Wednesday, October 16, 2013

ভয়ংকর বিকাশ চক্র !

ব্র্যাক ব্যাংক এর বিকাশ মোবাইল ব্যাকিং এর প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারক চক্র দেশের বিভিন্ন এলাকার নিরিহ ধর্মপ্রান লোকজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রতিদিনেই এমন প্রতারনার ঘটনা ঘটলেও প্রতারনার অন্যতম হোতা অসাধু এজেন্ট ও যাদের ইন্ধনে এই প্রতারনার ব্যবসা সেসব মোবাইল অপারেটর এর কম্পানির অসাধু কর্মকর্তারা ধরা না পড়ায় এই প্রতারনা ব্যবসা এখন রমররা।

জানা যায়, জ্বীনের বাদশা এলাকা হিসাবে খ্যাত এসব এলাকার প্রতরক চক্র জ্বীনের বাদশাহ বা ভন্ডপীর দরবেশরা দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রবাসী, ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর স্ত্রী, কণ্যাসহ সহজ সরল সাধারন লোকজনের মোবাইল নম্বার সুকৌশলে সংগ্রহ করে।মাঝরাতে অদ্ভুদ কন্ঠে অথবা কন্ঠ বিকৃতি করে বিভিন্ন ঐতিহাসিক পবিত্র মাজার শরিফ ও পবিত্র মসজিদ এর মোয়াজ্জীন এখন ঘুমাচ্ছে এই সুযগে তার মোবাইল থেকে কথা বলছি এমন মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে কথিত জ্বীনের বাদশাহ অথবা ভন্ড পীর দরবেশরা মিথ্যা পরিচয় দিয়ে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের কিছু মর্মবানী শুনিয়ে তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলে তোর বাড়ীতে এত ডেস্কি স্বর্ন মুদ্রা আছে অথবা সোনার পুতুল আছে এই ধন সম্পদ নিতে হলে আমরা এত জন জ্বীনের দল অথবা আউলিয়া গাউস কুতুব দরবেশ আছি আমাদের পাগরী, টুপি গুলো পরাতন হয়েছে কিনতে হবে অথবা ছিন্নি দিতে হবে তাই যদি ১লাখ ১ টাকা এত নাম্বারে বিকাশ করিস তাহলে আমরা এসব কিনতে পারবো অথবা আমাদের পছন্দ মত ছিন্নি দিয়ে নিবো এবং খুশি হয়ে তোদেরকে সম্পদ গুলো উঠিয়ে দিবো, বল বাবা আলহামদুলিল্লাহ।

এতে অনেক নিরিহ লোকজন লোভে পড়ে জমানো টাকা, ধার দেনা বা ভিটে মাটি বিক্রি করলে প্রতারক চক্র বিকাশের অসাধু এজেন্টদের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। প্রতারক চক্র প্রতারনায় বিশ্বাস ধরানোর জন্য ব্যাবহার করে ভূয়া আইডি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করা সীম, ভূয়া আইডি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করা বিকাশ একাউন্ট নাম্বার, ভূয়া তৈরী স্বর্ন মূদ্রা, নকল মূর্তি, লাল শালু কাপড়, অনেক সময় প্রতারক চক্র ব্যাতিক্রম অনেক কিছুই ব্যাবহার করে থাকে।অপরদিকে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে জ্বীনের বাদশাহ এই প্রতারক চক্র এখন ছেলে মেয়েদের অপহরন করে বিকাশে মুক্তিপনের টাকা নিচ্ছে।

প্রতিদিনই ঘটছে অহরহ এসব প্রতারনার ঘটনা।কারন হাতের কাছে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা অসাধু বিকাশ এজেন্টরা প্রতারনা কৃত টাকার একটা এক্সট্রা বড় অংশ পায় বলে তাদের টাকা নেয়ার আগ্রহ ব্যাপক। অসাধু বিকাশ এজেন্টরা প্রতারকদের ব্যাপক ভাবে সহোযোগীতা করায় প্রতারকরাও থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে।প্রতারনার অন্যতম হোতা অসাধু এজেন্ট ও যাদের ইন্ধনে এই প্রতারনার ব্যবসা সেসব মোবাইল অপারেটর এর কম্পানির অসাধু লোভী কর্মকর্তারা এই প্রতারনায় সক্রিয় অংশ গ্রহন করেও ধরা না পড়ায় এই প্রতারনা ব্যবসা এখন রমররা। প্রতারকরা পুলিশের চোখের সামনে এসব প্রতারনার ঘটনা ঘটালেও গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে যে পুলিশের চেয়ে প্রতারকরাই বেশী সক্রিয়।

No comments:

Post a Comment