট্রিক উপহার দিলেন বাংলাদেশীদের জন্য। অসম্ভবকেই যেন সম্ভব করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সোহাগ গাজী। ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার পর এবার বল হাতেও জ্বলে উঠলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে পর পর তিন তিনটি উইকেট নিয়ে হ্যাট্রিকের মাইল ফলক ছুঁয়েছেন তিনি।

সোহাগ গাজী ৮৪.২ ওভারে এ্যান্ডারসনকে আউট করে হ্যাট্রিকের যাত্র শুরু করেন। এর পর পর্যাক্রমে ওয়ালিং ও ব্রেসওয়েলকে আউট করে হ্যাট্রিক করেন।

উজিল্যান্ডের ২৬০ রানের মাথায় প্রথমে তিনি অ্যান্ডারসকে এলবিডব্লিইয়ের ফাঁদে ফেলেন। এরপরের বলে ওয়াটলিন মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলেন দেন। এরপরের অসাধারণ এক বলে ব্রেসওয়েল নাসিরের হাতে তুলে দেন ক্যাচ।

শনিবার প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষ ঘণ্টার খেলা বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় রোববার নির্ধারিত সময়ের ত্রিশ মিনিট আগে সকাল নয়টায় খেলা শুরু হয়।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১ উইকেটে ১১৭ রান নিয়ে খেলা শুরু করে নিউ জিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে আগের দিনের ৬৯ রানের জুটিকে ১০১ পর্যবন্ত নিয়ে যাওয়ার পর বিচ্ছিন্ন হন পিটার ফুলটন।

প্রথম ইনিংসে ৭৩ রান করা এ দীর্ঘদেহী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সোহাগ গাজী।

প্রথম ইনিংসে শতরান করা উইলিয়ামসন দ্বিতীয় ইনিংসেও সেদিকেও যাচ্ছিলেন। রস টেইলরের সঙ্গে তার ৫১ রানের জুটি ভাঙ্গায় ভাগ্যেরও একটু সহায়তা পেয়েছেন সোহাগ।

সোহাগের খাটো লেন্থের বল সজোরে ব্যাট চালিয়েছলেন উইলিয়ামসন। শর্ট লেগে থাকা এনামুল হক নিজের মুখ বাঁচাতে গিয়ে ক্যাচ ধরার চেষ্টাই করতে পারেন নি। কিন্তু বল এনামুলের দু’পায়ের মাঝখানে আটকে গিয়ে ক্যাচ। ৭৪ রান করে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন উইলিয়ামসন।

মমিনুল হক ও সোহাগ গাজীর শতকে প্রথম ইনিংসে ৫০১ রান করে বাংলাদেশ। এর আগে কেন উইলিয়ামসন ও বিজে ওয়াটলিংয়ের শতকে ৪৬৯ রান করে নিউ জিল্যান্ড।

বাংলাদেশের অফস্পিনার সোহাগ গাজী জানান, জয়ের জন্যই খেলবে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডকে যতদ্রুত সম্ভব অলআউট করার লক্ষ্য স্বাগতিকদের।

নিউ জিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্টও মনে করেন এখনো ফলাফলের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।

Saturday, October 12, 2013

কাজের মেয়ের সঙ্গে রুমির অবৈধ সম্পর্ক!

স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার হওয়া কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতনে সহযোগিতা করার অভিযোগে রুমির ভাই ইয়াসিন রনিকেও জেলহাজতে পাঠানো হয়। গতকাল দুপুরে রুমি ও রনিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 কিন্তু গ্রেপ্তারের পর পরই ফেসবুকে রুমির সঙ্গে একটি মেয়ের অন্তরঙ্গ ছবি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছবিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে। হাসান খান নামের এক ব্যক্তি ওই ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করেন। (বি: দ্র: প্রকাশ অযোগ্য হওয়ায় ছবিটি এখানে দেওয়া হলো না)

 হাসান খান নামে ফেসবুক ব্যবহারকারী দাবি করেন, আরফিন রুমির সঙ্গে ছবির ওই মেয়েটি রুমির বাসার কাজের মেয়ে। আর ছবিটি তুলেছেন রুমির প্রথম স্ত্রী। তিনি আরো বলেন, ওই ছবি নিয়ে মামলা করে রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা। অন্যদিকে, রুমির শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন ছবিটি ফটোশপে তৈরি করা। এটি নাকি পুরোপুরি বানানো একটি ছবি। আবার অনেকেই বলছেন, তার যে চরিত্র এরকম কাজ তিনি করতেই পারেন। তবে সত্য-মিথ্যা যাই হোক না কেন রুমির এই অন্তরঙ্গ ছবিটি নিয়ে গুঞ্জন ক্রমেই বেগবান হচ্ছে।

 মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক বলেন, নির্যাতনের অভিযোগ এনে রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা শুক্রবার রাতে মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথম স্ত্রী অনন্যা মামলায় শারীরিক নির্যাতনসহ বেশকিছু অনৈতিক অভিযোগ এনেছেন। অনন্যা বলেন, শুধু একাধিক মেয়েই নয়, বাসার কাজের মেয়ের সঙ্গেও অনৈতিক সম্পর্ক গড়েছিলেন রুমি। এমনকি বাসার কাজের মেয়ের সঙ্গে রুমির একটি অশ্লীল ছবিও এরই মধ্যে ফেসবুকে প্রকাশ হয়েছে। ওই ছবি নিয়ে এরই মধ্যে মিডিয়াঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মতিন জানান, যৌতুকসহ বিভিন্ন অজুহাত এনে দীর্ঘদিন ধরে অনন্যাকে নির্যাতন করে আসছিলেন রুমি। মাঝেমধ্যে তিনি কোনো কারণ ছাড়াই স্ত্রীকে পিটিয়ে বাসা থেকে বের করে দিতেন। এ ছাড়া প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই আরেকটি বিয়ে করেন। শুক্রবার রাতেও তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন রাতে মামলা করেন অনন্যা। পরে ভোরে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রুমি ও তার ভাই রনিকে গ্রেফতার করা হয়।

 মাত্র দুই থেকে তিন বছরের ক্যারিয়ারে ক্রমাগত নোংরামি আর অসভ্যতার বিকৃত উদাহরণই শুধু তৈরি করেছেন আরফিন রুমি। রুমির একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহশিল্পী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, এতটা নোংরা মনের আর অহংকারী শিল্পী কমই দেখেছি। অহংকার আর অসদাচরণের তার আজকের এই পরিণতি হয়েছে। ভয় হয় আবারও কোনো প্রলোভন দেখিয়ে সে তার প্রথম স্ত্রীকে বশ করে ফেলে কি না।

 এদিকে, রুমির ঘনিষ্ঠ অডিও প্রকাশক মারফত প্রথম স্ত্রী অনন্যাকে চাপ ও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে বলে তার প্রথম স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানান। এ ঘটনায় আপোসের ব্যাপারে আরফিন রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা একাধিকবার সাংবাদিকদের বলেন, একটা শর্তেই রুমির সাথে আপোস করতে পারি, তা হলো, তাকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসাকে ডিভোর্স দিতে হবে।

 অন্যদিকে, তার দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসা এবার রুমির সাথে আমেরিকা থেকে দেশে এসে ঈদের আগে এই পরিস্থিতি দেখে হতবাক। তাই তিনি দ্রুত বাংলাদেশ ছাড়ার পরিকল্পনা নিচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

 প্রসঙ্গত, আচরণগতভাবে রুমি তার আরেক গুরু হাবিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিলেন। হাবিব তার খ্যাতি পাওয়ার সাথে সাথে যেমন প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে তুলেছিলেন। কিন্তু এক্ষেত্রে রুমি নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন। গেল ঈদে রুমি আমেরিকা থাকাকালীন তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহচর মোস্তফা কামাল রাজ ও সিডি চয়েজ নিজ উদ্যোগে রুমির সলো অ্যালবামের বিশাল লঞ্চিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, অবশ্য সেখানে ঠাঁই হয়নি তার প্রথম স্ত্রীর। অবাক আর বিস্ময়ে ক্রমশ যেন হতবাক হতে থাকেন রুমির প্রথম স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সকলে। আর এত কিছুর প্রকৃত ফলাফল দিয়েছে যেন মূলত দেশের অগণিত শ্রোতা। রুমির সলো অ্যালবাম বাজারে সুপার ফ্লপ হয়। শুধু তাই নয়, দুর্ব্যবহার ও অসভ্যতা করার দায়ে আয়োজকরা রুমিকে মারধর করে এক মঞ্চ থেকে বের করে দেন। সে খবরও একাধিক মিডিয়ায় প্রকাশ পায়।

হজ্জ দেখুন লাইভ। আপনার কম্পিউটার থেকে( Watch Hajj Live. From your computer)

হজ / হজ্জ / হজ্ব (আরবি: حج হাজ্জ্‌) ইসলাম ধর্মাবলম্বী অর্থাৎ মুসলমানদের জন্য একটি আবশ্যকীয় ইবাদত বা ধর্মীয় উপাসনা। এটি ইসলাম ধর্মের পঞ্চম স্তম্ভ। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জীবনে একবার হজ্ব সম্পাদন করা ফরয‌ বা আবশ্যিক।[১] আরবি জ্বিলহজ্জ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ হজ্বের জন্য নির্ধরিত সময়। হজ্জ পালনের জন্য বর্তমান সৌদী আরবের মক্কা নগরী এবং সন্নিহিত মিনা, আরাফাত, মুযদালফা প্রভৃতি স্থানে গমন এবং অবস্থান আবশ্যক। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাৎসরিক তীর্থযাত্রা।[২] যিনি হজ্জ সম্পাদনের জন্য গমন করেন তাঁকে বলা হয় হাজী।

এখন আপনি চাইলেই আপনার ইন্টারনেটের মাধ্যমে মক্কা ও মদীসা শরীফ লাইভ দেখতে পারবেন।  

মক্কা শরীফ লাইভ দেখতে এখানে ক্লিক করুন। 

মদীনা শরীফ লাইভ দেখতে এখানে ক্লিক করুন

 

বহিস্কার হচ্ছেন ব্যরিস্টার মওদুদ

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে কর্ণেল তাহের হত্যার পূর্বপরিকল্পনাকারী হিসেবে নিজের বইয়ে উল্লেখ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। আরেক বইয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ১৫ আগস্টে জন্মদিন উদযাপন করার বিষয়টিকে মওদুদ প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী মওদুদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল করে এসে বিএনপিতে ঠাঁই নিয়েছেন। তবে তিনি বিএনপির ‘ভবিষ্যৎ কর্ণধার’ তারেক রহমানের রাজনীতির প্রবল বিরোধী।
এসব কারণে তাকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হচ্ছে বলে দলের একাংশের নেতা কমীদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। গুজব বিশ্বাসকারীদের দাবি, দিন-ক্ষণ, সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে খালেদা জিয়া দল থেকে মওদুদকে বহিস্কারের ঘোষণাটি দেবেন। দলের বড় একটি অংশ, যুব দল ও ছাত্র দলসহ তরুণ নেতা-কর্মীদের চাপে মওদুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানও নাকি মওদুদকে দল থেকে বহিস্কারের পক্ষে। তারেক নাকি তার মা খালেদা জিয়াকেও বিষয়টি টেলিফোনে জানিয়েছেন। পুরো বিষয়টি এখন চেয়ারপারসনের একক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এজন্য বিএনপির শীর্ষ নেতারা বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করছেন না।
উল্লেখ্য, গত ২০ মে কর্নেল তাহের ও তার সঙ্গীদের ১৯৭৬ সালে বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনালে গোপন বিচার অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে মওদুদ আহমদের ‘এ স্ট্যাডি অব পলিটিক্যাল অ্যান্ড মিলিটারি ইন্টারভেশন ইন বাংলাদেশ’ বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন আদালত।।
তবে মওদুদের লেখা বই এবং সেখান থেকে উদ্ধৃত করে উচ্চ আদালতের রায়ের বিষয়ে মওদুদ গণমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘আমার বক্তব্য ও লেখা বিকৃত করা হয়েছ।

রুমির অন্তরঙ্গ ছবি নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কের সৃষ্টি

আলোচিত সঙ্গীতশিল্পী আরেফিন রুমির গ্রেফতার ও একটি মেয়ের সাথে অন্তরঙ্গ ছবি নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা-সমালচনার ঝড় বইছে । গ্রেপ্তারের পর পরই ফেইসবুকে রুমির সাথে একটি মেয়ের অন্তরঙ্গ ছবি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

হাসান খান নামের এক ব্যক্তি ওই ছবিটি ফেসবুকে পোষ্ট করে।  হাসান খান নামে ফেইসবুক ব্যবহারকারী দাবি করেন,  “আরেফিন রুমির সাথে ছবির ওই মেয়েটি রুমির বাসার কাজের মেয়ে। আর ছবিটি তুলেছেন রুমির প্রথম স্ত্রী।”. তিনি আরো বলেন, ওই ছবি নিয়ে মামলা করে রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যার।

এদিকে শনিবার ভোরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  জানাজায় প্রথম স্ত্রী লামিয়া ইসলাম অনন্যার দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তারহন কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমি।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক বলেন, নির্যাতনের অভিযোগ এনে রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা শুক্রবার রাতে মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই গত বছর রুমি আমেরিকা প্রবাসী ভক্ত কামরুন নেসাকে বিয়ে করেন। রুমি-অনন্যা দম্পতির আরিয়ান নামে একটি ছেলেও রয়েছেন।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেন, “রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা তার বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন। তার অভিযোগ যৌতুক দাবি করে প্রায়ই রুমি তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।”

রাজধানীতে ঘণ্টা চুক্তিতে প্রেম!

ভাড়ায় প্রেম চলছে রাজধানীতে। ক্যাটরিনা, মল্লিকা, বিপাশারা অপেক্ষায় থাকে ভাড়াটে প্রেমিকদের জন্য। ঘণ্টা চুক্তিতে চলে তাদের প্রেম। ৫০ টাকায় গল্প করা, ১০০ টাকায় হাত ধরা ও চুমুতে ২০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। টাকার পরিমাণ বাড়লে মিলবে অন্তরঙ্গ হওয়ার সুযোগও।
রাজধানীর রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জুড়ে এমন প্রেমিকারা অপেক্ষায় থাকে প্রেমিকের জন্য। মিলে গেলেই কোন গাছের ফাঁকে, কিংবা আড়ালে প্রেমিক-জুটির চলে আড্ডা। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে পুলিশ, নিরাপত্তাকর্মী। ভাড়াটে প্রেমিক যুগল পার্কের প্রতিটি সিট দখল করে বসে থাকে। তারা আশপাশের লোকজনকেও তোয়াক্কা করে না। ঠিক থাকে না তাদের পোশাক পরিচ্ছদ। পার্কগুলো আরও বিব্রত কর হয়ে ওঠে। উদ্যানের ঘাস তখন তাদের বিছানায় রূপ নেয়।
তাদের দেখাদেখি স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও মেতে ওঠে উদ্দামতায়। ভাড়াটে প্রেমিকারা চলার পথে এক পলকেই যুবকদের টার্গেট করে। কাছে এসে নাম পরিচয় জিজ্ঞেস করে। পরক্ষণেই বলে ওঠে, বসবেন নাকি ? কতক্ষণ ? টার্গেট করা যুবকের সম্মতি পেলে কম দামেই তারা বসে পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে রেট বাড়াতে থাকে। সূত্র জানায়, এরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শিফট হিসেবে সময় দেয় উদ্যানে। যারা সকালে বা দিনে থাকে তারা রাতে আসে না। বৃহস্পাতবার দুপুর ১২টা। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন গেটের ভেতরে গিয়ে দেখা গেছে সারি সারি প্রেমিক যুগল বসে আছে। এদের মধ্যে স্কুলের ইউনিফর্ম পরা কমপক্ষে ৩০টি জুটি দেখা গেছে। এদের বেশির ভাগই স্কুল ফাঁকি দিয়ে এসেছে।
আর অন্যরা বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও ভাড়াটে বিনোদিনী। ভাড়াটে প্রেমিকা ক্যাটরিনা কাইফ বলেন, একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেড় ঘণ্টা উষ্ণ প্রেম নিবেদন করে তার ১৮০ টাকা কামাই হয়েছে। ক্যাটরিনা জানায়, তার মতো আরও অনেক সুন্দরী এ পেশার সঙ্গে জড়িত।
এমন একজনের নাম মল্লিকা। তিনি বলেন, আমরা প্রেম ভাড়া দিই। অন্যের দুঃখকে আনন্দে ভরিয়ে দিই। এ কাজ এত্ত সহজ নয়। তাই কাজ বুঝে ভাড়াও নির্ধারণ করা আছে আমাদের। তপু নামের একজন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, আমি প্রতিদিন সন্ধ্যায় এ রাস্তায় বাসায় ফিরি। প্রতিদিনই দেখি এদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পার্কে বিনোদিনীদের নিরাপত্তায় সহায়তা করে নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশ। এজন্য তারা নির্ধারিত কমিশন পায়। এমন বিনোদন দানকারীদের কাছ থেকে রমনা ও শাহবাগ থানা পুলিশ নিয়মিত মাসোহারা নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিনোদিনীরাই বলেছে, মাসোহারা নেয়ার সময় অনেক পুলিশ সদস্যরাও উষ্ণ বিনোদনও গ্রহণ করে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে থাকা রমনা কালীমন্দির সংলগ্ন পুকুরের দক্ষিণপাড় ঘেঁষে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বসেছিল এক জুটি। পার্কে থেকেই চকলেট বিক্রি করেন এমন একজন মধ্যবয়সী মহিলা বলেন, ওই মাইয়াডা প্রায় দিনই এদিকে আইয়া বন্ধুর লগে আড্ডা দেয়।
মেয়েডা বালো না। একেক দিন একেক পোলা লইয়া আইয়ে। দ্যাকতে সুন্দরী। ওর নাম কইছে বিপাশা। যেয় যেইডা খোঁজে হেয় হেইডা পায়। তয় দিনে কম, রাইতে বেশি। রমনা পার্কে সবসময় পানি বিক্রি করে রতন। তার কাছে জানতে চাইলে বলে, ইডা আর নতুন কি। যার ডারলিং নাই, হে ডারলিং ভাড়া নেয়। ভাড়াটে বিনোদিনী ও ইউনিফর্ম পরা স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ঘোরাঘুরির নামে আপত্তিকর আচরণে চরম বিব্রত হন পার্কে আসা স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিরা।
সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তায়েজুল হাসান সস্ত্রীক পার্কে এসেছেন ভ্রমণে। তিনি বলেন, পার্কের ভেতরের যা অবস্থা তাতে এখানে আসাই বিপদ। এমন কোন রাস্তা নেই যেখানে আপত্তিকর অবস্থায় কোন যুবক যুবতী বসে নেই। লজ্জায় ১০ হাত জায়গার মধ্যেই হাঁটাহাঁটি করে ঘরে ফিরতে হয়।
প্রশাসন এসব বিষয় মাথায়ই আনে না। রমনা পার্কের উত্তর গেটে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী হানিফ মিয়া জানান, বাইরে থেকে কেউ কাউকে নিয়ে এসে ঘোরাঘুরি করলে তো আমাদের করার কিছু নেই। এটা তো ঘুরে বেড়ানোরই জায়গা।
রমনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এমন বিষয় সম্পর্কে আমরা অবহিত নই। পার্কের ২৪ ঘণ্টার নিরাপত্তায় ২০ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। ভাড়াটে প্রেমিক কিংবা বিনোদিনীদের থাকার সুযোগ নেই। আর পুলিশ মসোহারা নেয় এমন অভিযোগও ঠিক নয়।

বাবার ভুলে প্রাণ গেল বৃষ্টির

লালমনিরহাট: বাবার ভুলে অকালেই ঝরে গেল শিশু বৃষ্টির (দেড়) নিষ্পাপ প্রাণ।

নিহত বৃষ্টি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ি কালীস্থান গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে।

শনিবার সকালে বৃষ্টির নিথর দেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আসলাম ইকবাল জানান, বাড়িতে একই টেবিলে রাখা ছিল বৃষ্টির জ্বরের ঔষুধ ও বেগুন ক্ষেতের কীটনাশক। শুক্রবার রাতে অক্ষর জ্ঞানহীন বৃষ্টির বাবা জহুরুল ইসলাম জ্বরের ওষুধ ভেবে মেয়েকে ভুলে কীটনাশক খাইয়েছেন।

এর একটু পরেই বৃষ্টি সংজ্ঞাহীন হলে তাকে নেয়া হয় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দেহ বিক্রি: কম দাম হলে পতিতা, বেশি দামী হলে মডেল!

যেসব মেয়েরা সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাঁদের বলে পতিতা ।
অপরদিকে, যেসব মেয়েরা হাজার টাকার বিনিময়ে লুকিয়ে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাদের বলে সোসাইটি গার্ল ।
যারা আর একটু বেশী দামে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাদের বলে পার্টি গার্ল ।
আর সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে তথাকথিত শিক্ষিত মেয়েরা যখন রাস্তা দিয়ে দেহ দেখিয়ে-দেখিয়ে হাঁটে TSC,NSU, KFC, ধানমণ্ডি লেকে বয়ফ্রেন্ডের কোলে বসে আড্ডা দেয়, মাঝে মাঝে টিপ খায় (কপালের টিপ না), কিস খায় এবং মাঝে মাঝে সেই বয়ফ্রেন্ডের সাথে লিটনের ফ্ল্যাটে যায়, পয়লা বৈশাখে লাল-সাদা শাড়ী পড়ে হাজারটা ছেলের সাথে ডলাডলি করে, পান্তা খায়, আর রিক্সায় হুড তুলে দিয়ে টিপ খায় (একবার কিন্তু কইছি যে এটা কপালের টিপ না), আবার বলে আমরা শুধুই ফ্রেন্ড ! সমাজ তখন তাঁদের বলে আধুনিক মেয়ে !
তাদের নিয়ে কথিত (!) দৈনিক পত্রিকায় লেখা হয় “দেশে নারীরা সমান অধিকার পাচ্ছে” ।
হাজার-হাজার মেয়েরা বছরে বছরে জিপিএ ৫ পাচ্ছে, আবার পরিমলের সাথে শুটিং (!) করতে পারছে ।
যারা আরও বেশী দামে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাদের বলে মডেল গার্ল বা অভিনেত্রী (সব মডেল বা অভিনেত্রীকে বলছি না) । সমাজের অনেকের চোখে এরা আবার ড্রিমগার্ল ! তাদের আবার ভিডিও বের হয় ।
কিন্তু তারপরও তারা সমাজে সকলের নিকট সম্মানপ্রাপ্ত । অথচ দেহ ব্যবসায় যারা শুধুমাত্র পেটের দায় করে বা জোরপূর্বক তাদের করানো হয়, তারাই বেশ্যা বলে আখ্যায়িত । কিন্তু কেন ?
তাঁদের এত টাকা-পয়সা,পাওয়ার নেই বলে ? থুতু মারি চুশীলদের এই দ্বৈত নীতিকে ।
যারা পেটের দায়ে এই ঘৃণ্য কাজটি করে তাঁদেরকে আমি পতিতা বলি না, আমি পতিতা বলি তাদেরকে যারা অর্থ বা কাজের লোভে পর পুরুষের সামনে বিবস্ত্র হতে দ্বিতীয় বার ভাবে না ।

Thursday, October 10, 2013

খালেদার সন্দেহের তালিকায় একডজন শীর্ষ নেতা...........

 বিএনপি’র শীর্ষ স্থানীয় প্রায় এক ডজন নেতা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। এসব নেতারা সরকারের সাথে এবং একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। এ তথ্য দলের একাধিক সূত্রের।
সন্দেহের তালিকায় সদ্য অসুস্থ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের নাম শীর্ষে রয়েছে। মওদুদ অসুস্থ হওয়ার পরও দলের চেয়ারপারসন বেগম জিয়া তাকে দেখতে যাননি। দলের নেতা কর্মীরাও বিষয়টি কমবেশি অবগত।
সূত্র মতে, কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ডিগবাজখ্যাত নেতা ব্যারিষ্টার মওদুদ রাজনৈতিক ভাবে অসুস্থ হয়েছেন। জানা গেছে, আলোচিত এসব নেতাদের কারো কারো নতুন দল বিএনএফ এ যোগ দেয়া সময়ের ব্যপার মাত্র। সূত্র মতে, মন্ত্রী ছিলেন এমন এক ডজন নেতার দূর্নীতির ফাইল নতুন করে দুদক কাজ শুরু করেছে। জেলে যাওয়া লাগতে পারে এমন ভয়ে এসব নেতা আতংকিত। বিএনপি আমলে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন এমন একজন নেতা কিছুদিন আগে প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গোপনে দেখা করেছেন এমন খবর বিএনপিতে ওপেন সিক্রেট। এ ঘটনা ফাঁস হওয়ায় ঐ নেতা দলের মধ্যে ইতিমধ্যেই কোনঠাসা হয়ে গেছেন। সূত্র বলেছে, কুমিল্লা এলাকার প্রভাবশালী স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য, দক্ষিণ অঞ্চলের এক প্রবীণ ত্যাগি নেতা, ঢাকা মহানগর বিএনপি’র একাধিক নেতা এ সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। বেগম জিয়া নিজেও কম বেশি বিষয়টি নিয়ে অবগত। বেগম জিয়ার ঘনিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, অতীতেও বিএনপিকে দফায় দফায় সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে ভাঙ্গা হয়েছে যা কি না পরে হিতে বিপরীত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিএনপিতে ভাঙ্গণ ধরাতে নানামুখি চক্রান্ত করছে। এ বিষয়ে বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা কেউ মুখ খুলতে চাননি।
তবে বিএনএফ সূত্র বিএনপি নেতাদের দলে যোগ দেবার বিষয়ে পজেটিভ আভাস দিয়েছে। বিএনএফ’র মূখপাত্র আবুল কালাম আজাদ ডিনিউজকে বলেছেন, অপেক্ষা করেন, চমক আছে। বিএনএফ এর এই নেতা আরো বলেছেন, মন্ত্রী এমপি ছিলেন এমন শতাধিক নেতা বিএনপি ত্যাগ করে আমাদের সাথে আসছে যা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

সমকামিতার অধিকার আদায়ে জাতিসংঘ চাপ দেয় কেন?

গত ১৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের পাঁচ দিন ব্যাপী এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জনসংখ্যা বিষয়ক ষষ্ঠ সম্মেলনে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশের উপর জাতিসংঘ থেকে সমকামী অধিকার নিশ্চিত করার জন্য চাপ দেয়া হয়। এই জাতিসংঘকে এর আগেও দেখেছি মায়ানমারকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চাপ না দিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার জন্য অন্যায়ভাবে বাংলাদেশকে চাপ দিয়েছিল।

কথা হল, বাংলাদেশ একটি ইসলামী রাষ্ট্র, যেখানে ধর্মে স্পষ্টভাবে সমকামিতা নিষিদ্ধ, সে দেশকে সমকামীদের বৈধতা দেবার জন্য চাপ দেয়ার হেতু কি? যে দেশের মানুষ মৌলিক অধিকার অর্জনে যোজন যোজন পিছিয়ে, যেখানে প্রকৃতঅর্থে মানবাধিকার কনসেপ্টটাই অনেকের কাছে এখনো অজ্ঞাত, যে দেশের মেথর, বেদে সম্প্রদায়ের লোকেরা এখনো চেয়ার থাকতে দূরে মাটিতে বসে থাকে, সেখানে সেসব খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে চাপ না দিয়ে হঠা‍ৎ করে সমকামীদের যৌন অধিকার আদায়ে চাপ দেয়ার অর্থ কি?

জাতিসংঘের মত সংগঠনের কি জানা নেই যে, ইসলামে সমকামিতা নিষিদ্ধ? এই দেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ? তাহলে জেনেবুঝে চাপ দেয়ার মানে কি? পেছন থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং কিছু মানবাধিকার সংস্থা কলকাঠি নাড়ালেই কি এরকম একটি বিষয়ে জাতিসংঘ চাপ দেয়ার অধিকার রাখে?

এর আগে ২০১১ সালে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক বিশেষ অধিবেশনে  উভয়কামীসহ সব সমকামী নারী ও পুরুষের সমানাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে প্রস্তাব পেশ করা হয়। ৪৭ সদস্য দেশের সমন্বয়ে গঠিত কাউন্সিলে সেই প্রস্তাবের প্রতি ২৩ সদস্য পক্ষে, ১৯ সদস্য বিপক্ষে ও ৩ সদস্য ভোট দানে বিরত থাকে। ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো পক্ষে  ভোট দিয়ে এ প্রস্তাবকে  ঐতিহাসিক উল্লেখ করলেও পাকিস্তান, সৌদি আরব, কাতার ও বংলাদেশের মতো ইসলামি রাষ্ট্র এ প্রস্তাব কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সেসময় জাতিসংঘ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, `যৌন-অবস্থানের কারণে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে বৈষম্য বা সহিংস আচরণ করা যাবে না।`

প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে কি সমকামীদের উপর কোনো বৈষম্য ও সহিংস আচরণ করা হয়? এই তো দু’দিন আগে পটুয়াখালীর সমকামী দু’জন নারীর প্রেম, বিয়ে নিয়ে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হল। কোথাও শুনিনি যে তাদের উপর সহিংস কোনো আচরণ করা হয়েছে। তার মানে দেশে সমকামীর অস্তিত্ব থাকলেও তাদের উপর সহিংস আচরণ করা হয় না।

এ দেশে বাংলাদেশ লিবারেল ফোরাম ও বয়েস অব বাংলাদেশের মতো কিছু সংগঠন আছে যারা সমকামীদের জন্য কাজ করে। শোনা যায়, এখানে অনেক সমকামী সদস্য আছে। আমার জানা নেই এই সংগঠনগুলো এদেশে নিষিদ্ধ কোনো সংগঠন কিনা। যদি না হয়ে থাকে তার মানে তারা এদেশে সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে না। হলে অন্তত এ বিষয়ে পত্র পত্রিকায় খবর আসতো। আসেনি যখন, তখন ধরে নিতেই পারি তারা নির্বিঘ্নেই এ দেশে বেঁচেবর্তে আছে। আমরা জানিনা এই সংগঠনের সদস্যরা সবাই হাই-সোসাইটি থেকে এসেছে কি-না। জানিনা এই বয়েস অব বাংলাদেশে নিম্নবিত্তের ও অশিক্ষিত কোনো সমকামী সদস্য আছে কি-না, থাকলে কত পার্সেন্ট। যদি না থেকে থাকে তাহলে কি ধারণা করে নিতে পারি যে, উচ্চ ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শিক্ষিতগোষ্ঠীর যৌন অধিকার রক্ষায় এরা কাজ করছে?

সমকামীদের অধিকার বলতে আসলে কি বোঝায়? তাদের অবাধে পার্টনারকে ভালবাসতে দিতে হবে? এখানে কি ভালবাসা বলতে শারীরিক নাকি মানসিক? “কামের” কথা যখন আসে, তখন অবধারিতভাবে সেক্স এর কথা আসে। তো তারা বাংলাদেশে কি অবাধে যৌনকর্মের অধিকার চাইছে? তারা কি চাইছে কোনো কাজী তাদের বিয়ে পড়িয়ে দেবে? কিছুদিন পর, বাচ্চা পয়দা না করেই কি তারা বিপরীতকামী দম্পতির কাছ থেকে বাচ্চা এডাপ্ট করার অধিকার চাইছে?

যেহেতু সমকামিতা ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থি, সেক্ষেত্রে এখানে ধর্মীয় রীতিনীতি, আচার আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে সমকামিতাকে দূরে রাখাটাই কাম্য হতে পারে। তাহলে সমকামীরা কেন বিয়ে নামক একটি ধর্মীয় আচারের অধিকারে সোচ্চার হয়ে ওঠে সে বিষয়টি আসলেই বোধগম্য নয়।

এটা যেমন সত্যি যে, কেউ ইচ্ছে করে সমকামী হয়না, তাই কেউ সমকামী জানলে তাকে যেমন সমাজে বয়কট করা সমীচীন নয়, ঠিক তেমনি মুসলিম দেশে সমকামিতাকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য চাপ দেয়াও সমীচীন নয়। পাশ্চাত্যে নগ্নতাকে শিল্প হিসেবে গণ্য করা হয়, তার মানে এই নয় যে, আমরাও নগ্নতাকে অনুমোদন করব। পাশ্চাত্যে বাসে-ট্রামে, হাটে-বাজারে প্রকাশ্যে চুম্বনসহ অনেক কিছুই মানবাধিকারের নাম অনুমোদিত, তার মানে এই নয় যে, তাদের মত সব প্রণয়ীর প্রকাশ্যে চুম্বনের অধিকার দিতে হবে, না দিলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে।

অনেকেই সমকামিতাকে স্বাস্হ্যকর বলে দাবি করে এর পক্ষে জনমত অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কথা বলছেন। "ন্যাশনাল এলজিবিটিআই হেলথ এলিয়ানস অস্ট্রেলিয়া” এর ওয়েবসাইটে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ অয়েলেস (সিডনি অন্তর্ভুক্ত) ও ভিক্টোরিয়া (মেলবোর্ন অন্তর্ভুক্ত) স্টেটে সাম্প্রতিককালে সিফিলিস, গনোরিয়ার মত যৌনরোগ গে` দের মাঝে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গবেষনায় দেখা গেছে যে,  তরুণ অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে যৌনবাহিত রোগ বিপরীতকমীদের তুলনায়  সমকামীদের মধ্যে পাঁচগুণ বেশি। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়াতে এইডস রোগ ২০০০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই গে` এবং সমকামী।

তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, মানবাধিকারের নামে অবাধে যৌনাচার করার জন্য যেসব দেশ নমনীয়, সেসব দেশেই এখন যৌনবাহিত রোগ মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়ছে।

সমকামী হবার গ্লানিতে অনেকে আত্ম্যহত্যা করে শুনেছি। কিন্তু সে আত্মহত্যা কি রাষ্ট্র প্রণোদিত? নাকি আত্মগ্লানি থেকে? নাকি যার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে সেই ব্যক্তি বিপরীতকামী হওয়ায় তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কোনো সম্ভাবনা নেই জেনে? যারা জীবনের সব লক্ষ্যের মূল লক্ষ্য যৌনসম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয়, যৌন অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে মাঠে নামে, যৌনসম্পর্কে কাঙ্ক্ষিত পার্টনারের সঙ্গে না জড়াতে পেরে আত্মহত্যা করার সিধান্ত নেয়, তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে, তাদেরকে অবাধে যৌনাচার করার স্বীকৃতি প্রদানের জন্য আমাদের নোবেলজয়ী থেকে শুরু করে মানবাধিকার কর্মীরা আজ সোচ্চার!

আধুনিকতার নামে ধর্মীয় মূল্যবোধ মেনে চলাকে পশ্চাদগামী বলে যারা প্রচার করে থাকেন তারা সমকামীদের অধিকার রক্ষার নামে সমাজকে কোথায় নিয়ে যায় সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে জেনে-শুনে-বুঝে বাংলাদেশের মত মুসলিম দেশে সেই অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন করার থেকে গৃহকর্মী আদুরিদের অধিকার আদায়ে সেই মেধা ও সময় ব্যয় করাই কি শ্রেয়তর নয়? 



Monday, September 23, 2013

ফেঁসে গেলেন চঞ্চল!

 আগের স্ত্রীকে না জানিয়ে পাশের গ্রামের জুঁই নামের একটি মেয়েকে বিয়ে করলেন চঞ্চল চৌধুরী। বিয়ের পর তাকে ঘরেও তুলেছেন তিনি। চঞ্চল সুযোগটা নিয়েছেন তার প্রথম স্ত্রী যখন বাবার বাড়ি বেড়াতে যান। এক রাত আগের ঘটনা হলেও বিষয়টি জানাজানি হতে বেশি সময় লাগেনি। পরের দিন সকালে এক মহিলা চঞ্চলের ঘরের দরজা খোলা দেখে ভেতরে প্রবেশ করেন। তার পর তিনি দেখতে পান চঞ্চল চৌধুরী নতুন একটি মেয়েকে নিয়ে বসে আছেন। এ ঘটনা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম স্ত্রী এ ঘটনা জানার পর ছুটে আসেন বাড়িতে। এসে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পান। চঞ্চল নতুন মেয়ে জুঁইকে নিয়ে রীতিমতো সংসার শুরু করেছেন। এ অবস্থা দেখে প্রথম স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর গ্রামবাসী চঞ্চলের বাড়ির বাইরে দিনরাত পাহারা বসায়, যাতে তিনি কোনোভাবে পালিয়ে যেতে না পারেন। হঠাৎ করেই চঞ্চল ঘোষণা দেন মেয়েটি তার স্ত্রী নয়। বিপদে পড়ে তার কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। এমন একটি আকর্ষণীয় কাহিনী নিয়ে আসছে ঈদুল আজহার বিশেষ নাটক ‘লাভ মেরেজ’। এতে সাঈদ নামের এমন একটি চরিত্রে দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে। বৃন্দাবন দাসের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করছেন দীপু হাজরা। এতে আরও অভিনয় করেনÑ শাহানাজ খুশি, সমাপ্তি, সীমানা, মাসুদ রানা মিঠু, মায়া ঘোষ, আপেল, সানজানা আফরীন মৌ, আশরাফ রবিসহ আরও অনেকে। নাটকটি একুশে টিভির জন্য নির্মিত হচ্ছে।

Dhoni hair gloss (ধোনির চুল চমক)

Champions League in the20 - to Mahindra Singh Dhoni was the new style. Chennai Super Kings match on Sunday with the Titus Super Kings captain of South Africa's helmet was khulatei new gimmicks. Dhonike new hair cutter was very different. Latin Americans have a lot of aphrikana!
32-year-old Italian footballer Mario mahira new hair cut looks a lot like it was balotellira. Balotellira stailei head of hair along the hair has been trimmed down the middle along with Dhoni. The emaesadira, as expressed in the storm after the comment on Twitter.

বাংলা

চ্যাম্পিয়ন্স লীগ টি ২০-তে মহেন্দ্র সিং ধোনির নতুন স্টাইল দেখা গেল। রোববার চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার টাইটাসের ম্যাচে সুপার কিংস অধিনায়ক হেলমেট খুলতেই দেখা গেল নতুন চমক। নতুন চুলের কাটে ধোনিকে একদম অন্যরকম দেখা গেল। অনেকটা অফ্রিকান কিংবা লাতিন আমেরিকানদের মতো!
৩২ বছরের মাহির নতুন চুলের কাট দেখে অবশ্য অনেকটা ইতালিয়ান ফুটবলার মারিও বালোতেল্লির কথা মনে পড়ে গেল। বালোতেল্লির স্টাইলেই মাথার দু’ধারে চুল প্রায় ছেঁটে ফেলে শুধু মাঝ বরাবর চুল রেখেছেন ধোনি। আর ‘এমএসডির’ নতুন রূপে প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই টুইটারে কমেন্টের ঝড় উঠেছে। 

সিলেটে অবুঝ শিশুর নামে মামলা।

মায়ের কোলে চড়ে আদালত থেকে জামিন পেয়েছে ১৪ মাসের এক শিশু। রোববার সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান চৌধুরীর আদালত শিশুটিকে জামিন প্রদান করেন। মায়ের কোলে চড়ে এসে জামিন আবেদন করলে আদালত এ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি আদালত বাদীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে শিশুর বিরুদ্ধে মামলা করার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। নোটিশ পেয়ে সোমবার বিকালে আদালতে হাজির হয়ে শিশুর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন মামলার বাদী স্যানেটারি ইন্সপেক্টর সামছুদ্দিন। আদালত মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ অক্টোবর নির্ধারণ করেন। বাদীকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
জামিনপ্রাপ্ত শিশু-আসামি কোম্পানীগঞ্জ থানার ছনবাড়ি নোয়াকুট গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে আফতাব আলী তার বয়স মাত্র ১৪ মাস। ১৪ মাসের একটি শিশুর আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেয়ার বিষয়টি শহর থেকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা যায়, খাদ্যপণ্যের গুণগতমান নিয়ন্ত্রণ ও ভেজাল প্রতিরোধের লক্ষ্যে চলতি বছরের ২৭ ফেব্র“য়ারি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরফিন বাজারের আফতাব স্টোরে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানেটারি ইন্সপেক্টর সামছুদ্দিন। এ সময় দোকান থেকে সরিষার তেলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকা মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে পাঠানো হয়। তেলে ভেজাল প্রমাণিত হওয়ায় সিভিল সার্জন সিলেটের মাধ্যমে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোম্পানীগঞ্জ আদালতে ইন্সপেক্টর সামছুদ্দিন বাদী হয়ে আফতাব মিয়ার নামে ভেজাল খাদ্য বিক্রয়ের অপরাধে বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ আইনের ৬(১) ধারায় অভিযোগ দাখিল করেন। আদালতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ আগস্ট আসামি আফতাব আলীর নামে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের মাধ্যমে সমন জারি করে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। রোববার হাজির হওয়ার তারিখ ছিল। দোকানটি আফতাবের নামে হওয়ায় তাকে মামলার আসামি করা হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অশেষ কর বলেন, দোকানের মালিক আফতাবের বাবা। তিনি তার নামে ইউনিয়ন থেকে ট্রেড লাইসেন্সও বের করেছেন। তার নামে ইউনিয়ন করও দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু একটি শিশুর বিরুদ্ধে মামলা হতেই পারে না। এটা হয়রানি ছাড়া কিছুই নয়। আফতাবের বাবা ইমতাজ আলী বলেন, আমার সন্তানের বিরুদ্ধে মামলার সমন যাওয়ায় আমি অবাক হয়েছি। শুধু তার নামে দোকান দিয়েছিলাম বলে একটি অবুঝ শিশুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

25 tornado killed inside China (Video) ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড চীন নিহত ২৫( ভিডিও)

Cyclone in south China's Guangdong Province usagira injuries inside out . However, there are at least 25 people were killed . The maximum wind speed recorded was 180 km per hour . The vegetation of the area has upare . Pracandataya way the wind was taken out of the yanabahanake highway . Ahatara was killed and buried under a tree or a conference is pressed down . At least 35 million people have been affected by the devastating tornado . Kuyancau beijingami the train has been suspended . Kuyancau , hankanyera senajhena and hundreds of flights have been canceled . The storm could still affect the hankanye . Abahaoyabisayaka officials said the cyclone moved towards the south of China . However, the financial institutions were hankanyera . At least 80 people have been safely moved to Fujian province . At least 50 people have been involved in the aid . In many areas of the province , and the province of kuyancau power is disconnected . 71 homes have been destroyed in the tornado . All the 52 million dollar loss was 60 million . A petrol station employee said heilim luo , this is the most intense in my life I saw the cyclone .

 বাংলা

মানবজমিনঃ-ঘূর্ণিঝড় উসাগির আঘাতে লণ্ডভণ্ড দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশ। এতে সেখানে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছে। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। এতে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বাতাসের প্রচণ্ডতায় রাস্তা থেকে যানবাহনকে সড়কের বাইরে নিয়ে ফেলেছে। নিহত ও আহতরা হয়তো গাছের নিচে চাপা পড়েছেন অথবা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। ভয়াবহ এ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমপক্ষে ৩৫ লাখ মানুষ। কুয়াংচৌ থেকে বেইজিংগামী ট্রেন স্থগিত করা হয়েছে। কুয়াংচৌ, শেনঝেন ও হংকংয়ের শত শত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। তবে হংকংয়ে এ ঘূর্ণিঝড় তেমন প্রভাব ফেলতে পারে নি। আবহাওয়াবিষয়ক কর্মকর্তারা বলেন, ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ চীনের দিকে অগ্রসর হয়েছে। তা সত্ত্বেও গতকাল হংকংয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। ফুজিয়ান প্রদেশের কমপক্ষে ৮০ হাজার মানুষ নিরাপদে সরে গেছে। কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে ৫০ হাজার ত্রাণকর্মী নিয়োজিত করেছে। এ প্রদেশ ও কুয়াংচৌ প্রদেশের অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ৭১ হাজার ঘরবাড়ি। সব মিলে ৫২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এক পেট্রল স্টেশনে কর্মরত লুও হেইলিং বলেছেন, আমার জীবনে যত ঘূর্ণিঝড় দেখেছি তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে তীব্র।

ড. মিজানের ওপর হামলা নিয়ে ধূম্রজাল।

মানবজমিন : সুইজারল্যান্ডে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের ওপর হামলার খবর নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে ড. মিজানুর রহমানের ওপর হামলার খবর প্রকাশিত হয়। এরপর এ খবরটি সত্য নয় বলে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২২শে সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে চারটায় জুরিখস্থ ভেটিংগেন এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের ছেলে তাজুল ইসলামের বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের। এসময় কয়েকজন লোক অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। তারা ড. মিজানকে কিলঘুষি মারতে থাকে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রবাসীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি করে। এক পর্যায়ে তারা পালিয়ে যায়। এ খবর প্রকাশের পর মানবাধিকার কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত রোববার ড. মিজানুর রহমান জুরিখে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদানের পর জেনেভাতে অন্য একটি সেমিনারে যোগদানের জন্য রওনা হন। তিনি সামাজিক অনুষ্ঠান ত্যাগ করার পর ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিবদমান দু’টি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় এক ব্যক্তি আহত হন তার নামও মিজানুর রহমান। তিনি সুইজারল্যান্ডের বিএনপির সাবেক সভাপতি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের  চেয়ারম্যান ওই ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

হেফাজতের কর্মকাণ্ড নজরদারির নির্দেশ৷

হেফাজতে ইসলামের কর্মকাণ্ড ও গতিবিধি নজরদারিতে রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে শহীদ ও নিখোঁজ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি কামনায় আগামী ৪ অক্টোবর ঢাকায় জয়কালী মন্দিরে গণশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান আয়োজনকে নিরুৎসাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রবিবার আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন, শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, র‌্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, 'হেফাজতে ইসলামের তৎপরতা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখাটা গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। হেফাজত কোন ধরনের আন্দোলন করছে, তা জনস্বার্থের বিরুদ্ধে যাচ্ছে কি না এসব দেখা হচ্ছে। তারা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করলে বাধা দেওয়া হবে না। তবে আগের মতো সহিংসতার দিকে এগোলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সর্বোপরি হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। তারা রাজনৈতিক কোনো আচরণ করবে না এমনটাই আশা করি।'

বৈঠকে উপস্থিত থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, হেফাজত কী ধরনের আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করছে সে ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হেফাজত আইনের ভেতরে থেকে কোনো কর্মসূচি পালন করতে চাইলে সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে সবাই একমত পোষণ করেছেন। তাদের পক্ষ থেকে কোনো দাবি-দাওয়া নিয়ে স্মারকলিপি দিতে চাইলে তাও গ্রহণ করা হবে। গণতান্ত্রিক সব অধিকার তারা ভোগ করতে পারবে। তবে স্মারকলিপি দেওয়ার ক্ষেত্রে চার-পাঁচজনের বেশি লোককে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।

সভায় হেফাজতের সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণার বিষয়টিও আলোচনায় আসে। হেফাজতকর্মীরা ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে যাতে সচিবালয়ের দিকে যেতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গণশ্রাদ্ধ আয়োজনকে নিরুৎসাহিত করা হবে : মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও নিখোঁজদের পরমাত্মিক মুক্তি কামনায় আগামী ৪ অক্টোবর ঢাকায় জয়কালী মন্দিরে গণশ্রাদ্ধের আয়োজন নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সংশ্লিষ্টদের নিরুৎসাহিত করার পক্ষে সভায় কেউ কেউ মতামত দেন।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আইনশৃঙ্খলা সভার এই বৈঠকের কয়েক দিন আগে গণশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানটির ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারের শেষ সময়ে এসে এ ধরনের অনুষ্ঠান হলে ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ফায়দা লোটার চেষ্টা চালাতে পারে। এ কারণে অনুষ্ঠানটি আয়োজানের বিষয়টি বিবেচনার কথা বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গণশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানটিতে যোগ দিতে সারা দেশের পাশাপাশি অন্য দেশ থেকেও হিন্দু সম্প্রদায়ের পুরোহিতরা আসার কথা রয়েছে। এ অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এই আয়োজনকে নিরুৎসাহিত করার পক্ষে মতামত দেওয়া হয়েছে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করা ইসলামের বিরুদ্ধে নগ্ন আগ্রাসন : আল্লামা শাহ আহমদ শফী

রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব অবৈধকরণের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ এবং সরকারের প্রতি অবিলম্বে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির এবং দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তিনি বলেন, বিতর্কিত এনজিও ব্র্যাক শুরু থেকেই ইসলামি শিক্ষা ও কৃষ্টিকালচার বিরোধেী বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করে মুসলমানদের স্বার্থবিরোধী কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। সম্প্রতি তাদের পরিচালিত রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পরিহিত একজন ছাত্রীকে বহিষ্কার করে এবং তাদের প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানকে আরো স্পষ্ট করেছে। এটা ইসলামের বিরুদ্ধে নগ্ন আগ্রাসন ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বলেন, মুসলিমপ্রধান দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসাধারণের মৌলিক ও ধর্মীয় অধিকার হরণ করে ড্রেসকোডে এমন বিধান থাকার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে ইসলামি পোশাক পরিধানের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে বহিষ্কার হতে হবে, এটা জাতির জন্য লজ্জা ও পরিতাপের বিষয়। যারা এ কাজটি করেছে তারা অত্যন্ত ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় কাজ করেছে। খবরটি আমাকে দুঃখ দিয়েছে ও উদ্বিগ্ন করেছে। তিনি বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হিজাব পরিহিত ছাত্রীকে বহিষ্কার করে রীতিমতো নারী নির্যাতন করেছে, উলঙ্গপনাকে উৎসাহিত করে নারী জাতিকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের অপরিহার্য বিধান হিজাববিরোধী অবস্থানের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে তৌহিদি জনতাকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের হিজাবের বিরুদ্ধে অবস্থানের ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে তৌহিদি জনতার ক্ষোভ প্রশমিত করুন। আগ্রহী ছাত্রীদের হিজাব, বোরকা ও নেকাব পরে কাসে আসতে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেসকোড যদি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক হয়, তবে তাতে পরিবর্তন আনতে হবে। তৌহিদি জনতা কোনোভাবেই ইসলামের বিরুদ্ধে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা নীরবে সইবে না। এ ধরনের বর্বর ও জঘন্য ঘটনার বিচার না হলে ইসলামের দুশমনরা এরূপ আরো ঘটনা ঘটিয়ে দেশের সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলা বিনষ্টে ষড়যন্ত্র করতে উৎসাহিত হবে। অন্যথায় জনসাধারণ নাস্তিক্যবাদ ও ইসলামবিদ্বেষীদের পাশাপাশি আপনাদেরও তাদের সহায়ক হিসেবে বিবেচনা করবে। বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী আরো বলেন, বিশ্বে নিরাপত্তা বাহিনীই সবচেয়ে কঠোরভাবে ড্রেসকোড মেনে চলে। তা সত্ত্বেও ভারতীয় পুলিশ, বিএসএফ ও সেনাবাহিনীতে শিখদের তাদের ধর্মীয় পোশাক পাগড়ি পরিধানে বাধার সৃষ্টি করা হয়নি। এ দিকে হেফাজতে ইসলামের আমির গত দুই দিনে দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ সাইটে বিগত ২১ সেপ্টেম্বর ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সে দিনের ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে ইসলাম ও মুসলিম স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশের চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ও কর্মসূচি প্রণয়নেরই আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি আগের সাংগঠনিক কমিটি বহাল রেখে সংগঠনের কর্মতৎপরতাকে আরো গতিশীল করার জন্য কেন্দ্রীয় শূরা কমিটি ও একটি উপকমিটি গঠন করা হয়। ২১ সেপ্টেম্বরের ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম থেকে কাউকে বহিষ্কার করা বা কোনো ব্যক্তিবিশেষকে বাদ দিয়ে কমিটি গঠনের কোনো বিষয়ই আলোচনায় ছিল না। সুতরাং এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও সংবাদ পরিবেশনের কোনো অবকাশ নেই।

Kenyan shopping - mall hostage in a dramatic turn.কেনিয়ার শপিং-মলে জিম্মি ঘটনায় নাটকীয় মোড়৷

Kenya 's capital Nairobi mall hostage in the hands of militants have been terminated .On the third day of explosions and firing sound to be heard from inside the building .Related Stories Mall attack kills 68 in Kenya.Related matter International terrorismThe government says Islamist militants of al- sababera still has some hostages .Kenyan military forces are trying to comprehensive end this siege .As the Red Cross , at least unasattara killed and more than sixty are still missing .Military campaign .Militants , saying , lifestyle Kenyan troops have been sent in response to this attack run .Military says most of Sunday night malatira shopping area that came under the control of the security officials are claiming .A small portion is now in the hands of insurgents hostage .The security forces are being brought by a small circle around them kamei .But suddenly after the mall has to come from the bispharana and untrained words .Thick black smoke was seen shopping malatira up coil .It is not clear what is happening now .This is what happened to jimmira not know .The call for a new group of soldiers going into shopping malatira .

বাংলা 

কেনিয়ায় রাজধানী নাইরোবির শপিং মলে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি ঘটনার এখনো অবসান হয়নি।তৃতীয় দিনেও ভবনের ভেতর থেকে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।সম্পর্কিত খবরকেনিয়ায় শপিং মলে হামলায় নিহত ৬৮সম্পর্কিত বিষয়আন্তর্জাতিক, সন্ত্রাস সরকার বলছে, আল শাবাবের ইসলামপন্থী জঙ্গিদের হাতে এখনও কয়েকজন জিম্মি রয়েছে।এই অবরোধের অবসান ঘটাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে কেনিয়ার সামরিক বাহিনী।রেডক্রসের হিসেবে, অন্তত ঊনসত্তর জন নিহত এবং ষাট জনেরও বেশি এখনও নিখোঁজ।সেনাবাহিনীর অভিযান।জঙ্গিরা বলছে, সোমালিয়ায় কেনিয়ার সৈন্য পাঠানোর জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।সেনাবাহিনী বলছে, রবিবার রাতেই শপিং মলটির বেশিরভাগ এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে বলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা দাবি করছেন।জঙ্গিদের হাতে এখন খুব অল্প মানুষই জিম্মি আছেন।তাদের ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীর বৃত্তটি কমেই ছোট করে আনা হচ্ছে।কিন্তু এর পরই হঠাৎ করে শপিং মল থেকে নতুন করে বিস্ফারণ এবং গোলাগুলির শব্দ আসতে থাকে।ঘন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে শপিং মলটির ওপরে।সেখানে এখন কি ঘটছে তা পরিষ্কার নয়।এর ফলে জিম্মিরা এখন কি অবস্থায় আছেন সেটাও জানা যাচ্ছে না।নতুন করে তলব করা সৈন্যদের দল শপিং মলটির দিকে যাচ্ছে।

 

কিভাবে বুঝবেন আপনি মরা মুরগীর গ্রীল/শর্মা খাচ্ছেন!

কিভাবে বুঝবেন আপনি মরা মুরগীর গ্রীল/শর্মা খাচ্ছেন:-

 ১) যখন দেখবেন গ্রীল/ শর্মাতে গোলাপ জলের গন্ধ পাচ্ছেন।

২) যখন গ্রীল / শর্মাতে অতিরিক্ত ঝাল এবং জিরা ব্যবহার হচ্ছে।

৩) মুরগীর মাংস কামড় দিয়ে যখন দেখবেন কিছুটা রুক্ষ ভাব আছে এবং তুলনামুলক ভাবে শক্ত

৪) যখন দেখবেন মুরগীর হাড্ডির ভিতরের মজ্জাটা অতিরিক্ত কালো।

সকল সর্তকতা স্বত্তেও যদি কেউ মরা মুরগীই খেয়েই ফেলেন তাহলে নিজেকে এক দিনের জন্য বেয়ার গ্রীল ভেবে পুলকিত হওয়া ছাড়া সান্তনা পাবার কোন উপায় নেই।

গ্রিল চিকেন ও শর্মাতে দেদারসে ব্যবহার হচ্ছে মরা মুরগী,রাজধানী ঢাকার বিভি্ন্ন ফাষ্টফুড,হোটেল এবং রেস্তোরায়…..

প্রতিদিন এসব মরা মুরগীর গ্রিল চিকেন খাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।

রাজধানীর ধানমন্ডির একটি স্বনামধন্য রেষ্টুরেন্ট থেকে ৩০০ পিস মরা পচা মুরগী সহ হাতেনাতে ২ জনকে আটক করে RAB।

সাধারনত প্রতিটি মরা মুরগী ৫০-৬০ টাকায় নিউমার্কেট ও কারওয়ানবাজাড়ের অসাধু মুরগী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিনে তা গ্রিল এবং শর্মা বানিয়ে বিক্রয় করে আসছে।

মুরগী বিক্রেতাদের কাছে একশ্রেণীর অসাধু হোটেল বা মেস কারবারির মোবাইল ফোন নম্বর থাকে।মুরগী মারা গেলে বিক্রেতারা ওইসব হোটেল বা মেস কারবারিকে খবর দেয়।তারা এসে মরা মুরগীগুলো কিনে নিয়ে যায়।

প্রতিদিন ঢাকার বিভিন্ন হোটেল রেষ্টুরেন্টে গ্রিল ও শর্মার জন্য তিনি নিয়মিত সাপ্লাই দিয়ে থাকেন।


Friday, August 16, 2013

মালয়েশিয়ায় গিয়ে বিড়ম্বনায় শ্রমিকরা।

বেড়িয়ে আসছে সরকার প্রনীত জি-টু-জি পদ্ধতিতে জনশক্তি রপ্তানির দুর্বল দিকগুলো। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জটিলতায় সরকারিভাবে মালয়েশিয়া গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন শ্রমিকেরা। সম্প্রতি এ ধরণের জটিলতায় পড়ে ফেরত এসেছেন একজন শ্রমিক। দেশে করা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোনও সমস্যা না থাকলেও, মালয়েশিয়া যাওয়ারর পর স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাকে।  দেশে ফেরার পর সরকারও কোনরকম সহায়তা করছে না বলে অভিযোগ করেছেন এই শ্রমিক। বিদেশে কাজ করে সংসারে স্বচ্ছলতা আনার স্বপ্ন ছিলো মানিকগঞ্জের আবদুল কাদেরের। এ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পাওয়া ১৯৮ জনের মধ্যে একজন তিনি। সবাই বলেছিলো, তিনি ভাগ্যবান। কিন্তু তার এই ..সৌভাগ্যের সময়কাল মাত্র আড়াই মাস। সরকারি ভাবে মালয়েশিয়া যেতে নির্বাচিত সবাইকে করতে হয়েছে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা। কাদেরকেও তা করা হয়েছিলো। হৃদরোগ, অ্যাজমা, ডায়বেটিকস সহ ২১টি রোগের পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ  হওয়ার পরই তিনি পান মালয়েশয়ার ভিসা। অথচ কাজে যোগ দেয়ার পর ডায়বেটিকস রোগের কারণ দেখিয়ে মাত্র এক দিনের নোটিসে তাকে করা হয় দেশচ্যুত। হতাশ হয়ে দেশে ফিরে বারডেম সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন কাদের। এর একটিতেও নেই উচ্চ ডায়বেটিকসের কোন আলামত। ভুক্তভোগী আবদুল কাদেরের দাবি, চাকরি ফিরিয়ে দিতে না পারলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হোক। বেসরকারি জনশক্তি রপ্তানিকারকদেরকে শুরু থেকেই এ পদ্ধতিতে কর্মী নিয়োগের বাইরে রেখেছে সরকার। এমন ঘটনায় তাই সরকারের সমালোচনা করতে ছাড় দিচ্ছেন না তারা। কাদেরের এই অসহায়ত্ব সরকার প্রণীত জি-টু-জি পদ্ধতির প্রধান দূর্বলতা বলে দাবি বায়রা মহাসচিবের আলী হায়দার  চৌধুরী।

টেলিটকের থ্রিজি প্যাকেজ: শুভঙ্করের ফাঁকি।

থ্রিজি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এগোতে পারছে না রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি টেলিটক। টেলিটকের প্যাকেজ পরিকল্পনায় শুভঙ্করের ফাঁকির কৌশলে অধিকাংশ গ্রাহককে থ্রিজি সেবা না দিয়ে এজ টু সার্ভিসের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

গ্রাহকরা একে প্রতারণা বলেই মনে করছেন। অন্যদিকে ঘন ঘন নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে দুর্ভোগে থ্রিজি গ্রাহকরা।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, নেটওয়ার্ক লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছেন তারা। বর্তমানে বাজারে একমাত্র থ্রিজি অপারেটর হলেও প্রায় আট মাস আগে চালু করা থ্রিজি প্রযুক্তি রাজধানীর বাইরে এখনও কার্যকরভাবে সম্প্রসারণ করতে পারেনি টেলিটক।

সূত্র জানায়, টেলিটক সিমকার্ড বিক্রির হার ভালো থাকলেও সংযোগ গ্রহণের কিছুদিন পরই সিম ব্যবহার খুব কমে যাচ্ছে কিংবা দিনের বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকছে। ফলে ব্যবহারকারীর দিক থেকে গ্রাহকসংখ্যায় কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি নেই।


কূটনীতিক শাহনাজ গাজীর বিবাহ বর্হির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তোলপাড়

কূটনীতিক শাহনাজ গাজীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার নেতিবাচক চারিত্রিক কর্মকাণ্ড দেশের ইমেজকে ক্ষুণ্ন করবে বলেও মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চীনের কুংমিংয়ে বাংলাদেশ মিশনের কনসাল জেনারেল শাহনাজ গাজীকে নিয়ে আগে থেকেই কূটনীতিক মহলে বিতর্ক রয়েছে। গত ২০১০ সালে নিউইয়র্কের গ্রান্ড হায়াত হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীণ ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মাহবুবুল হক শাকিলের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই তার ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তারপরও মাহবুবুল হক শাকিলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার সম্পর্ক ভালভাবে নেয়নি অনেকে।
সূত্র জানায়, শাহনাজ গাজীর ওপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তাই নাখোশ। তাদের অনেকে অভিযোগ করে বলেন, নিউইয়র্কের ঘটনার পর শাহনাজ গাজীকে নিয়ে পত্রপত্রিকায় অনেক লেখালেখি হয়েছে। এতে বাংলাদেশ সম্পর্কে বহির্বিশ্বে নেতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টির সুযোগ দেখা দিলেন শাহনাজ গাজীকে রাখা হয়েছিল বহাল তবিয়তে। সম্প্রতি আবারও তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ছবি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে। এতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার সম পর্যায়ের ক্যাডার কর্মকর্তারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে এড়াতে পারছেন না।
জানা গেছে, এর আগেও বিএনপি সরকারের আমলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক পদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকায় লন্ডনে শাহনাজ গাজীর তার পদায়ন বাগিয়ে নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় ওই সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. শমসের মুবিন চৌধুরীর সঙ্গে শাহনাজের ‘চমৎকার’ ছিল।
এদিকে শাহনাজ গাজীকে নিয়ে পত্র-পত্রিকায় খবর ছাপা হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। শাহনাজ দাবি করেন তার ও  শাকিলের ছবিগুলো ফটোশপের কারসাজি। তবে ইমেজ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞদের মনে করেন, ছবিগুলো ফটোশপের মাধ্যমে করা হয়নি। এগুলো বাস্তবে তোলা ছবি।
তাছাড়া নিউইয়র্ককাণ্ডের পরও তাদেরকে একসঙ্গে বেশ কয়েকবার গুলশানের সামদাদো রেস্টুরেন্টেও দেখা গেছে। সেখানে তাদের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি তুলেছিলেন রেস্টুরেন্টটির কর্মচারী আলবার্ড। তিনি ঢাকা টাইমসটোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, ‘ বিভিন্ন সময় আমি শাকিল স্যার ও শাহনাজ ম্যাডামের হাস্যজ্জ্বল দৃশ্যের ছবি তুলে দিয়েছি। তারা একে অন্যের খুব ঘনিষ্ঠ বলেও জানতাম।’
এদিকে শাহনাজ গাজী নিজেও এর আগে ছবিগুলো সম্পর্কে ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, ‘ছবিগুলো কোথায়, কখন, কী অবস্থায় তুলেছি তাতো এখন বলতে পারব না।’
তবে মাহবুবুল হক শাকিলের ঘনিষ্ট একটি সূত্র ঢাকা টাইমসটোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শাহনাজ গাজীর সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন। একসঙ্গে বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি তুলেছেন। এগুলোর কোনটাই ফটোশপ বা অন্যকোনো ভাবে তৈরি করা নয়।
২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা শাহনাজ গাজীকে মাহবুবুল হক শাকিল ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন বলে প্রচার করা হয়। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পরে নিউইয়র্ক থেকে দেশে ফিরে আসেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারির পদটিও ছাড়তে হয় তাকে। তবে শাহনাজ গাজী ছিলেন বহাল তবিয়তে। ওই ঘটনার পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলসে বাংলাদেশ মিশনে ডেপুটি কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে এবছরের শুরুতে চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশের নতুন মিশন খোলা হলে শাহনাজ গাজীকে কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। সরকারের একাধিক সূত্র জানায়, ওই ঘটনায় শাকিলের কোনো দায় ছিল না এ ব্যাপারে আশ্বস্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী তাকে ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি আরও উচ্চতর পদে (বিশেষ সহকারী, মিডিয়া) নিয়োগ দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক আসুদ আহমেদ ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোরকে বলেন, ‘শাহনাজ ম্যাডাম ও শাকিল সাহেব দুজনই সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। নিঃসন্দেহে তারা অনেক বিবেকবান। তাদের নিয়ে যা শোনযাচ্ছে তা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত। তাই এখনও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অফিশিয়ালি বিষয়টিকে বিবেচনা করা হচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অধিকারের ময়নাতদন্ত

সাজেদুল হক: অধিকার সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুরই ভাল  জানবার কথা। যেহেতু তাদের দুই জনেরই আদর্শিক পথ একসময় এক ছিল। অধিকারের কণ্ঠ আর জামায়াত-হেফাজতের কণ্ঠকে এক বলেই ঠাওর করেছেন মাননীয় মন্ত্রী। যদিও শুক্রবারের মানবজমিনের অনলাইন সংস্করণে মিজানুর রহমান নামে এক পাঠকের মন্তব্য কৌতূহলোদ্দীপক। তিনি লিখেছেন, আজকে যারা আদিলুর রহমান খানের কণ্ঠে জামায়াত-হেফাজতের আওয়াজ পান কয়েকদিন পরে তাদের কণ্ঠ আর আদিলুরের কণ্ঠ এক কণ্ঠে মিলে যেতে পারে। আদতে আদিলুরের কণ্ঠ হলো মজলুমের কণ্ঠস্বর। আদতে অধিকারের কণ্ঠ কার পক্ষে সোচ্চার? বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে কি ভূমিকা ছিল অধিকারের? মানবাধিকার সংগঠনটির যাত্রা শুরু অবশ্য এরও আগে ১৯৯৪ সালে। শুরু থেকেই নির্যাতন, সীমান্ত হত্যা, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার  ছিল সংগঠনটি। ২০০৩ সালে অধিকারের বার্ষিক রিপোর্ট পর্যালোচনা করলেই ‘বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে’ সংস্থাটির কথিত ভূমিকা 
স্পষ্ট হবে। তখন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে অনেকে বাহবা দিচ্ছিলেন। অথচ সেই সময়ও অধিকার তীব্র এবং তীক্ষ্ন বাসায় সমালোচনা করেছিল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের। ২০০৩ সালে অধিকারের বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই বছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মোট ৮১ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৪, ফেব্রুয়ারিতে ৩, মার্চে ৫, এপ্রিলে ৯, মে’তে ৪, জুনে ৭, জুলাইয়ে ৬, আগস্টে ৭, সেপ্টেম্বরে ১২, অক্টোবরে ৯ এবং ডিসেম্বরে ৭ জন। ৫৪ ধারায় অনেক গরিব এবং নিরপরাধ মানুষের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনার বর্ণনা দেয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এর আগে ২০০১ সালে যে নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসে সে নির্বাচনে সংঘটিত সহিংসতার বিবরণও প্রকাশ করে অধিকার। অধিকারের প্রতিবেদন অনুযায়ীই ওই নির্বাচনে সহিংসতায় ৫২ জন নিহত হন।
আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের ট্রাম্পকার্ডকালীন সময়েও অধিকারের ভূমিকা আমরা পরীক্ষা করবো। ২০০৪ সালের ৩০শে এপ্রিল সরকার পতনের ডেডলাইন ঘোষণা করেছিলেন আবদুল জলিল। সে সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন লুৎফুজ্জামান বাবর। অতিউৎসাহী আর ‘সফল’ ভূমিকা তৎকালীন সরকারে তার প্রভাবও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিল। তার নির্দেশে সেসময় বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় গণগ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে। অধিকারই সে সময় সাড়ে আট হাজার লোক গ্রেপ্তারের তথ্য প্রকাশ করেছিল। সরকারবিরোধী প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার ছিল সেই রিপোর্ট। অধিকারের ২০০৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী সে বছর র‌্যাবের ক্রসফায়ারে ৭৯ জন, পুলশের হাতে ১২৮ জন নিহত হয়। ওই বছর ৫ জন সাংবাদিক হত্যা আর ১১১ জন নির্যাতিত হওয়ার বিবরণও সে রিপোর্টে রয়েছে।
২০০১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত মানবাধিকার নিয়ে নিয়মিতই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে অধিকার। বিএনপির শাসনামল, ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং বর্তমান সরকারের আমলে এসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল বেগম খালেদার জিয়ার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। ২০০৭-০৮ সালে ক্ষমতায় ছিল সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আর ২০০৯ সালের শুরু থেকে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৩৯৪৮ জন। আর আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ১৪৩ জন। এর মধ্যে ২০০১ সালে ৬৫৬, ২০০২ সালে ৪২০, ২০০৩ সালে ৪৩৬, ২০০৪ সালে ৫২৬, ২০০৫ সালে ৩১০, ২০০৬ সালে ৩৭৪, ২০০৭ সালে ৭৯, ২০০৮ সালে ৫০, ২০০৯ সালে ২৫১, ২০১০ সালে ২২০, ২০১১ সালে ১৩৫, ২০১২ সালে ১৬৯ এবং ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩২২ জন নিহত হয়েছেন।
অধিকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন ২১৫১ জন। এর মধ্যে ২০০১ সালে ৪৪, ২০০২ সালে ৮৩, ২০০৩ সালে ৮১, ২০০৪ সালে ২৪০, ২০০৫ সালে ৩৯৬, ২০০৬ সালে ৩৫৫, ২০০৭ সালে ১৮৪, ২০০৮ সালে ১৪৯, ২০০৯ সালে ১৫৪, ২০১০ সালে ১২৭, ২০১১ সালে ৮৪, ২০১২ সালে ৭০ এবং ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত ১৮৪ জন নিহত হয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনে ২০০১ থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯৭ জন। এর মধ্যে ২০০১ সালে ৮, ২০০২ সালে ৫০, ২০০৩ সালে ২৫, ২০০৪ সালে ৪৬, ২০০৫ সালে ২৬, ২০০৬ সালে ২৭, ২০০৭ সালে ৩০, ২০০৮ সালে ১২, ২০০৯ সালে ২১, ২০১০ সালে ২২, ২০১১ সালে ১৭, ২০১২ সালে ৭ এবং ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত ৬ জন নিহত হয়েছেন।
অধিকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৩ বছরে মোট ২৫ জন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ২০০১ সালে ২, ২০০২ সালে ৩, ২০০৪ সালে ৫, ২০০৫ সালে ২, ২০০৬ সালে ১, ২০০৯ সালে ৩, ২০১০ সালে ৪, ২০১২ সালে ৫ জন নিহত হয়েছেন।
শেষ কথা: আদতে স্থান, কাল ভিন্ন হলেও মানবাধিকারের সংজ্ঞা অভিন্ন। যুদ্ধ অথবা শান্তি সবসময় একই ভাষায় কথা বলে মানবাধিকার। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভাষাও এক। আওয়ামী লীগ, বিএনপি আর তত্ত্বাবধায়ক সবসময়ই অধিকারের ভাষাও কি অভিন্ন নয়?

হাসিনার শত্রুর প্রয়োজন নেই।

মাহফুজ আনাম সম্পাদক, ডেইলি স্টার: এ ধরনের মন্ত্রী, উপদেষ্টা থাকার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আসলেই কোন শত্রুর প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী, সরকার এবং তার দলকে বিব্রত এবং ধ্বংস করার জন্য এরাই যথেষ্ট। সমপ্রতি দু’টি ঘটনায় এটা প্রমাণ হয় যে, শেখ হাসিনা যাদের নিয়োগ দিয়েছেন অথবা যেসব কর্মকর্তা তার চারপাশে রয়েছেন তারা সরকার পরিচালনায় অক্ষম। চাতুর্যের সঙ্গে যা করা সম্ভব, তা তারা করেন দাম্ভিকতার সঙ্গে। যা যুক্তির দ্বারা করা সম্ভব   তা তারা করেন শক্তির দ্বারা। যা আইনি পথে করা সম্ভব তা তারা করেন বেআইনিভাবে। প্রথমে বলা যায়, বিলবোর্ডের ব্যাপারটি। কারণ যেভাবে এ কাজটি করা হয়েছে তাতে এর আসল উদ্দেশ্যই পণ্ড হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র বাংলাদেশে এসে যখন ঘোষণা দিলেন যে, তিনি তার মায়ের সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের মোকাবিলা করতে সহায়তা করবেন তখন থেকেই এ প্রচারণার বিষয়টি শোনা যাচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী পুত্র যে হার্ভার্ড কনসালটেন্টের কথা বলেছিলেন তিনি হয়তো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বা অন্যান্য নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক প্রচারণার কথা উল্লেখ করেছিলেন। ওইসব প্রচারণায় বিলবোর্ডসহ গণমাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অর্থ খরচের বিষয়টিও নিশ্চিয়ই হয়তো আলোচনায় এসেছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন অনুমোদনের পরই অদক্ষ, ভাড়া আদায়ের মানসিকতা এবং ক্ষমতা প্রদর্শনের বিষয়টির উদয় ঘটে আর বিলবোর্ড কেলেঙ্কারির জন্ম হয়। দৃশ্যত যা ছিল একটি শুভ চিন্তা সেটা পরিণত হয় জনসংযোগ বিপর্যয়ে। এর ভয়াবহ পরিণতি অবশ্য নির্বাচনের আগে বুঝা যাবে না।  প্রধানমন্ত্রীর অফিস এবং তার দলে কি একজন লোকও ছিলেন না যিনি বিষয়টির পদ্ধতিগত অবৈধতার বিষয় তুলে ধরতে পারতেন? এমন কেউ যদি সেখানে না থেকে থাকেন তাহলে প্রধানমন্ত্রীর একেবারেই কাছে যে বুদ্ধিমত্তা আর নৈতিক দেউলিয়াত্ব চলছে সেটা নিয়ে আসলেই তার গভীর উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। আর সেখানে যদি এমন ধরনের লোক থেকে থাকেন যারা এ বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিবোধ করেছেন কিন্তু কিছু বলার সাহস পাননি। তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে আরেক ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। সেটি হলো কিভাবে তিনি দ্বিমত পোষণকারীদের বক্তব্য শোনার ব্যবস্থা করবেন। নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করার ব্যর্থতা এবং দ্বিমত প্রকাশে ভয় পাওয়া- এ দু’পক্ষই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার পথে হুমকি হিসেবে কাজ করে। প্রকৃত সত্য হচ্ছে- প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সম্পর্কে যে সমালোচনাটি সবচেয়ে বেশি হয় সেটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হয় তোষামোদকারীতে পরিপূর্ণ অথবা সেখানে পেশাদার লোকজন থাকলেও তারা কেবল হুকুম তামিল করেন। এদের অনেকেই ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রভাবকে কাজে লাগান।
অধিকারের রিপোর্ট সামলানো এবং এর সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানের গ্রেপ্তারের বিষয়টি অদক্ষতার একটি উদাহরণ। এর সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে, তা সরকার এবং বাংলাদেশকে সারা দুনিয়ার কাছে বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি করেছে। জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ একটি বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এবং বাংলাদেশ যার প্রাপ্য নয় তা পাচ্ছে। এটা আমাদের উপর আনা শেখ হাসিনা সরকারের উচিত হয়নি। ডেইলি স্টার ৫ই মে হেফাজতের সমাবেশ এবং রাতের ঘটনা কাভার করেছে। ওই ঘটনায় মৃত্যুর ব্যাপারে রিপোর্টের ক্ষেত্রে আমরা সতর্ক ছিলাম। ওই সময় এবং এখন পর্যন্ত অধিকার বর্ণিত নিহতের ৬১ সংখ্যার ব্যাপারে আমরা একমত নই। আমরা মনে করি, সরকারের অধিকার রয়েছে ‘অধিকার’ বর্ণিত সংখ্যার নিহতদের নাম এবং ঠিকানা জানার। তথ্য মন্ত্রণালয় ১০ই জুলাই তা জানতে চেয়ে অধিকারকে চিঠি দিয়েছিল। এক সপ্তাহ পর অধিকার যখন সরকারকে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন মন্ত্রণালয়ের উচিত ছিল এ নিয়ে আদালতে যাওয়া। আমাদের মতে, এটি একটি ভাল মামলা হতো এবং খুব সম্ভবত আদালত অধিকারকে তথ্য দেয়ার নির্দেশ দিতো।
অদক্ষতা এবং দাম্ভিকতা আবার ফিরে আসে যখন এক মাস অপেক্ষা করার পর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা রাত সাড়ে ৯টায় স্ত্রী এবং সন্তানসহ বাড়ি ফেরার পথে আদিলুর রহমান খানকে গ্রেপ্তার করে। সরকারের সামনে এ নিয়ে যেসব বিকল্প ছিল তার মধ্যে রয়েছে- ১. প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার জন্য দিনের বেলায় তাকে আনা যেতো ২. তাকে নোটিস দেয়া যেত যে, আইন রয়েছে এনজিও সরকারকে তথ্য দিতে বাধ্য ৩. প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য আদালতের নির্দেশনা চাওয়া যেতো ৪. মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করা যেতো ৫. সরকার বিশ্বস্ত কোন গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করতে পারতো যে সংস্থা অধিকারের বিভিন্ন প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করতে পারতো এবং সরকারের দাবিমতো তাদের প্রতিবেদনে ভুল তথ্য থাকলে তা প্রকাশ করতে পারতো। আদিলুরকে শুধু গ্রেপ্তারই করা হয়নি, এমনকি তাকে রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে। সৌভাগ্যবশত হাইকোর্ট তা বাতিল করেছে। আমরা সবাই জানি রিমান্ডে কি হয়?
শুক্রবারের ডেইলি স্টার থেকে অনূদিত

‘আর কেউ হরতাল করলে, তাদের বাড়িতে ঢুকে হত্যা করতে হবে ’- আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি-জামায়াতের হরতালে দলীয় নেতাকর্মীদের তৎপরতা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত হরতাল করে। আর রাস্তায় শুধু পুলিশ থাকে। আমাদের নেতাকর্মীরা নেতার হুকুমের অপেক্ষায় বসে থাকে। আমি বলছি, এটিই আমার শেষ বক্তৃতা। আর কেউ হরতাল করলে তাদের বাড়িতে ঢুকে হত্যা করতে হবে।’ তারা হত্যার রাজনীতি করবে আর আমরা বসে বসে আঙুল চুষবো?
গতকাল বিকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হরতাল আহ্বানকারীদের অপশক্তি উল্লেখ করে লতিফ সিদ্দিকী দলীয় সভানেত্রীর উদ্দেশে বলেন, এসব অপশক্তিকে শক্ত হাতে দমন করতে না পারলে আমি বিদ্রোহ করবো। তিনি নিজের গায়ে লাল পাঞ্জাবি ও সাদা কোট দেখিয়ে বলেন, এই সাদা হলো শান্তির প্রতীক আর লাল হলো বিদ্রোহের প্রতীক। আমাদের দুটিই জানা আছে।
লতিফ সিদ্দিকী উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, নেতার হুকুম দিতে হবে। আপনারা তাহলে কি করেন। আজ থেকে শপথ নিন। শোক দিবসে শক্তির শপথ নিন।
সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন হবে উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, পাগল-ছাগল আর স্বাধীনতাবিরোধীদের দোসর, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি কি বলবে- তা আমাদের শুনতে হবে না। ১৫ই আগস্ট বিরোধীদলীয় নেতার জন্মদিন পালনের সমালোচনা করে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে উৎসাহিত করতেই এরা জন্মদিন পালন করে। দলীয় সভানেত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, অপশক্তিকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে। মানবতা ব্যবসায়ী ও ধর্মের ব্যবসায়ীদের দিকে তাকানো উচিত হবে না।

Tuesday, August 13, 2013

লেজে গোবরে বিলবোর্ড চমক।

ইনকিলাব রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রীর বেশ কাছের মানুষ, সরকারদলীয় একজন সংসদ সদস্য বেশ হতাশা নিয়েই বললেন, গত প্রায় পাঁচটি বছর সরকার কে চালালো আমরা নিজেরাই বুঝলাম না। নেত্রী একাই তো সব করলেন। রাষ্ট্র, সরকার ও দলের জুতা সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ সবই কেন তাকেই করতে হলো? সিনিয়র নেতা, মন্ত্রিসভা, দায়িত্বশীল এমপি, আমলা কেউই যেন কিছু পূর্ণরূপে করার ক্ষমতা বা দক্ষতা রাখেন না। কেবল প্রধানমন্ত্রীর অফিসই সবকিছুর নিয়ন্তা আর সব সিদ্ধান্ত এককভাবে প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হয়েছে। সাফল্য ও ব্যর্থতা সবই তার। কিন্তু একটি সংগঠন বা সরকারে তো আরো লোকজন আছে। সুখ দুঃখের ভাগ তো তাদেরও নেয়া চাই। সাফল্য ও ব্যর্থতার দায়ভাগ তো তাদের ঘাড়েও চাপবে। রাজধানী জুড়ে রাতারাতি বিলবোর্ড চমক। মাত্র দশ দিনের মাথায় এসব প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে খুলে ফেলা হচ্ছে। এত সমালোচনা ও নিন্দার মুখোমুখি কেন হলাম আমরা? কে বা কারা বিলবোর্ড লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার বলে তারা জানেনা, পার্টির লোকেরা বলে আমরাও জানিনা। তা হলে কে জানে? এসব কি ভূতে লাগিয়েছে? বিলবোর্ড ভাড়া নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কিংবা দলীয় দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে নির্ভুল তথ্য, রুচিশীল ডিজাইন, ছবি ও কালার নিশ্চিত করে এই প্রচারণার ব্যবস্থা নিলে, এত সমালোচনার মুখেও আমাদের পড়তে হতো না। কোটি কোটি টাকা খরচ করে টানানো বিলবোর্ড সাতদিনের মাথায় নামাতেও হতো না। যদি সাতদিনের জন্যও এসব ভাড়া নেয়া হয়ে থাকে তাহলে রমজানের শেষ সাতদিনের জন্য কেন নেয়া হলো না। যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢাকায় আসা-যাওয়া ও চলাচল করেছে। ঈদের ছুটিতে যখন রাজধানীতে লোকজনই ছিল না তখন জনমানবহীন ঢাকায় কেন উন্নয়নের ফিরিস্তি টানিয়ে রাখা হলো? দেশে-বিদেশে সমালোচনা ও দেশবাসীর মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জশ দিয়ে সংশ্লিষ্টরা নীরব। শেষপর্যন্ত এ বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীকেই দেখতে হলো।
গত ৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর শত শত বিলবোর্ডে বাণিজ্যিকভাবে টানানো বিজ্ঞাপন চিত্রগুলোর উপর ডিজিটাল স্ক্রিন সেঁটে দেয়া হয়। আলাদিনের চেরাগের দৈত্য এ কাজ করেছে বলে অনেকে মন্তব্য করেন। বিএনপির সিনিয়র নেতা এমকে আনোয়ার বলেছেন, ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব বিলবোর্ডের জন্য সরকারকে জবাব দিতে হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, সরকার সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ ঘটিয়েছে, অনেক অর্ধসত্য তথ্য প্রচার করেও মানুষকে ধোঁকা দিতে চেয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি পারলে সরকারের ব্যর্থতাগুলোও বিলবোর্ডে প্রচার করুক। তারা সরকারের সাফল্য দেখতে পায় না বলে তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার জন্যই এই বিলবোর্ড। দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, শুধু রাজধানীতে নয়, গ্রামে গঞ্জেও ডিজিটাল বিলবোর্ড লাগানো হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তিনি ঢাকায় বিলবোর্ড লাগানোর ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, এসব সরকার লাগায়নি। সরকার লাগালে বিলবোর্ডে কর্তৃপক্ষ, দফতর বা বিভাগের উল্লেখ থাকত। ডিসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে তাদের অজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। এদিকে প্রথম আলোর ৪টি, ইউনিলিভারের ২০০ ছাড়াও রাজধানীতে ডিসিসি অনুমোদিত ৪ হাজার বিলবোর্ডের অনেকাংশই আকস্মিকভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিলবোর্ড ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজধানীতে বিলবোর্ড ব্যবসায় তাদের মাধ্যমে অন্তত ২ হাজার ৪শ’ কোটি টাকার লেনদেন হয়। একমাস যদি সরকার এসব বিলবোর্ড দখল করে রাখে তাহলে ২০ কোটি টাকা গচ্ছা যাবে তাদের। সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী কোনরূপ যোগাযোগ, ভাড়া বা চুক্তি ছাড়াই অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের বিলবোর্ড দখল করে নেয়ার ফলে বিলবোর্ড ব্যবসায়ী ১২০টি প্রতিষ্ঠানের অনেকেই শ্রমিক-কর্মচারীদের ঈদের বেতন বোনাস দিতে পারেনি। অনেক কোম্পানি তাদের সাথে কৃত চুক্তিও বাতিল করে দিতে চাইছে। সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ, এমনকি সরকারের অংশীদার বহু লোকও এ ব্যবসায় জড়িত। বিলবোর্ড চমকের আগপাছ চিন্তা না করে, কোনরূপ পরামর্শ না করে, যে কোন কর্ণার থেকে এমন একটি অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত যে সরকারের জন্য এতটা মারাত্মক ক্ষতিকর সাব্যস্ত হবে, তা সংশ্লিষ্টরা ভাবতেও পারেননি। বর্তমানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেই এ বিষয়ে মুখ খুলতে এবং সমাধান দিতে হচ্ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর বি. চৌধুরী বলেছেন, বিলবোর্ড দখল করে অর্ধসত্য ও কৌশলী প্রচারের জন্য সরকারের ক্ষমা চাওয়া উচিত। অপর সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, বিলবোর্ড প্রচারণা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে।  নেজামে ইসলাম নেতা মুফতী ইজহারুল ইসলাম বলেন, এ সরকারের অধীনে নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু ও অবাধ হবে তার নমুনা বিলবোর্ড দখল থেকেই বোঝা যায়। যারা নীতি-নৈতিকতার ধার না ধরে গায়ের জোরে বিলবোর্ড দখল নিয়ে সত্য-অর্ধসত্য প্রচারণা চালায়। আবার সরকার, পার্টি বা কর্তৃপক্ষ কেউই এই অপকর্মের দায় নেয়ার সাহস পায় না। এমন দলের হাতে দেশ, জনগণ, গণতন্ত্র ও রাজনীতি কতটুকু নিরাপদ এটাই প্রশ্ন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেকমন্ত্রী বলেন, ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ এখন ভুল পথে চলছে। অভিজ্ঞ রাজনীতিক ও পরীক্ষিত নেতাদের মূল্য দেয়া হচ্ছে না। নেত্রী নিজেও তার বিবেচনা সঠিকভাবে কাজে লাগাচ্ছেন বলে মনে হয় না। আমার কেন জানি মনে হয়, হাইব্রিড নেতা, বামপন্থ’ী নব্য আওয়ামী লীগার ও কচিকাঁচার পরামর্শেই তিনি ইদানীং অনেকগুলো ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ধারণা করি বিলবোর্ডের সিদ্ধান্তও কোন কচিকাঁচার। রংপুরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পুত্র জয়ই তাকে ডিজিটাল পদ্ধতি শিখিয়েছে, সম্ভবত জয়ের পরামর্শেই এই বিলবোর্ড চমক। দল, সংগঠন, সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে এত বড় একটা অন্যায় এবং বেঠিক সিদ্ধান্তের দিকে যদি কচিকাঁচারা ঠেলে দিয়ে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের কপালে দুঃখ আছে। কতটুকু কোণঠাসা হলে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হয়, আমরা সাতদিনের জন্য এসব বিলবোর্ড ভাড়া নিয়েছিলাম। এখন এসব অপসারণ করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বিলবোর্ডে প্রচারিত ভুল, অর্ধসত্য, অতিরঞ্জিত ও শুভংকরের ফাঁকিমূলক তথ্যের বিষয়ে ও ব্যাখ্যায় প্রতিবাদ বা পাল্টা বক্তব্য আসতে শুরু করেছে। অনেক সাফল্য এমনও দেখানো হয়েছে যা এ সরকারের আমলের নয়। কিছু প্রকল্প শুরু হতেও অন্তত ৫ বছর বাকি, সেসবও সাফল্যরূপে প্রচারিত হয়েছে। কিছু প্রকল্প মাত্র ফিতা কেটে উদ্বোধন করা হবে, এগুলোও সাফল্য। ৫০ ভাগ কাজও দীর্ঘ ৫ বছরে সমাপ্ত হয়নি, এমন প্রকল্পকেও বিলবোর্ডে সাফল্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। বহু প্রকল্প এমন আছে যেসব কাগজেপত্রে বাস্তবায়িত হলেও সংশ্লিষ্টরা এর সুফল এখনো হাতে পাননি। কিছু প্রকল্পে হিসাবের গড় পড়তা অংক দেখিয়ে শুভংকরের ফাঁকি দেয়া হয়েছে। যেগুলো নিয়ে ক্রমেই মিডিয়া সরগরম হয়ে উঠছিল। অপরিপক্ব চিন্তার বিলবোর্ড চমক যে সত্যিই বুমেরাং হয়ে যাবে কিংবা সস্তা প্রচারের এ নীতিবিবর্জিত উদ্যোগের যে এমন লেজে গোবরে অবস্থা হবে তা কিন্তু সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তরা আগে বুঝেননি। এমন বেসামাল কাজ করা হবে, দল মহাজোট বা সরকারের শরিকরা তা স্বপ্নেও ভাবেনি। এ নিয়ে দলের হিতাকাক্সক্ষী নেতাকর্মীরা বেশ বিরক্ত ও উদ্বিগ্ন।