Friday, April 25, 2014

স্টেডিয়ামে ভূত |(এক্সক্লুসিভ ভিডিও )

কথায় আছে ‘ভূতে অবিশ্বাস ভূতের ভয় দূর করে না’। কিন্তু স্টেডিয়ামে বসে ভূত দেখার দাবি করলে একটু খটকা তো লাগতেই পারে।
তবে এমনটিই দাবি করেছে বলিভিয়ার দর্শকরা। কোপা লিবার্তোদোরেসের একটি ম্যাচে হার্নান্দো সিলেস স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সময় ভূত দৌড়ে যেতে দেখেছেন তারা। স্টেডিয়ামের ক্যামেরার চোখেও বিষয়টি ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বলিভিয়ার রাজধানী লাপাজে এই ঘটনা ঘটে।

ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে দর্শক সারির পেছন দিয়ে কাউকে কোনো বাধা না দিয়ে তুমুল গতিতে কোনো এক অশরীরীকে দৌড়ে যেতে দেখা যায়। স্টেডিয়ামের বিপরীত পাশে বসা দর্শকের চোখ এড়ায়নি বিষয়টি। চোখ এড়ায়নি স্টেডিয়ামের ক্যামেরারও।

তবে দক্ষিণ আমেরিকায় এমন অপ্রত্যাশিত অশরীরীকে দেখা অস্বাভাবিক কিছু নয়। মাঝে মাঝে দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন স্টেডিয়ামে ভূতের মতো কিছু দেখা যায়। যার কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না। কখনো কখনো গোলপোস্টের ওপরে, কখনো জায়ান্ট স্ক্রিনের ওপরে, এমনকি কখনো ভূতকে দেখা গেছে বল ট্যাপ করতে।
স্টেডিয়ামে দৌড়ে যাওয়া ছায়াসদৃশ ওই মানবাকৃতির বস্তুটি সত্যিই কি ভূত, না অন্য কিছু- তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও দর্শকদের যে ভূতের ভয়ে ধরেছিল, তা বলা যায়।

Friday, April 18, 2014

মিষ্টি কুমড়া বদলে যায় ভয়ংকর প্রাণ ম্যাংগো জুসে

মিষ্টি কুমড়া বদলে যায় ভয়ংকর প্রাণ ম্যাংগো জুসে
দেশের খ্যাতনামা দাবিদার জুস ব্র্যান্ড ‘প্রাণ’। নামেই প্রাণ অথচ এটি এখন প্রাণঘাতি পানীয়। ফলের রসের নামে চলছে প্রতারণা। এ কোম্পানির কোনো ফলের জুসেই ফলের রসের ছিটেফোঁটাও নেই। রয়েছে কেবল কৃত্রিম সুগন্ধি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভয়ংকর তথ্য, মিষ্টি কুমড়ার সাথে ম্যাংগো ফ্লেভার দিয়ে তৈরি করা হয় এই ভয়ংকর জুস। খাদ্যমান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় এই ভেজালের প্রমাণও মিলেছে। এ জুস শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের অনাগত সন্তানদেরও স্বাস্থ্যঝুঁকি এমনকি মৃত্যুঝুঁকিতেও ফেলতে পারে।

খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোমল পানীয় ও জুসের নামে আমরা যা পান করছি তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। জুসে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ সোডিয়াম সাইক্লামেট, কাপড়ের রং, সাইট্রিক এসিড ও প্রিজারভেটিভ (সোডিয়াম বেনজোয়িক ও পটাশিয়াম)। অম্লতা বাড়াতে ফসফরিক এসিড এবং ঠান্ডা রাখতে ইথিলিন গ্লাইকল মেশানো হচ্ছে। আর জুসের নামে এসব পানীয় দীর্ঘদিন পানের ফলে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, দাঁতের ক্ষয়, কিডনির সমস্যাসহ নানা রোগ হতে পারে।
শিশু ও কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা জানান, এ ধরনের পানীয় মানবদেহের জন্য ভয়াবহ হয়ে দেখা দিচ্ছে। ১০ বছর আগেও দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা ছিল ৮০ লাখ। এখন এ সংখ্যা দুই কোটির বেশি এবং তাদের অর্ধেকই শিশু। এ ছাড়া দেশে বছরে অন্তত ৮৪ হাজার মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। কৃত্রিম সুগন্ধি মেশানো এসব পানীয় গর্ভবতী ও বৃদ্ধদের জন্যও ক্ষতিকর। তাদেরও কিডনি ও লিভার আক্রান্ত হতে পারে।

প্রাণ কোম্পানির আম, কমলা, লেবু, লিচু, স্ট্রবেরি, আপেল ও আনারসের জুসের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে সম্প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই পণ্যের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা-ও জানতে চাওয়া হয়। বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেন।

এ প্রসঙ্গে বিএসটিআইয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরিবর্তনকে জানান, কোমল পানীয় বা জুসে এমনভাবে ভেজাল মেশানো থাকে যে, রাসায়নিক পরীক্ষা ছাড়া বোঝার উপায় থাকে না। যেকোনো খাদ্য ও পানীয় বাজারজাত করার আগে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন লাগে। জুস উৎপাদনের শুরুতে ভালো মানের নমুনা দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে সার্টিফিকেট নেওয়া হয়। অতি মুনাফা করতে গিয়ে পরে ব্যবসায়ীরা নিম্ন মানের জুস তৈরি করেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, “ছয় মাস পরপর নমুনা পরীক্ষার নিয়ম আছে। কিন্তু নানা ব্যস্ততা এবং লোকবলের অভাব থাকায় বিএসটিআই তা করতে পারে না। তারপরও বিএসটিআই নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।”

প্রাণ জুস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ফ্রুট ড্রিংকস বাজারজাত করার জন্য যখন প্রাণ লাইসেন্স নেয়, তখন গুণগতমান ঠিক থাকলেও পরে তা আর থাকেনি। বিএসটিআইর পরীক্ষাগারে সম্প্রতি বিষয়টি ধরা পড়লে এসব পণ্যের সিএম লাইসেন্স বাতিল করা হয়। পাশাপাশি এসব ভেজাল পণ্য বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পণ্যের প্যাকেটে বিএসটিআই অনুমোদিত লোগো ব্যবহার করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা যে জুস ভারতে রপ্তানি করে সেগুলোর মানও কিছুটা। কিন্তু লোকাল মার্কেটের পণ্য মানহীন।”

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) একটি সূত্র জানায়, ২০১০ সালে তারা আট কোম্পানির ১২টি ব্র্যান্ডের জুস বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে। পরীক্ষায় ফলের রসের তেমন অস্তিত্ব মেলেনি। অথচ ওই ১২টি জুসের মধ্যে ১১টিতেই দেওয়া ছিল বিএসটিআইয়ের মান সার্টিফিকেট।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খাদ্যে ভেজাল রোধ করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব না হলেও মূল ভূমিকাটি সরকারকেই নিতে হবে। এর সঙ্গে প্রয়োজন সমন্বিত নাগরিক উদ্যোগ। পাশাপাশি ভেজালের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

Tuesday, April 15, 2014

দেখে নিন সেন্টমার্টিন দ্বীপ এর ভয়ংকর সেই মৃত্যুফাঁদ ( ভিডিও সহ সতর্কতামূলক পোস্ট)

বেশ কয়েকবছর আগে আমাদের কাছের এক বড় ভাইয়ার এক বন্ধু মারা যান সেন্টমার্টিন দ্বীপ এ পানিতে ডুবে। সব বন্ধু পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে আর চোখের সামনে মায়াবী সেন্টমার্টিন দ্বীপ এ নীল পানি গ্রাস করে নিচ্ছে কাছের বন্ধুকে !! ভাবতেই গা শিউরে উঠে।
এরপর যখন আমরা কয়েকটা বন্ধু মিলে সেন্টমার্টিন দ্বীপ এ যাই তখন কথাটা খুব মনে হচ্ছিল!! যাওয়ার পথেও অনেকের কাছেই শুনলাম এরকম হারিয়ে যাওয়ার কিছু সত্য গল্প। অবাক করা বিষয় হচ্ছে বর্ননায় সবার বলা জায়গাটা একটাই মনে হচ্ছিল। তাই ওখানে গিয়ে আমরাও খুজতে লাগলাম জায়গাটি।।
স্থানীর এক হোটেল কর্মকর্তার সাথে এসব নিয়ে কথা হচ্ছিল , কথা প্রসঙ্গে উনিও জায়গাটা দেখিয়ে দিয়েছিলেন, আর তানা হলে হয়ত আজ আর আমার এই পোস্ট টি লেখা হতনা হয়ত অন্যদের মত আমরাও হারিয়ে যেতাম সেখানে কারন জায়গাটা সেন্টমার্টিন নেমে প্রথম বীচে হাটা শুরু করলেই কয়েক মিনিট পরেই ওত পেতে থাকে অর্থাৎ অনেক কাছেই।
ওখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে হতে কিছু বুঝে উঠার আগেই হয়ত ভুলবশত আপনিও পা দিতে পারেন এই জায়গাটিতে!! কারন নীল পানির আচ্ছাদনে আলাদা করে বোঝার কোণ উপায় ই নেই।
আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের সেই ৩৪ জনের মধ্যে একজন রাফিউজ্জামান সিফাত। নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাসে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিজের বন্ধু হারানোর জন্য তিনি দায়ী করেছেন সেন্টমার্টিনের স্থানীয় প্রশাসন ও কোস্ট গার্ডের চরম দুর্বলতা কে। তার স্ট্যাটাসটি হুবহু এখানে দেয়া হল-
এরপরেও প্রায় প্রত্যেক বছর এই একি জায়গায় অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন আর এবার ২০১৪ তে এসে আহছান উল্লাহ ইউনিভার্সিটির এতগুলো ছাত্র অকালে প্রাণ হারালো !! খুব নাড়া দিয়ে উঠলো  আর ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করতেছে আমাদের নিষ্ঠুর বিবেক কে, এতটা নিশ্চিত জানা সত্তেও ওখানকার প্রশাসন কোণ ব্যবস্থা নেয়নি এই অভিশপ্ত জায়গা সম্পর্কে !!
যাহোক কথা না বাড়িয়ে আমি আপনাদের কে জায়গাটা একটূ ছবি দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাচ্ছি।।
যার গেছেন তারা নিশ্চই জানেন যে প্রথমে জাহাজে করে সবাইকে সেন্টমার্টিন ফেরীলাইনে নামিয়ে দেয়া হয়। আর সেখান থেকে পায়ে হেটে ব্রীজটা পার হয়ে এসে নামতে হয় সেন্টমার্টীন দ্বীপে।

এখানে নামলেই হাতের ডানদিকে যে বীচ টা দেখতে পাই প্রায় বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সবাই এই বীচ ধরে হাটি এবং ব্রীজের গোড়ার দিক থেকে পানিতে নামি আর কিনারা ঘেষে ডান দিকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি।।
পানিতে একবার নেমে পড়োলে আমরা আর কেউই কিন্তু বালিতে উঠে আসিনা সামনে এগুতে থাকি পানি ধরেই। ঠিক সোজা সামনের দিকে এগিয়ে গেলে এবার দ্বীপটা হাতের বা দিকে টার্ন নেয়। ঐ জায়গাকে বলা হয় “জিনজিরা উত্তরপাড়া” স্থানীয়রা বলেন উত্তর বীচ।।
দুইদিকের পানির স্রোত এবং ঐ ত্রিকোনাকৃতির মধ্যস্রোত এই জায়গাটিতে মিলিত হয়েছে এবং ত্রিমুখি স্রোতের কারনে পানির চাপ খুব বেশী ওখানটায় এবং চাপটা নিন্মমুখি।

স্থানটা দেখতে অনেকটা লম্ভাটে খালের মত, আর এই ত্রিমুখি স্রোতের কারনে অনেক জায়গাজুড়ে বড়সড়ো গর্ত তৈরী হয়েছে। জানিনা এবং কোন নির্দেশনা নেই বলেই আমরা সাতার কাটতে কাটতে এই টার্ন দিয়েই বা পাশের বীচের দিকে এগুতে থাকি, আর তখনি কিছু বুঝে উঠার আগেই সমুদ্রের অতলে হারিয়ে যায় অনেকেই

Frownএকিভাবে আমি এবং আমার বন্ধু জাকির ও রিয়াদ সাতার কেটে ওইদিকেই এগুচ্ছিলাম হঠাত ওখানে বীচে হাটাহাটি করা স্থানীয় দুইটা বাচ্ছা ছেলে আমাদের কে বললো ‘ভাইয়া ওইদিকে যাইয়েন না, গর্ত আছে’ আর হয়ত এভাবেই আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়েছেন !!
প্লিইজ সবার কাছে অনুরোধ রইলো এই স্থানটা সম্পর্কে আপনার কাছের সবাইকে সচেতন করে দিন। ছবিগুলো ফোনে নিয়ে নিন যখন যার সাথে কথা হবে দেখিয়ে দিন, যদি আর একটি প্রাণ ও বাঁচে আপনার এই ছোট্র কাজ থেকে তাহলে অনেক বেশী উপকৃত হবেন।। বুঝার সুবিধার্থে আমাদের ক্যামেরায় তোলা কিছু ছবি দিচ্ছিঃ

ফেরী লাইনের ব্রীজে দাঁড়িয়ে তোলা ছবি।।

ব্রীজ থেকে নেমে তোলা সেই একি জায়গার ছবি। জায়গাটার নাম উত্তর বীচ।
 
রিপ কারেন্ট বা উলটো স্রোত (ভিডিও)