Tuesday, October 22, 2013

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল থ্রিজি -সাহারা খাতুন (ফেসবুকে সাহারা খাতুন ঝড়)

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল থ্রিজি। তা আজ বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের আগেই ভিশন-২১ স্বপ্নের বাস্তবায়ন হবে। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে বাংলালিংকের বাণিজ্যিকভাবে থ্রিজি চালু হওয়া উপলক্ষে বিশেষ উদযাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন। তিনি কেক কেটে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনেকদিন ধরে ওনি কোন সংবাদ শিরোনামে নেই !
তা কি হয় ? তাই তিনি ফিরে এলেন স্বরূপে !! তিনি আর কেউ নন , হ্যাকারকে হকার মনে করা আমাদের ডিজিটাল সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন !১৯৭৯ সালে জাপানে প্রথম পরীক্ষামূলক চালু করা হয়১৯৯১ সালে ফিনল্যান্ডে চালু করা হয় ।তারও অনেক পরে ২০০১ সালে বিশ্বের কয়েকটি উন্নত দেশে সিস্টেম চালু হয় ।

Wednesday, October 16, 2013

ভয়ংকর বিকাশ চক্র !

ব্র্যাক ব্যাংক এর বিকাশ মোবাইল ব্যাকিং এর প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারক চক্র দেশের বিভিন্ন এলাকার নিরিহ ধর্মপ্রান লোকজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রতিদিনেই এমন প্রতারনার ঘটনা ঘটলেও প্রতারনার অন্যতম হোতা অসাধু এজেন্ট ও যাদের ইন্ধনে এই প্রতারনার ব্যবসা সেসব মোবাইল অপারেটর এর কম্পানির অসাধু কর্মকর্তারা ধরা না পড়ায় এই প্রতারনা ব্যবসা এখন রমররা।

জানা যায়, জ্বীনের বাদশা এলাকা হিসাবে খ্যাত এসব এলাকার প্রতরক চক্র জ্বীনের বাদশাহ বা ভন্ডপীর দরবেশরা দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রবাসী, ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর স্ত্রী, কণ্যাসহ সহজ সরল সাধারন লোকজনের মোবাইল নম্বার সুকৌশলে সংগ্রহ করে।মাঝরাতে অদ্ভুদ কন্ঠে অথবা কন্ঠ বিকৃতি করে বিভিন্ন ঐতিহাসিক পবিত্র মাজার শরিফ ও পবিত্র মসজিদ এর মোয়াজ্জীন এখন ঘুমাচ্ছে এই সুযগে তার মোবাইল থেকে কথা বলছি এমন মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে কথিত জ্বীনের বাদশাহ অথবা ভন্ড পীর দরবেশরা মিথ্যা পরিচয় দিয়ে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের কিছু মর্মবানী শুনিয়ে তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলে তোর বাড়ীতে এত ডেস্কি স্বর্ন মুদ্রা আছে অথবা সোনার পুতুল আছে এই ধন সম্পদ নিতে হলে আমরা এত জন জ্বীনের দল অথবা আউলিয়া গাউস কুতুব দরবেশ আছি আমাদের পাগরী, টুপি গুলো পরাতন হয়েছে কিনতে হবে অথবা ছিন্নি দিতে হবে তাই যদি ১লাখ ১ টাকা এত নাম্বারে বিকাশ করিস তাহলে আমরা এসব কিনতে পারবো অথবা আমাদের পছন্দ মত ছিন্নি দিয়ে নিবো এবং খুশি হয়ে তোদেরকে সম্পদ গুলো উঠিয়ে দিবো, বল বাবা আলহামদুলিল্লাহ।

এতে অনেক নিরিহ লোকজন লোভে পড়ে জমানো টাকা, ধার দেনা বা ভিটে মাটি বিক্রি করলে প্রতারক চক্র বিকাশের অসাধু এজেন্টদের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। প্রতারক চক্র প্রতারনায় বিশ্বাস ধরানোর জন্য ব্যাবহার করে ভূয়া আইডি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করা সীম, ভূয়া আইডি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করা বিকাশ একাউন্ট নাম্বার, ভূয়া তৈরী স্বর্ন মূদ্রা, নকল মূর্তি, লাল শালু কাপড়, অনেক সময় প্রতারক চক্র ব্যাতিক্রম অনেক কিছুই ব্যাবহার করে থাকে।অপরদিকে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে জ্বীনের বাদশাহ এই প্রতারক চক্র এখন ছেলে মেয়েদের অপহরন করে বিকাশে মুক্তিপনের টাকা নিচ্ছে।

প্রতিদিনই ঘটছে অহরহ এসব প্রতারনার ঘটনা।কারন হাতের কাছে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা অসাধু বিকাশ এজেন্টরা প্রতারনা কৃত টাকার একটা এক্সট্রা বড় অংশ পায় বলে তাদের টাকা নেয়ার আগ্রহ ব্যাপক। অসাধু বিকাশ এজেন্টরা প্রতারকদের ব্যাপক ভাবে সহোযোগীতা করায় প্রতারকরাও থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে।প্রতারনার অন্যতম হোতা অসাধু এজেন্ট ও যাদের ইন্ধনে এই প্রতারনার ব্যবসা সেসব মোবাইল অপারেটর এর কম্পানির অসাধু লোভী কর্মকর্তারা এই প্রতারনায় সক্রিয় অংশ গ্রহন করেও ধরা না পড়ায় এই প্রতারনা ব্যবসা এখন রমররা। প্রতারকরা পুলিশের চোখের সামনে এসব প্রতারনার ঘটনা ঘটালেও গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে যে পুলিশের চেয়ে প্রতারকরাই বেশী সক্রিয়।

Sunday, October 13, 2013

সেঞ্চুরীর পর সোহাগ গাজীর হেট্রিক উপহার

স্পোষ্টর্স ডেস্ক: সেঞ্চুরীর পর সোহাগ গাজী হেট্রিক উপহার দিলেন বাংলাদেশীদের জন্য। অসম্ভবকেই যেন সম্ভব করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সোহাগ গাজী। ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার পর এবার বল হাতেও জ্বলে উঠলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে পর পর তিন তিনটি উইকেট নিয়ে হ্যাট্রিকের মাইল ফলক ছুঁয়েছেন তিনি।

সোহাগ গাজী ৮৪.২ ওভারে এ্যান্ডারসনকে আউট করে হ্যাট্রিকের যাত্র শুরু করেন। এর পর পর্যাক্রমে ওয়ালিং ও ব্রেসওয়েলকে আউট করে হ্যাট্রিক করেন।

উজিল্যান্ডের ২৬০ রানের মাথায় প্রথমে তিনি অ্যান্ডারসকে এলবিডব্লিইয়ের ফাঁদে ফেলেন। এরপরের বলে ওয়াটলিন মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলেন দেন। এরপরের অসাধারণ এক বলে ব্রেসওয়েল নাসিরের হাতে তুলে দেন ক্যাচ।

শনিবার প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষ ঘণ্টার খেলা বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় রোববার নির্ধারিত সময়ের ত্রিশ মিনিট আগে সকাল নয়টায় খেলা শুরু হয়।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১ উইকেটে ১১৭ রান নিয়ে খেলা শুরু করে নিউ জিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে আগের দিনের ৬৯ রানের জুটিকে ১০১ পর্যবন্ত নিয়ে যাওয়ার পর বিচ্ছিন্ন হন পিটার ফুলটন।

প্রথম ইনিংসে ৭৩ রান করা এ দীর্ঘদেহী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সোহাগ গাজী।

প্রথম ইনিংসে শতরান করা উইলিয়ামসন দ্বিতীয় ইনিংসেও সেদিকেও যাচ্ছিলেন। রস টেইলরের সঙ্গে তার ৫১ রানের জুটি ভাঙ্গায় ভাগ্যেরও একটু সহায়তা পেয়েছেন সোহাগ।

সোহাগের খাটো লেন্থের বল সজোরে ব্যাট চালিয়েছলেন উইলিয়ামসন। শর্ট লেগে থাকা এনামুল হক নিজের মুখ বাঁচাতে গিয়ে ক্যাচ ধরার চেষ্টাই করতে পারেন নি। কিন্তু বল এনামুলের দু’পায়ের মাঝখানে আটকে গিয়ে ক্যাচ। ৭৪ রান করে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন উইলিয়ামসন।

মমিনুল হক ও সোহাগ গাজীর শতকে প্রথম ইনিংসে ৫০১ রান করে বাংলাদেশ। এর আগে কেন উইলিয়ামসন ও বিজে ওয়াটলিংয়ের শতকে ৪৬৯ রান করে নিউ জিল্যান্ড।

বাংলাদেশের অফস্পিনার সোহাগ গাজী জানান, জয়ের জন্যই খেলবে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডকে যতদ্রুত সম্ভব অলআউট করার লক্ষ্য স্বাগতিকদের।

নিউ জিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্টও মনে করেন এখনো ফলাফলের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।

Saturday, October 12, 2013

কাজের মেয়ের সঙ্গে রুমির অবৈধ সম্পর্ক!

স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার হওয়া কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতনে সহযোগিতা করার অভিযোগে রুমির ভাই ইয়াসিন রনিকেও জেলহাজতে পাঠানো হয়। গতকাল দুপুরে রুমি ও রনিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 কিন্তু গ্রেপ্তারের পর পরই ফেসবুকে রুমির সঙ্গে একটি মেয়ের অন্তরঙ্গ ছবি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছবিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে। হাসান খান নামের এক ব্যক্তি ওই ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করেন। (বি: দ্র: প্রকাশ অযোগ্য হওয়ায় ছবিটি এখানে দেওয়া হলো না)

 হাসান খান নামে ফেসবুক ব্যবহারকারী দাবি করেন, আরফিন রুমির সঙ্গে ছবির ওই মেয়েটি রুমির বাসার কাজের মেয়ে। আর ছবিটি তুলেছেন রুমির প্রথম স্ত্রী। তিনি আরো বলেন, ওই ছবি নিয়ে মামলা করে রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা। অন্যদিকে, রুমির শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন ছবিটি ফটোশপে তৈরি করা। এটি নাকি পুরোপুরি বানানো একটি ছবি। আবার অনেকেই বলছেন, তার যে চরিত্র এরকম কাজ তিনি করতেই পারেন। তবে সত্য-মিথ্যা যাই হোক না কেন রুমির এই অন্তরঙ্গ ছবিটি নিয়ে গুঞ্জন ক্রমেই বেগবান হচ্ছে।

 মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক বলেন, নির্যাতনের অভিযোগ এনে রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা শুক্রবার রাতে মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথম স্ত্রী অনন্যা মামলায় শারীরিক নির্যাতনসহ বেশকিছু অনৈতিক অভিযোগ এনেছেন। অনন্যা বলেন, শুধু একাধিক মেয়েই নয়, বাসার কাজের মেয়ের সঙ্গেও অনৈতিক সম্পর্ক গড়েছিলেন রুমি। এমনকি বাসার কাজের মেয়ের সঙ্গে রুমির একটি অশ্লীল ছবিও এরই মধ্যে ফেসবুকে প্রকাশ হয়েছে। ওই ছবি নিয়ে এরই মধ্যে মিডিয়াঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মতিন জানান, যৌতুকসহ বিভিন্ন অজুহাত এনে দীর্ঘদিন ধরে অনন্যাকে নির্যাতন করে আসছিলেন রুমি। মাঝেমধ্যে তিনি কোনো কারণ ছাড়াই স্ত্রীকে পিটিয়ে বাসা থেকে বের করে দিতেন। এ ছাড়া প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই আরেকটি বিয়ে করেন। শুক্রবার রাতেও তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন রাতে মামলা করেন অনন্যা। পরে ভোরে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রুমি ও তার ভাই রনিকে গ্রেফতার করা হয়।

 মাত্র দুই থেকে তিন বছরের ক্যারিয়ারে ক্রমাগত নোংরামি আর অসভ্যতার বিকৃত উদাহরণই শুধু তৈরি করেছেন আরফিন রুমি। রুমির একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহশিল্পী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, এতটা নোংরা মনের আর অহংকারী শিল্পী কমই দেখেছি। অহংকার আর অসদাচরণের তার আজকের এই পরিণতি হয়েছে। ভয় হয় আবারও কোনো প্রলোভন দেখিয়ে সে তার প্রথম স্ত্রীকে বশ করে ফেলে কি না।

 এদিকে, রুমির ঘনিষ্ঠ অডিও প্রকাশক মারফত প্রথম স্ত্রী অনন্যাকে চাপ ও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে বলে তার প্রথম স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানান। এ ঘটনায় আপোসের ব্যাপারে আরফিন রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা একাধিকবার সাংবাদিকদের বলেন, একটা শর্তেই রুমির সাথে আপোস করতে পারি, তা হলো, তাকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসাকে ডিভোর্স দিতে হবে।

 অন্যদিকে, তার দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসা এবার রুমির সাথে আমেরিকা থেকে দেশে এসে ঈদের আগে এই পরিস্থিতি দেখে হতবাক। তাই তিনি দ্রুত বাংলাদেশ ছাড়ার পরিকল্পনা নিচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

 প্রসঙ্গত, আচরণগতভাবে রুমি তার আরেক গুরু হাবিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিলেন। হাবিব তার খ্যাতি পাওয়ার সাথে সাথে যেমন প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে তুলেছিলেন। কিন্তু এক্ষেত্রে রুমি নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন। গেল ঈদে রুমি আমেরিকা থাকাকালীন তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহচর মোস্তফা কামাল রাজ ও সিডি চয়েজ নিজ উদ্যোগে রুমির সলো অ্যালবামের বিশাল লঞ্চিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, অবশ্য সেখানে ঠাঁই হয়নি তার প্রথম স্ত্রীর। অবাক আর বিস্ময়ে ক্রমশ যেন হতবাক হতে থাকেন রুমির প্রথম স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সকলে। আর এত কিছুর প্রকৃত ফলাফল দিয়েছে যেন মূলত দেশের অগণিত শ্রোতা। রুমির সলো অ্যালবাম বাজারে সুপার ফ্লপ হয়। শুধু তাই নয়, দুর্ব্যবহার ও অসভ্যতা করার দায়ে আয়োজকরা রুমিকে মারধর করে এক মঞ্চ থেকে বের করে দেন। সে খবরও একাধিক মিডিয়ায় প্রকাশ পায়।

হজ্জ দেখুন লাইভ। আপনার কম্পিউটার থেকে( Watch Hajj Live. From your computer)

হজ / হজ্জ / হজ্ব (আরবি: حج হাজ্জ্‌) ইসলাম ধর্মাবলম্বী অর্থাৎ মুসলমানদের জন্য একটি আবশ্যকীয় ইবাদত বা ধর্মীয় উপাসনা। এটি ইসলাম ধর্মের পঞ্চম স্তম্ভ। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জীবনে একবার হজ্ব সম্পাদন করা ফরয‌ বা আবশ্যিক।[১] আরবি জ্বিলহজ্জ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ হজ্বের জন্য নির্ধরিত সময়। হজ্জ পালনের জন্য বর্তমান সৌদী আরবের মক্কা নগরী এবং সন্নিহিত মিনা, আরাফাত, মুযদালফা প্রভৃতি স্থানে গমন এবং অবস্থান আবশ্যক। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাৎসরিক তীর্থযাত্রা।[২] যিনি হজ্জ সম্পাদনের জন্য গমন করেন তাঁকে বলা হয় হাজী।

এখন আপনি চাইলেই আপনার ইন্টারনেটের মাধ্যমে মক্কা ও মদীসা শরীফ লাইভ দেখতে পারবেন।  

মক্কা শরীফ লাইভ দেখতে এখানে ক্লিক করুন। 

মদীনা শরীফ লাইভ দেখতে এখানে ক্লিক করুন

 

বহিস্কার হচ্ছেন ব্যরিস্টার মওদুদ

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে কর্ণেল তাহের হত্যার পূর্বপরিকল্পনাকারী হিসেবে নিজের বইয়ে উল্লেখ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। আরেক বইয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ১৫ আগস্টে জন্মদিন উদযাপন করার বিষয়টিকে মওদুদ প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী মওদুদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল করে এসে বিএনপিতে ঠাঁই নিয়েছেন। তবে তিনি বিএনপির ‘ভবিষ্যৎ কর্ণধার’ তারেক রহমানের রাজনীতির প্রবল বিরোধী।
এসব কারণে তাকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হচ্ছে বলে দলের একাংশের নেতা কমীদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। গুজব বিশ্বাসকারীদের দাবি, দিন-ক্ষণ, সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে খালেদা জিয়া দল থেকে মওদুদকে বহিস্কারের ঘোষণাটি দেবেন। দলের বড় একটি অংশ, যুব দল ও ছাত্র দলসহ তরুণ নেতা-কর্মীদের চাপে মওদুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানও নাকি মওদুদকে দল থেকে বহিস্কারের পক্ষে। তারেক নাকি তার মা খালেদা জিয়াকেও বিষয়টি টেলিফোনে জানিয়েছেন। পুরো বিষয়টি এখন চেয়ারপারসনের একক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এজন্য বিএনপির শীর্ষ নেতারা বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করছেন না।
উল্লেখ্য, গত ২০ মে কর্নেল তাহের ও তার সঙ্গীদের ১৯৭৬ সালে বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনালে গোপন বিচার অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে মওদুদ আহমদের ‘এ স্ট্যাডি অব পলিটিক্যাল অ্যান্ড মিলিটারি ইন্টারভেশন ইন বাংলাদেশ’ বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন আদালত।।
তবে মওদুদের লেখা বই এবং সেখান থেকে উদ্ধৃত করে উচ্চ আদালতের রায়ের বিষয়ে মওদুদ গণমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘আমার বক্তব্য ও লেখা বিকৃত করা হয়েছ।

রুমির অন্তরঙ্গ ছবি নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কের সৃষ্টি

আলোচিত সঙ্গীতশিল্পী আরেফিন রুমির গ্রেফতার ও একটি মেয়ের সাথে অন্তরঙ্গ ছবি নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা-সমালচনার ঝড় বইছে । গ্রেপ্তারের পর পরই ফেইসবুকে রুমির সাথে একটি মেয়ের অন্তরঙ্গ ছবি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

হাসান খান নামের এক ব্যক্তি ওই ছবিটি ফেসবুকে পোষ্ট করে।  হাসান খান নামে ফেইসবুক ব্যবহারকারী দাবি করেন,  “আরেফিন রুমির সাথে ছবির ওই মেয়েটি রুমির বাসার কাজের মেয়ে। আর ছবিটি তুলেছেন রুমির প্রথম স্ত্রী।”. তিনি আরো বলেন, ওই ছবি নিয়ে মামলা করে রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যার।

এদিকে শনিবার ভোরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  জানাজায় প্রথম স্ত্রী লামিয়া ইসলাম অনন্যার দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তারহন কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমি।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক বলেন, নির্যাতনের অভিযোগ এনে রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা শুক্রবার রাতে মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই গত বছর রুমি আমেরিকা প্রবাসী ভক্ত কামরুন নেসাকে বিয়ে করেন। রুমি-অনন্যা দম্পতির আরিয়ান নামে একটি ছেলেও রয়েছেন।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেন, “রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা তার বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন। তার অভিযোগ যৌতুক দাবি করে প্রায়ই রুমি তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।”

রাজধানীতে ঘণ্টা চুক্তিতে প্রেম!

ভাড়ায় প্রেম চলছে রাজধানীতে। ক্যাটরিনা, মল্লিকা, বিপাশারা অপেক্ষায় থাকে ভাড়াটে প্রেমিকদের জন্য। ঘণ্টা চুক্তিতে চলে তাদের প্রেম। ৫০ টাকায় গল্প করা, ১০০ টাকায় হাত ধরা ও চুমুতে ২০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। টাকার পরিমাণ বাড়লে মিলবে অন্তরঙ্গ হওয়ার সুযোগও।
রাজধানীর রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জুড়ে এমন প্রেমিকারা অপেক্ষায় থাকে প্রেমিকের জন্য। মিলে গেলেই কোন গাছের ফাঁকে, কিংবা আড়ালে প্রেমিক-জুটির চলে আড্ডা। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে পুলিশ, নিরাপত্তাকর্মী। ভাড়াটে প্রেমিক যুগল পার্কের প্রতিটি সিট দখল করে বসে থাকে। তারা আশপাশের লোকজনকেও তোয়াক্কা করে না। ঠিক থাকে না তাদের পোশাক পরিচ্ছদ। পার্কগুলো আরও বিব্রত কর হয়ে ওঠে। উদ্যানের ঘাস তখন তাদের বিছানায় রূপ নেয়।
তাদের দেখাদেখি স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও মেতে ওঠে উদ্দামতায়। ভাড়াটে প্রেমিকারা চলার পথে এক পলকেই যুবকদের টার্গেট করে। কাছে এসে নাম পরিচয় জিজ্ঞেস করে। পরক্ষণেই বলে ওঠে, বসবেন নাকি ? কতক্ষণ ? টার্গেট করা যুবকের সম্মতি পেলে কম দামেই তারা বসে পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে রেট বাড়াতে থাকে। সূত্র জানায়, এরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শিফট হিসেবে সময় দেয় উদ্যানে। যারা সকালে বা দিনে থাকে তারা রাতে আসে না। বৃহস্পাতবার দুপুর ১২টা। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন গেটের ভেতরে গিয়ে দেখা গেছে সারি সারি প্রেমিক যুগল বসে আছে। এদের মধ্যে স্কুলের ইউনিফর্ম পরা কমপক্ষে ৩০টি জুটি দেখা গেছে। এদের বেশির ভাগই স্কুল ফাঁকি দিয়ে এসেছে।
আর অন্যরা বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও ভাড়াটে বিনোদিনী। ভাড়াটে প্রেমিকা ক্যাটরিনা কাইফ বলেন, একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেড় ঘণ্টা উষ্ণ প্রেম নিবেদন করে তার ১৮০ টাকা কামাই হয়েছে। ক্যাটরিনা জানায়, তার মতো আরও অনেক সুন্দরী এ পেশার সঙ্গে জড়িত।
এমন একজনের নাম মল্লিকা। তিনি বলেন, আমরা প্রেম ভাড়া দিই। অন্যের দুঃখকে আনন্দে ভরিয়ে দিই। এ কাজ এত্ত সহজ নয়। তাই কাজ বুঝে ভাড়াও নির্ধারণ করা আছে আমাদের। তপু নামের একজন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, আমি প্রতিদিন সন্ধ্যায় এ রাস্তায় বাসায় ফিরি। প্রতিদিনই দেখি এদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পার্কে বিনোদিনীদের নিরাপত্তায় সহায়তা করে নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশ। এজন্য তারা নির্ধারিত কমিশন পায়। এমন বিনোদন দানকারীদের কাছ থেকে রমনা ও শাহবাগ থানা পুলিশ নিয়মিত মাসোহারা নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিনোদিনীরাই বলেছে, মাসোহারা নেয়ার সময় অনেক পুলিশ সদস্যরাও উষ্ণ বিনোদনও গ্রহণ করে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে থাকা রমনা কালীমন্দির সংলগ্ন পুকুরের দক্ষিণপাড় ঘেঁষে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বসেছিল এক জুটি। পার্কে থেকেই চকলেট বিক্রি করেন এমন একজন মধ্যবয়সী মহিলা বলেন, ওই মাইয়াডা প্রায় দিনই এদিকে আইয়া বন্ধুর লগে আড্ডা দেয়।
মেয়েডা বালো না। একেক দিন একেক পোলা লইয়া আইয়ে। দ্যাকতে সুন্দরী। ওর নাম কইছে বিপাশা। যেয় যেইডা খোঁজে হেয় হেইডা পায়। তয় দিনে কম, রাইতে বেশি। রমনা পার্কে সবসময় পানি বিক্রি করে রতন। তার কাছে জানতে চাইলে বলে, ইডা আর নতুন কি। যার ডারলিং নাই, হে ডারলিং ভাড়া নেয়। ভাড়াটে বিনোদিনী ও ইউনিফর্ম পরা স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ঘোরাঘুরির নামে আপত্তিকর আচরণে চরম বিব্রত হন পার্কে আসা স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিরা।
সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তায়েজুল হাসান সস্ত্রীক পার্কে এসেছেন ভ্রমণে। তিনি বলেন, পার্কের ভেতরের যা অবস্থা তাতে এখানে আসাই বিপদ। এমন কোন রাস্তা নেই যেখানে আপত্তিকর অবস্থায় কোন যুবক যুবতী বসে নেই। লজ্জায় ১০ হাত জায়গার মধ্যেই হাঁটাহাঁটি করে ঘরে ফিরতে হয়।
প্রশাসন এসব বিষয় মাথায়ই আনে না। রমনা পার্কের উত্তর গেটে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী হানিফ মিয়া জানান, বাইরে থেকে কেউ কাউকে নিয়ে এসে ঘোরাঘুরি করলে তো আমাদের করার কিছু নেই। এটা তো ঘুরে বেড়ানোরই জায়গা।
রমনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এমন বিষয় সম্পর্কে আমরা অবহিত নই। পার্কের ২৪ ঘণ্টার নিরাপত্তায় ২০ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। ভাড়াটে প্রেমিক কিংবা বিনোদিনীদের থাকার সুযোগ নেই। আর পুলিশ মসোহারা নেয় এমন অভিযোগও ঠিক নয়।

বাবার ভুলে প্রাণ গেল বৃষ্টির

লালমনিরহাট: বাবার ভুলে অকালেই ঝরে গেল শিশু বৃষ্টির (দেড়) নিষ্পাপ প্রাণ।

নিহত বৃষ্টি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ি কালীস্থান গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে।

শনিবার সকালে বৃষ্টির নিথর দেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আসলাম ইকবাল জানান, বাড়িতে একই টেবিলে রাখা ছিল বৃষ্টির জ্বরের ঔষুধ ও বেগুন ক্ষেতের কীটনাশক। শুক্রবার রাতে অক্ষর জ্ঞানহীন বৃষ্টির বাবা জহুরুল ইসলাম জ্বরের ওষুধ ভেবে মেয়েকে ভুলে কীটনাশক খাইয়েছেন।

এর একটু পরেই বৃষ্টি সংজ্ঞাহীন হলে তাকে নেয়া হয় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দেহ বিক্রি: কম দাম হলে পতিতা, বেশি দামী হলে মডেল!

যেসব মেয়েরা সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাঁদের বলে পতিতা ।
অপরদিকে, যেসব মেয়েরা হাজার টাকার বিনিময়ে লুকিয়ে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাদের বলে সোসাইটি গার্ল ।
যারা আর একটু বেশী দামে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাদের বলে পার্টি গার্ল ।
আর সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে তথাকথিত শিক্ষিত মেয়েরা যখন রাস্তা দিয়ে দেহ দেখিয়ে-দেখিয়ে হাঁটে TSC,NSU, KFC, ধানমণ্ডি লেকে বয়ফ্রেন্ডের কোলে বসে আড্ডা দেয়, মাঝে মাঝে টিপ খায় (কপালের টিপ না), কিস খায় এবং মাঝে মাঝে সেই বয়ফ্রেন্ডের সাথে লিটনের ফ্ল্যাটে যায়, পয়লা বৈশাখে লাল-সাদা শাড়ী পড়ে হাজারটা ছেলের সাথে ডলাডলি করে, পান্তা খায়, আর রিক্সায় হুড তুলে দিয়ে টিপ খায় (একবার কিন্তু কইছি যে এটা কপালের টিপ না), আবার বলে আমরা শুধুই ফ্রেন্ড ! সমাজ তখন তাঁদের বলে আধুনিক মেয়ে !
তাদের নিয়ে কথিত (!) দৈনিক পত্রিকায় লেখা হয় “দেশে নারীরা সমান অধিকার পাচ্ছে” ।
হাজার-হাজার মেয়েরা বছরে বছরে জিপিএ ৫ পাচ্ছে, আবার পরিমলের সাথে শুটিং (!) করতে পারছে ।
যারা আরও বেশী দামে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাদের বলে মডেল গার্ল বা অভিনেত্রী (সব মডেল বা অভিনেত্রীকে বলছি না) । সমাজের অনেকের চোখে এরা আবার ড্রিমগার্ল ! তাদের আবার ভিডিও বের হয় ।
কিন্তু তারপরও তারা সমাজে সকলের নিকট সম্মানপ্রাপ্ত । অথচ দেহ ব্যবসায় যারা শুধুমাত্র পেটের দায় করে বা জোরপূর্বক তাদের করানো হয়, তারাই বেশ্যা বলে আখ্যায়িত । কিন্তু কেন ?
তাঁদের এত টাকা-পয়সা,পাওয়ার নেই বলে ? থুতু মারি চুশীলদের এই দ্বৈত নীতিকে ।
যারা পেটের দায়ে এই ঘৃণ্য কাজটি করে তাঁদেরকে আমি পতিতা বলি না, আমি পতিতা বলি তাদেরকে যারা অর্থ বা কাজের লোভে পর পুরুষের সামনে বিবস্ত্র হতে দ্বিতীয় বার ভাবে না ।

Thursday, October 10, 2013

খালেদার সন্দেহের তালিকায় একডজন শীর্ষ নেতা...........

 বিএনপি’র শীর্ষ স্থানীয় প্রায় এক ডজন নেতা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। এসব নেতারা সরকারের সাথে এবং একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। এ তথ্য দলের একাধিক সূত্রের।
সন্দেহের তালিকায় সদ্য অসুস্থ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের নাম শীর্ষে রয়েছে। মওদুদ অসুস্থ হওয়ার পরও দলের চেয়ারপারসন বেগম জিয়া তাকে দেখতে যাননি। দলের নেতা কর্মীরাও বিষয়টি কমবেশি অবগত।
সূত্র মতে, কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ডিগবাজখ্যাত নেতা ব্যারিষ্টার মওদুদ রাজনৈতিক ভাবে অসুস্থ হয়েছেন। জানা গেছে, আলোচিত এসব নেতাদের কারো কারো নতুন দল বিএনএফ এ যোগ দেয়া সময়ের ব্যপার মাত্র। সূত্র মতে, মন্ত্রী ছিলেন এমন এক ডজন নেতার দূর্নীতির ফাইল নতুন করে দুদক কাজ শুরু করেছে। জেলে যাওয়া লাগতে পারে এমন ভয়ে এসব নেতা আতংকিত। বিএনপি আমলে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন এমন একজন নেতা কিছুদিন আগে প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গোপনে দেখা করেছেন এমন খবর বিএনপিতে ওপেন সিক্রেট। এ ঘটনা ফাঁস হওয়ায় ঐ নেতা দলের মধ্যে ইতিমধ্যেই কোনঠাসা হয়ে গেছেন। সূত্র বলেছে, কুমিল্লা এলাকার প্রভাবশালী স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য, দক্ষিণ অঞ্চলের এক প্রবীণ ত্যাগি নেতা, ঢাকা মহানগর বিএনপি’র একাধিক নেতা এ সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। বেগম জিয়া নিজেও কম বেশি বিষয়টি নিয়ে অবগত। বেগম জিয়ার ঘনিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, অতীতেও বিএনপিকে দফায় দফায় সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে ভাঙ্গা হয়েছে যা কি না পরে হিতে বিপরীত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিএনপিতে ভাঙ্গণ ধরাতে নানামুখি চক্রান্ত করছে। এ বিষয়ে বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা কেউ মুখ খুলতে চাননি।
তবে বিএনএফ সূত্র বিএনপি নেতাদের দলে যোগ দেবার বিষয়ে পজেটিভ আভাস দিয়েছে। বিএনএফ’র মূখপাত্র আবুল কালাম আজাদ ডিনিউজকে বলেছেন, অপেক্ষা করেন, চমক আছে। বিএনএফ এর এই নেতা আরো বলেছেন, মন্ত্রী এমপি ছিলেন এমন শতাধিক নেতা বিএনপি ত্যাগ করে আমাদের সাথে আসছে যা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

সমকামিতার অধিকার আদায়ে জাতিসংঘ চাপ দেয় কেন?

গত ১৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের পাঁচ দিন ব্যাপী এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জনসংখ্যা বিষয়ক ষষ্ঠ সম্মেলনে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশের উপর জাতিসংঘ থেকে সমকামী অধিকার নিশ্চিত করার জন্য চাপ দেয়া হয়। এই জাতিসংঘকে এর আগেও দেখেছি মায়ানমারকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চাপ না দিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার জন্য অন্যায়ভাবে বাংলাদেশকে চাপ দিয়েছিল।

কথা হল, বাংলাদেশ একটি ইসলামী রাষ্ট্র, যেখানে ধর্মে স্পষ্টভাবে সমকামিতা নিষিদ্ধ, সে দেশকে সমকামীদের বৈধতা দেবার জন্য চাপ দেয়ার হেতু কি? যে দেশের মানুষ মৌলিক অধিকার অর্জনে যোজন যোজন পিছিয়ে, যেখানে প্রকৃতঅর্থে মানবাধিকার কনসেপ্টটাই অনেকের কাছে এখনো অজ্ঞাত, যে দেশের মেথর, বেদে সম্প্রদায়ের লোকেরা এখনো চেয়ার থাকতে দূরে মাটিতে বসে থাকে, সেখানে সেসব খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে চাপ না দিয়ে হঠা‍ৎ করে সমকামীদের যৌন অধিকার আদায়ে চাপ দেয়ার অর্থ কি?

জাতিসংঘের মত সংগঠনের কি জানা নেই যে, ইসলামে সমকামিতা নিষিদ্ধ? এই দেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ? তাহলে জেনেবুঝে চাপ দেয়ার মানে কি? পেছন থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং কিছু মানবাধিকার সংস্থা কলকাঠি নাড়ালেই কি এরকম একটি বিষয়ে জাতিসংঘ চাপ দেয়ার অধিকার রাখে?

এর আগে ২০১১ সালে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক বিশেষ অধিবেশনে  উভয়কামীসহ সব সমকামী নারী ও পুরুষের সমানাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে প্রস্তাব পেশ করা হয়। ৪৭ সদস্য দেশের সমন্বয়ে গঠিত কাউন্সিলে সেই প্রস্তাবের প্রতি ২৩ সদস্য পক্ষে, ১৯ সদস্য বিপক্ষে ও ৩ সদস্য ভোট দানে বিরত থাকে। ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো পক্ষে  ভোট দিয়ে এ প্রস্তাবকে  ঐতিহাসিক উল্লেখ করলেও পাকিস্তান, সৌদি আরব, কাতার ও বংলাদেশের মতো ইসলামি রাষ্ট্র এ প্রস্তাব কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সেসময় জাতিসংঘ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, `যৌন-অবস্থানের কারণে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে বৈষম্য বা সহিংস আচরণ করা যাবে না।`

প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে কি সমকামীদের উপর কোনো বৈষম্য ও সহিংস আচরণ করা হয়? এই তো দু’দিন আগে পটুয়াখালীর সমকামী দু’জন নারীর প্রেম, বিয়ে নিয়ে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হল। কোথাও শুনিনি যে তাদের উপর সহিংস কোনো আচরণ করা হয়েছে। তার মানে দেশে সমকামীর অস্তিত্ব থাকলেও তাদের উপর সহিংস আচরণ করা হয় না।

এ দেশে বাংলাদেশ লিবারেল ফোরাম ও বয়েস অব বাংলাদেশের মতো কিছু সংগঠন আছে যারা সমকামীদের জন্য কাজ করে। শোনা যায়, এখানে অনেক সমকামী সদস্য আছে। আমার জানা নেই এই সংগঠনগুলো এদেশে নিষিদ্ধ কোনো সংগঠন কিনা। যদি না হয়ে থাকে তার মানে তারা এদেশে সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে না। হলে অন্তত এ বিষয়ে পত্র পত্রিকায় খবর আসতো। আসেনি যখন, তখন ধরে নিতেই পারি তারা নির্বিঘ্নেই এ দেশে বেঁচেবর্তে আছে। আমরা জানিনা এই সংগঠনের সদস্যরা সবাই হাই-সোসাইটি থেকে এসেছে কি-না। জানিনা এই বয়েস অব বাংলাদেশে নিম্নবিত্তের ও অশিক্ষিত কোনো সমকামী সদস্য আছে কি-না, থাকলে কত পার্সেন্ট। যদি না থেকে থাকে তাহলে কি ধারণা করে নিতে পারি যে, উচ্চ ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শিক্ষিতগোষ্ঠীর যৌন অধিকার রক্ষায় এরা কাজ করছে?

সমকামীদের অধিকার বলতে আসলে কি বোঝায়? তাদের অবাধে পার্টনারকে ভালবাসতে দিতে হবে? এখানে কি ভালবাসা বলতে শারীরিক নাকি মানসিক? “কামের” কথা যখন আসে, তখন অবধারিতভাবে সেক্স এর কথা আসে। তো তারা বাংলাদেশে কি অবাধে যৌনকর্মের অধিকার চাইছে? তারা কি চাইছে কোনো কাজী তাদের বিয়ে পড়িয়ে দেবে? কিছুদিন পর, বাচ্চা পয়দা না করেই কি তারা বিপরীতকামী দম্পতির কাছ থেকে বাচ্চা এডাপ্ট করার অধিকার চাইছে?

যেহেতু সমকামিতা ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থি, সেক্ষেত্রে এখানে ধর্মীয় রীতিনীতি, আচার আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে সমকামিতাকে দূরে রাখাটাই কাম্য হতে পারে। তাহলে সমকামীরা কেন বিয়ে নামক একটি ধর্মীয় আচারের অধিকারে সোচ্চার হয়ে ওঠে সে বিষয়টি আসলেই বোধগম্য নয়।

এটা যেমন সত্যি যে, কেউ ইচ্ছে করে সমকামী হয়না, তাই কেউ সমকামী জানলে তাকে যেমন সমাজে বয়কট করা সমীচীন নয়, ঠিক তেমনি মুসলিম দেশে সমকামিতাকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য চাপ দেয়াও সমীচীন নয়। পাশ্চাত্যে নগ্নতাকে শিল্প হিসেবে গণ্য করা হয়, তার মানে এই নয় যে, আমরাও নগ্নতাকে অনুমোদন করব। পাশ্চাত্যে বাসে-ট্রামে, হাটে-বাজারে প্রকাশ্যে চুম্বনসহ অনেক কিছুই মানবাধিকারের নাম অনুমোদিত, তার মানে এই নয় যে, তাদের মত সব প্রণয়ীর প্রকাশ্যে চুম্বনের অধিকার দিতে হবে, না দিলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে।

অনেকেই সমকামিতাকে স্বাস্হ্যকর বলে দাবি করে এর পক্ষে জনমত অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কথা বলছেন। "ন্যাশনাল এলজিবিটিআই হেলথ এলিয়ানস অস্ট্রেলিয়া” এর ওয়েবসাইটে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ অয়েলেস (সিডনি অন্তর্ভুক্ত) ও ভিক্টোরিয়া (মেলবোর্ন অন্তর্ভুক্ত) স্টেটে সাম্প্রতিককালে সিফিলিস, গনোরিয়ার মত যৌনরোগ গে` দের মাঝে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গবেষনায় দেখা গেছে যে,  তরুণ অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে যৌনবাহিত রোগ বিপরীতকমীদের তুলনায়  সমকামীদের মধ্যে পাঁচগুণ বেশি। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়াতে এইডস রোগ ২০০০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই গে` এবং সমকামী।

তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, মানবাধিকারের নামে অবাধে যৌনাচার করার জন্য যেসব দেশ নমনীয়, সেসব দেশেই এখন যৌনবাহিত রোগ মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়ছে।

সমকামী হবার গ্লানিতে অনেকে আত্ম্যহত্যা করে শুনেছি। কিন্তু সে আত্মহত্যা কি রাষ্ট্র প্রণোদিত? নাকি আত্মগ্লানি থেকে? নাকি যার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে সেই ব্যক্তি বিপরীতকামী হওয়ায় তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কোনো সম্ভাবনা নেই জেনে? যারা জীবনের সব লক্ষ্যের মূল লক্ষ্য যৌনসম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয়, যৌন অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে মাঠে নামে, যৌনসম্পর্কে কাঙ্ক্ষিত পার্টনারের সঙ্গে না জড়াতে পেরে আত্মহত্যা করার সিধান্ত নেয়, তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে, তাদেরকে অবাধে যৌনাচার করার স্বীকৃতি প্রদানের জন্য আমাদের নোবেলজয়ী থেকে শুরু করে মানবাধিকার কর্মীরা আজ সোচ্চার!

আধুনিকতার নামে ধর্মীয় মূল্যবোধ মেনে চলাকে পশ্চাদগামী বলে যারা প্রচার করে থাকেন তারা সমকামীদের অধিকার রক্ষার নামে সমাজকে কোথায় নিয়ে যায় সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে জেনে-শুনে-বুঝে বাংলাদেশের মত মুসলিম দেশে সেই অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন করার থেকে গৃহকর্মী আদুরিদের অধিকার আদায়ে সেই মেধা ও সময় ব্যয় করাই কি শ্রেয়তর নয়?